alt

সম্পাদকীয়

টিআরএম প্রকল্প : ক্ষতিপূরণের টাকা কবে মিলবে

: শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

সাতক্ষীরার তালায় কপোতাক্ষ নদীর অববাহিকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ২০১১ সালে প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পের মাধ্যমে পাখিমারা বিলের চারপাশে ‘পেরিফেরিয়াল বাঁধ’ নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্পের জন্য কৃষকদের ১ হাজার ৫৬১ দশমিক ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত জমির ৮০ শতাংশ মালিকের অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ কৃষক গত ১০ বছর ধরে প্রশাসনের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরেও তাদের অধিগ্রহণের টাকা পাননি।

পাখিমারা বিলের চারপাশে পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণে ২৮৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পটি চালু হয় ২০১৫ সালে। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হবে। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা। সরকার জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকাও বরাদ্দ দিয়েছে কিন্তু কৃষকরা তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে এত বছর ধরে ঘাম ঝরাচ্ছে কেন? সেটা কারও জানা নেই।

পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) প্রকল্পের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি কৃষকের জমি থাকলেও তারা বছরের পর বছর আবাদ করতে পারেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাদের জমির দলিলসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এ কারণে অধিগ্রহণের টাকা দিতে দেরি হচ্ছে; কিন্তু জমির ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে এসব কৃষক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

আবাদের জমি সরকারের উন্নয়ন কাজে অধিগ্রহণ করা হলে বিভিন্নভাবে ক্ষতির শিকার হন কৃষকরা। অনেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া শেষ সম্বলটুকুও হারান। যেমনটি ঘটেছে তালা উপজেলায়। বাঁধ নির্মাণের জন্য কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল; কিন্তু তাদের টাকা দেয়া হচ্ছে না। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ২ হাজার ৪৭ জন কৃষক গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন। গণস্বাক্ষর করা আবেদন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে এর সুরাহা করবেন- এটা আমরা চাই।

ভূমি দপ্তর বলছে জমিসংক্রান্ত জটিলতা দূর হলে কৃষকদের টাকা পরিশোধ করা হবে। এ আশ্বাসের বাণী গত ১০ বছর ধরে কৃষকদের শোনানো হচ্ছে। আমরা বলতে চাই- ‘আজ হবে, কাল হবে’ এমন আশ্বাস আর নয়। কৃষকদের দুর্দিনের কথা মাথায় রেখে তাদের জমির ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রত পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এটা আমরা দেখতে চাই।

ধোপাজান নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন

চলনবিলে পাখি শিকার : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

tab

সম্পাদকীয়

টিআরএম প্রকল্প : ক্ষতিপূরণের টাকা কবে মিলবে

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

সাতক্ষীরার তালায় কপোতাক্ষ নদীর অববাহিকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ২০১১ সালে প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পের মাধ্যমে পাখিমারা বিলের চারপাশে ‘পেরিফেরিয়াল বাঁধ’ নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্পের জন্য কৃষকদের ১ হাজার ৫৬১ দশমিক ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত জমির ৮০ শতাংশ মালিকের অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ কৃষক গত ১০ বছর ধরে প্রশাসনের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরেও তাদের অধিগ্রহণের টাকা পাননি।

পাখিমারা বিলের চারপাশে পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণে ২৮৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পটি চালু হয় ২০১৫ সালে। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হবে। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা। সরকার জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকাও বরাদ্দ দিয়েছে কিন্তু কৃষকরা তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে এত বছর ধরে ঘাম ঝরাচ্ছে কেন? সেটা কারও জানা নেই।

পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) প্রকল্পের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি কৃষকের জমি থাকলেও তারা বছরের পর বছর আবাদ করতে পারেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাদের জমির দলিলসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এ কারণে অধিগ্রহণের টাকা দিতে দেরি হচ্ছে; কিন্তু জমির ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে এসব কৃষক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

আবাদের জমি সরকারের উন্নয়ন কাজে অধিগ্রহণ করা হলে বিভিন্নভাবে ক্ষতির শিকার হন কৃষকরা। অনেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া শেষ সম্বলটুকুও হারান। যেমনটি ঘটেছে তালা উপজেলায়। বাঁধ নির্মাণের জন্য কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল; কিন্তু তাদের টাকা দেয়া হচ্ছে না। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ২ হাজার ৪৭ জন কৃষক গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন। গণস্বাক্ষর করা আবেদন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে এর সুরাহা করবেন- এটা আমরা চাই।

ভূমি দপ্তর বলছে জমিসংক্রান্ত জটিলতা দূর হলে কৃষকদের টাকা পরিশোধ করা হবে। এ আশ্বাসের বাণী গত ১০ বছর ধরে কৃষকদের শোনানো হচ্ছে। আমরা বলতে চাই- ‘আজ হবে, কাল হবে’ এমন আশ্বাস আর নয়। কৃষকদের দুর্দিনের কথা মাথায় রেখে তাদের জমির ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রত পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এটা আমরা দেখতে চাই।

back to top