alt

সম্পাদকীয়

মৌসুমি অসুখ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে

: শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩

শীত আসি আসি করছে। এ সময় বাতাস অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে মৌসুমি রোগ। ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকের কমবেশি ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর হয়। কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শুধু শীতের সময়েই আক্রমণ করে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়। তাই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে মৌসুমি রোগীর সংখ্যা। বিশেষেকরে শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে সাড়ে ৩শ শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। চলতি মাসে প্রায় দেড় হাজার শিশু রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে চারটি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

চিকিৎসকরা বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বলে শিশু ও বয়স্কদের মৌসুমি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এসব রোগ আপনাতেই সেরে যায়। আবার অনেক রোগাক্রান্তকে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। বিশেষ করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায়ই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সংকট দেখা যায়।

চাঁদপুর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বিছানা সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু চাঁদপুর নয় দেশের অনেক হাসপাতালেই রোগীদের ভিড় সামলানোর সক্ষমতা নেই। শীত আসার আগেই হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ সামলাতে পারছে না। শীত বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। কাজেই এখন থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি থাকতে হবে। ডেঙ্গু রোগের কারণে এমনিতেই জনস্বাস্থ্যের ওপর ঝড় বয়ে গেছে। এখন সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি-কাশির ধাক্কা সামলানোর মতো অবস্থা অনেকের নেই।

নাগরিকদের মৌসুমি অসুখ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। একটু সচেতন হলে ঠান্ডাজনিত রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। চিকিৎসকরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকতে হবে। ঘরের বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করা উত্তম। তাহলে ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার।

চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ সর্দি-কাশির চিকিৎসা ঘরেই নেয়া সম্ভব। ঘরে বসে প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগ ভালো হলে হাসপাতালে ভিড় না করাই ভালো। এতে হাসপাতালের ওপর চাপ কমে, তখন বেশি অসুস্থ যেসব মানুষ তাদের চিকিৎসা পাওয়া সহজ হয়। অবশ্য কারও অসুস্থতা জটিল আকার ধারণ করার লক্ষণ দেখা দিলে তাকে অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতলে নিতে হবে। যথাসময়ে চিকিৎসা দেয়া না হলে অনেক সাধারণ রোগও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কোনো অসুখের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। এ বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বড়াতে হবে।

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা চাই

নারী ফায়ার ফাইটার : সমাজের সব স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

মদনে বর্ণি নদীর সেতুর কাজে বিলম্ব কেন

খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

কুমারখালীর বিল দখলমুক্ত করুন

বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংকট

পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে চাই আন্তরিকতা

ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন কমছে না

ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশুমৃত্যু ও আদালতের নির্দেশনা

এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিআরএম প্রকল্প : ক্ষতিপূরণের টাকা কবে মিলবে

সমস্যা-সংকটে কৃষকদের পাশে থাকতে হবে

খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে

পোশাক শ্রমিকদের ক্ষোভ আমলে নিন, তাদের অসন্তোষ দূর করুন

রাজধানীতে সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

ইভটিজিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, ‘কারসাজির’ বিরুদ্ধে আর কবে ব্যবস্থা নেয়া হবে

রাজনীতি : সংঘাত, সহিংসতা সমাধান নয়, বিপদ বাড়াবে

তারাকান্দায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ডসেবা চালু করুন

tab

সম্পাদকীয়

মৌসুমি অসুখ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে

শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩

শীত আসি আসি করছে। এ সময় বাতাস অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে মৌসুমি রোগ। ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকের কমবেশি ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর হয়। কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শুধু শীতের সময়েই আক্রমণ করে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়। তাই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে মৌসুমি রোগীর সংখ্যা। বিশেষেকরে শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে সাড়ে ৩শ শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। চলতি মাসে প্রায় দেড় হাজার শিশু রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে চারটি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

চিকিৎসকরা বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বলে শিশু ও বয়স্কদের মৌসুমি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এসব রোগ আপনাতেই সেরে যায়। আবার অনেক রোগাক্রান্তকে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। বিশেষ করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায়ই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সংকট দেখা যায়।

চাঁদপুর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বিছানা সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু চাঁদপুর নয় দেশের অনেক হাসপাতালেই রোগীদের ভিড় সামলানোর সক্ষমতা নেই। শীত আসার আগেই হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ সামলাতে পারছে না। শীত বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। কাজেই এখন থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি থাকতে হবে। ডেঙ্গু রোগের কারণে এমনিতেই জনস্বাস্থ্যের ওপর ঝড় বয়ে গেছে। এখন সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি-কাশির ধাক্কা সামলানোর মতো অবস্থা অনেকের নেই।

নাগরিকদের মৌসুমি অসুখ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। একটু সচেতন হলে ঠান্ডাজনিত রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। চিকিৎসকরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকতে হবে। ঘরের বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করা উত্তম। তাহলে ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার।

চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ সর্দি-কাশির চিকিৎসা ঘরেই নেয়া সম্ভব। ঘরে বসে প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগ ভালো হলে হাসপাতালে ভিড় না করাই ভালো। এতে হাসপাতালের ওপর চাপ কমে, তখন বেশি অসুস্থ যেসব মানুষ তাদের চিকিৎসা পাওয়া সহজ হয়। অবশ্য কারও অসুস্থতা জটিল আকার ধারণ করার লক্ষণ দেখা দিলে তাকে অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতলে নিতে হবে। যথাসময়ে চিকিৎসা দেয়া না হলে অনেক সাধারণ রোগও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কোনো অসুখের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। এ বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বড়াতে হবে।

back to top