সাতক্ষীরার তালায় কপোতাক্ষ নদীর অববাহিকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ২০১১ সালে প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পের মাধ্যমে পাখিমারা বিলের চারপাশে ‘পেরিফেরিয়াল বাঁধ’ নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্পের জন্য কৃষকদের ১ হাজার ৫৬১ দশমিক ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত জমির ৮০ শতাংশ মালিকের অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ কৃষক গত ১০ বছর ধরে প্রশাসনের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরেও তাদের অধিগ্রহণের টাকা পাননি।
পাখিমারা বিলের চারপাশে পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণে ২৮৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পটি চালু হয় ২০১৫ সালে। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হবে। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা। সরকার জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকাও বরাদ্দ দিয়েছে কিন্তু কৃষকরা তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে এত বছর ধরে ঘাম ঝরাচ্ছে কেন? সেটা কারও জানা নেই।
পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) প্রকল্পের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি কৃষকের জমি থাকলেও তারা বছরের পর বছর আবাদ করতে পারেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাদের জমির দলিলসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এ কারণে অধিগ্রহণের টাকা দিতে দেরি হচ্ছে; কিন্তু জমির ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে এসব কৃষক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
আবাদের জমি সরকারের উন্নয়ন কাজে অধিগ্রহণ করা হলে বিভিন্নভাবে ক্ষতির শিকার হন কৃষকরা। অনেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া শেষ সম্বলটুকুও হারান। যেমনটি ঘটেছে তালা উপজেলায়। বাঁধ নির্মাণের জন্য কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল; কিন্তু তাদের টাকা দেয়া হচ্ছে না। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ২ হাজার ৪৭ জন কৃষক গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন। গণস্বাক্ষর করা আবেদন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে এর সুরাহা করবেন- এটা আমরা চাই।
ভূমি দপ্তর বলছে জমিসংক্রান্ত জটিলতা দূর হলে কৃষকদের টাকা পরিশোধ করা হবে। এ আশ্বাসের বাণী গত ১০ বছর ধরে কৃষকদের শোনানো হচ্ছে। আমরা বলতে চাই- ‘আজ হবে, কাল হবে’ এমন আশ্বাস আর নয়। কৃষকদের দুর্দিনের কথা মাথায় রেখে তাদের জমির ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রত পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এটা আমরা দেখতে চাই।
শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
সাতক্ষীরার তালায় কপোতাক্ষ নদীর অববাহিকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ২০১১ সালে প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পের মাধ্যমে পাখিমারা বিলের চারপাশে ‘পেরিফেরিয়াল বাঁধ’ নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্পের জন্য কৃষকদের ১ হাজার ৫৬১ দশমিক ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত জমির ৮০ শতাংশ মালিকের অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ কৃষক গত ১০ বছর ধরে প্রশাসনের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরেও তাদের অধিগ্রহণের টাকা পাননি।
পাখিমারা বিলের চারপাশে পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণে ২৮৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পটি চালু হয় ২০১৫ সালে। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হবে। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা। সরকার জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকাও বরাদ্দ দিয়েছে কিন্তু কৃষকরা তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে এত বছর ধরে ঘাম ঝরাচ্ছে কেন? সেটা কারও জানা নেই।
পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) প্রকল্পের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি কৃষকের জমি থাকলেও তারা বছরের পর বছর আবাদ করতে পারেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাদের জমির দলিলসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এ কারণে অধিগ্রহণের টাকা দিতে দেরি হচ্ছে; কিন্তু জমির ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে এসব কৃষক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
আবাদের জমি সরকারের উন্নয়ন কাজে অধিগ্রহণ করা হলে বিভিন্নভাবে ক্ষতির শিকার হন কৃষকরা। অনেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া শেষ সম্বলটুকুও হারান। যেমনটি ঘটেছে তালা উপজেলায়। বাঁধ নির্মাণের জন্য কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল; কিন্তু তাদের টাকা দেয়া হচ্ছে না। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ২ হাজার ৪৭ জন কৃষক গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন। গণস্বাক্ষর করা আবেদন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে এর সুরাহা করবেন- এটা আমরা চাই।
ভূমি দপ্তর বলছে জমিসংক্রান্ত জটিলতা দূর হলে কৃষকদের টাকা পরিশোধ করা হবে। এ আশ্বাসের বাণী গত ১০ বছর ধরে কৃষকদের শোনানো হচ্ছে। আমরা বলতে চাই- ‘আজ হবে, কাল হবে’ এমন আশ্বাস আর নয়। কৃষকদের দুর্দিনের কথা মাথায় রেখে তাদের জমির ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রত পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এটা আমরা দেখতে চাই।