alt

সম্পাদকীয়

পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে চাই আন্তরিকতা

: শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দারা নানা সমস্যা-সংকটের মধ্য দিয়ে বাস করছেন। পৌরসভার অনেক ওয়ার্ডে নেই সড়কবাতি। ফলে সন্ধ্যার পর যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভঙ্গুর ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সড়কগুলোতে জমে থাকে নালার পানি। এই অবস্থায় পৌর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। প্রতিষ্ঠার পর পেরিয়ে গেছে ১৮ বছরেরও বেশি সময়। অথচ এই সময়ের মধ্যে সেখানে অনেক সড়কেই সড়কবাতি নিশ্চিত করা যায়নি। গড়ে তোলা যায়নি সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এই অবস্থায় প্রশ্ন ওঠে যে, সেখানে অন্যান্য নাগরিক সুবিধা কতটা নিশ্চিত করা গেছে।

কেবল এই একটি পৌরসভাই নয়, দেশের অনেক পৌরসভাতেই নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অথচ উন্নত নাগরিক সেবা দেয়ার লক্ষ্যেই পৌরসভা গড়ে তোলা হয়। বাস্তবে দেখা যায় অনেক পৌরসভায় ময়লা-বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। পৌর শহরে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় দিনে দিনে বড় হয়ে ওঠে ময়লার ভাগাড়। তখন অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে শহরটির পরিবেশ। বছরের পর বছর রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন হয় না। এমনকি প্রধান রাস্তাতেও থাকে না সড়কবাতি। একটু বৃষ্টিতেই অনেক পৌর শহরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এখন তো অনেক পৌর এলাকায় যানজটও হয় এমন অনেক সমস্যার মধ্যে বাস করতে হয় পৌরবাসীকে।

আমরা বলতে চাই, দেশের পৌরসভাগুলোতে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক বাতি না থাকা বা ড্রেনেজের মতো কিছু সাধারণ সমস্যার সমাধান করা কঠিন কোনো কাজ হওয়ার কথা নয়। আন্তরিকতা থাকলে সহজেই এসব সমস্যার সমাধান করা যায়। সেখানে ফরিদগঞ্জে দিনের পর দিন সড়কবাতি নেই কেন বা সড়কে নালার পানি জমে থাকে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। সড়কবাতির অভাবে ও সড়কে নালার পানি জমে থাকার কারণে নাগরিকদের যে দুর্ভোগ হচ্ছে সেটা কি কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে না। নাকি তারা গণমাধ্যমে নাগরিকদের দুর্ভোগ-দুর্দশার চিত্র প্রকাশ হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। কবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তারপর তারা গৎবাঁধা আশ্বাসের বাণী শোনাবেন। হচ্ছে, হবে বলে সময় পার করবেন। এই অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।

দেওয়ানগঞ্জে যমুনার বালু তোলা বন্ধ হোক

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ আমলে নিন

শরণখোলা হাসপাতালে লোকবল নিয়োগে ব্যবস্থা নিন

নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা চাই

নারী ফায়ার ফাইটার : সমাজের সব স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

মদনে বর্ণি নদীর সেতুর কাজে বিলম্ব কেন

খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

কুমারখালীর বিল দখলমুক্ত করুন

বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংকট

ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন কমছে না

ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশুমৃত্যু ও আদালতের নির্দেশনা

এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিআরএম প্রকল্প : ক্ষতিপূরণের টাকা কবে মিলবে

সমস্যা-সংকটে কৃষকদের পাশে থাকতে হবে

খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে

পোশাক শ্রমিকদের ক্ষোভ আমলে নিন, তাদের অসন্তোষ দূর করুন

রাজধানীতে সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

ইভটিজিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে চাই আন্তরিকতা

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দারা নানা সমস্যা-সংকটের মধ্য দিয়ে বাস করছেন। পৌরসভার অনেক ওয়ার্ডে নেই সড়কবাতি। ফলে সন্ধ্যার পর যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভঙ্গুর ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সড়কগুলোতে জমে থাকে নালার পানি। এই অবস্থায় পৌর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। প্রতিষ্ঠার পর পেরিয়ে গেছে ১৮ বছরেরও বেশি সময়। অথচ এই সময়ের মধ্যে সেখানে অনেক সড়কেই সড়কবাতি নিশ্চিত করা যায়নি। গড়ে তোলা যায়নি সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এই অবস্থায় প্রশ্ন ওঠে যে, সেখানে অন্যান্য নাগরিক সুবিধা কতটা নিশ্চিত করা গেছে।

কেবল এই একটি পৌরসভাই নয়, দেশের অনেক পৌরসভাতেই নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অথচ উন্নত নাগরিক সেবা দেয়ার লক্ষ্যেই পৌরসভা গড়ে তোলা হয়। বাস্তবে দেখা যায় অনেক পৌরসভায় ময়লা-বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। পৌর শহরে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় দিনে দিনে বড় হয়ে ওঠে ময়লার ভাগাড়। তখন অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে শহরটির পরিবেশ। বছরের পর বছর রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন হয় না। এমনকি প্রধান রাস্তাতেও থাকে না সড়কবাতি। একটু বৃষ্টিতেই অনেক পৌর শহরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এখন তো অনেক পৌর এলাকায় যানজটও হয় এমন অনেক সমস্যার মধ্যে বাস করতে হয় পৌরবাসীকে।

আমরা বলতে চাই, দেশের পৌরসভাগুলোতে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক বাতি না থাকা বা ড্রেনেজের মতো কিছু সাধারণ সমস্যার সমাধান করা কঠিন কোনো কাজ হওয়ার কথা নয়। আন্তরিকতা থাকলে সহজেই এসব সমস্যার সমাধান করা যায়। সেখানে ফরিদগঞ্জে দিনের পর দিন সড়কবাতি নেই কেন বা সড়কে নালার পানি জমে থাকে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। সড়কবাতির অভাবে ও সড়কে নালার পানি জমে থাকার কারণে নাগরিকদের যে দুর্ভোগ হচ্ছে সেটা কি কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে না। নাকি তারা গণমাধ্যমে নাগরিকদের দুর্ভোগ-দুর্দশার চিত্র প্রকাশ হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। কবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তারপর তারা গৎবাঁধা আশ্বাসের বাণী শোনাবেন। হচ্ছে, হবে বলে সময় পার করবেন। এই অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।

back to top