alt

সম্পাদকীয়

ইভটিজিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৩

ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে দেশে একসময় প্রবল জনমত গড়ে উঠেছিল। সরকারও এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু সমাজের এই ব্যাধিটি এখনও নির্মূল হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রেও ইভটিজিংয়ের শিকার হন অনেক নারী। ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কেউ কেউ অবশ্য প্রতিবাদ করেন।

তবে প্রতিবাদ করতে গিয়ে উত্ত্যক্তকারীদের হাতে অনেকে নির্যাতনের শিকার হন। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে। সেখানে কিছু ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার পথে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। দুজন ছাত্র এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। উত্ত্যক্তকারীদের মারধরের শিকার আহত ছাত্র দুজন এখন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত রোববার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে।

ইভটিজিং নিয়ে অতীতেও অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ২০১১ সালে ইভটিজিং উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছিল। সে সময় ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশব্যাপী শত শত ছাত্রী, তরুণী ও গৃহবধূ উত্ত্যক্ত প্রতিরোধে পথে নেমে বিক্ষোভ করেন। এই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে যখন লেখালেখি হয়েছে, তখন সরকার একটু নড়েচড়ে বসেছিল। সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল। ইভটিজারদের প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছিল। ফলে তখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়।

আজ এত বছর পরও ইভটিজিং বন্ধ হয়নি। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে গেছে। তবে আশার কথা হচ্ছে এই ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে এখনও সমাজের অনেক সচেতন মানুষ রুখে দাঁড়ায়। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে অনেকে নির্যাতনের শিকারও হন। অতীতে প্রাণও গেছে কারও কারও। কিন্তু উত্ত্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। প্রতিবাদকারীরা বিচার চাইতে গেলে উল্টো হয়রানির শিকার হন। এ কারণে উত্ত্যক্তকারীরা অন্যায় উৎসাহ পায়।

ইভটিজিংয়ের কারণে অনেক নারী ও ঘর থেকে বের হতে পারে না। অনেক শিক্ষার্থী ইভটিজারদের ভয়ে লেখাপড়াই ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে নারীকে মুক্তি দিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একশ্রেণীর উঠতি বয়সের তরুণরা নারীদের উত্ত্যক্ত করে থাকে। সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে উত্ত্যক্তকারীরা আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়। দেশে আইন থাকলেও সেটার সুষ্ঠু প্রয়োগ হয় না। আইন অনুযায়ী, যারা ইভটিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে অর্থদন্ড ও কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। এখন জরুরি হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

ইভটিজিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৩

ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে দেশে একসময় প্রবল জনমত গড়ে উঠেছিল। সরকারও এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু সমাজের এই ব্যাধিটি এখনও নির্মূল হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রেও ইভটিজিংয়ের শিকার হন অনেক নারী। ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কেউ কেউ অবশ্য প্রতিবাদ করেন।

তবে প্রতিবাদ করতে গিয়ে উত্ত্যক্তকারীদের হাতে অনেকে নির্যাতনের শিকার হন। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে। সেখানে কিছু ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার পথে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। দুজন ছাত্র এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। উত্ত্যক্তকারীদের মারধরের শিকার আহত ছাত্র দুজন এখন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত রোববার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে।

ইভটিজিং নিয়ে অতীতেও অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ২০১১ সালে ইভটিজিং উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছিল। সে সময় ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশব্যাপী শত শত ছাত্রী, তরুণী ও গৃহবধূ উত্ত্যক্ত প্রতিরোধে পথে নেমে বিক্ষোভ করেন। এই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে যখন লেখালেখি হয়েছে, তখন সরকার একটু নড়েচড়ে বসেছিল। সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল। ইভটিজারদের প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছিল। ফলে তখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়।

আজ এত বছর পরও ইভটিজিং বন্ধ হয়নি। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে গেছে। তবে আশার কথা হচ্ছে এই ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে এখনও সমাজের অনেক সচেতন মানুষ রুখে দাঁড়ায়। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে অনেকে নির্যাতনের শিকারও হন। অতীতে প্রাণও গেছে কারও কারও। কিন্তু উত্ত্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। প্রতিবাদকারীরা বিচার চাইতে গেলে উল্টো হয়রানির শিকার হন। এ কারণে উত্ত্যক্তকারীরা অন্যায় উৎসাহ পায়।

ইভটিজিংয়ের কারণে অনেক নারী ও ঘর থেকে বের হতে পারে না। অনেক শিক্ষার্থী ইভটিজারদের ভয়ে লেখাপড়াই ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে নারীকে মুক্তি দিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একশ্রেণীর উঠতি বয়সের তরুণরা নারীদের উত্ত্যক্ত করে থাকে। সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে উত্ত্যক্তকারীরা আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়। দেশে আইন থাকলেও সেটার সুষ্ঠু প্রয়োগ হয় না। আইন অনুযায়ী, যারা ইভটিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে অর্থদন্ড ও কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। এখন জরুরি হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা।

back to top