এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণে কত টাকা ফি নেয়া হবে তা শিক্ষা বোর্ড নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু দেশের কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। দীর্ঘ দিন ধরে এ অনিয়ম চলে আসছে।
ঠিক এমনই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার প্রায় প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর বিজ্ঞান বিভাগে ফরম পূরণ ফি ২ হাজার ১৪০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ২ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কোচিংসহ অন্যান্য ফির নামে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। অতিরিক্ত টাকা কোন খাতে নেয়া হচ্ছে, তার কোনো রশিদও দেয়া হচ্ছে না।
অভিভাবকরা এই অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে আর কোনো ব্যবস্থা তারা নেয়নি। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ফরম পূরণের ফি নিয়ে বিদ্যালয়গুলোর এমন অনিয়মে চরম বিপাকে পড়েছে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা ধারদেনা ও এনজিওর কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে ফরম পূরণের অতিরিক্ত অর্থ জোগাড় করছেন।
বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের ঘটনা শুধু চাটখিল উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ঘটছে তা নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যালয়ে এমন অনিয়ম শিক্ষকরা করেন বলে আগেও শোনা গেছে।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থ যদি আদায় করে, তাহলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন নির্দেশ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেটা কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। কোথাও কোনো ব্যবস্থা নিতে আজও দেখা যায়নি। দেশে আইন আছে। তবুও সেই আইনকে তোয়াক্কা করে যেসব প্রতিষ্ঠান তারা পার পেয়ে যায় কিভাবে, সেটা একটা প্রশ্ন।
চাটখিলসহ দেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে বলে অভিয়োগ উঠেছে, তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের মতো অনিয়ম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণে কত টাকা ফি নেয়া হবে তা শিক্ষা বোর্ড নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু দেশের কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। দীর্ঘ দিন ধরে এ অনিয়ম চলে আসছে।
ঠিক এমনই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার প্রায় প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর বিজ্ঞান বিভাগে ফরম পূরণ ফি ২ হাজার ১৪০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ২ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কোচিংসহ অন্যান্য ফির নামে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। অতিরিক্ত টাকা কোন খাতে নেয়া হচ্ছে, তার কোনো রশিদও দেয়া হচ্ছে না।
অভিভাবকরা এই অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে আর কোনো ব্যবস্থা তারা নেয়নি। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ফরম পূরণের ফি নিয়ে বিদ্যালয়গুলোর এমন অনিয়মে চরম বিপাকে পড়েছে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা ধারদেনা ও এনজিওর কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে ফরম পূরণের অতিরিক্ত অর্থ জোগাড় করছেন।
বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের ঘটনা শুধু চাটখিল উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ঘটছে তা নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যালয়ে এমন অনিয়ম শিক্ষকরা করেন বলে আগেও শোনা গেছে।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থ যদি আদায় করে, তাহলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন নির্দেশ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেটা কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। কোথাও কোনো ব্যবস্থা নিতে আজও দেখা যায়নি। দেশে আইন আছে। তবুও সেই আইনকে তোয়াক্কা করে যেসব প্রতিষ্ঠান তারা পার পেয়ে যায় কিভাবে, সেটা একটা প্রশ্ন।
চাটখিলসহ দেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে বলে অভিয়োগ উঠেছে, তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের মতো অনিয়ম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।