alt

সম্পাদকীয়

বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংকট

: রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

মাগুরার শালিখায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বিচরণ করছে দুটি হনুমান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই হনুমান দুটোকে খাবার দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ নির্দয় আচরণও করছেন। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হনুমান বা বানরের মতো প্রাণীকে প্রায়ই বন ছেড়ে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হাজির হতে দেখা যায় । এমনকি খাবারের খোঁজে হাতি, বাঘ, শেয়ালসহ অনেক প্রাণীই বিভিন্ন সময় লোকালয়ে এসে হাজির হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, বন্যপ্রাণীগুলোকে লোকালয়ে আসতে হয় কেন। বনের বাইরে তো বটেই, বনের ভেতরেও তাদের মানুষের অত্যাচারই বা সইতে হয় কেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, বনে বসবাসরত বানর বা হনুমানসহ অন্য বন্যপ্রাণী বিভিন্ন ধরনের বনজ খাবার খেয়েই প্রাণধারণ করে। সমস্যা হচ্ছে দেশের অনেক এলাকার বনভূমি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বনের গাছপালা উজাড় হচ্ছে, ফলদ গাছও কমছে। মানুষের বসতি বাড়তে বাড়তে বনে গিয়ে প্রবেশ করেছে। সেখানে ফসলও ফলানো হচ্ছে। ধ্বংস হতে হতে বনের যতটুকু অবশিষ্ট আছে সেটুকুর অস্তিত্বও হুমকির সম্মুখীন। এ কারণে সেখানকার প্রাণীদের খাবারে টান পড়েছে। তাই তারা খাবারের খোঁজে চলে আসছে লোকালয়ে।

বন উজাড় করে প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের আয়োজন অব্যাহত আছে। বন বিভাগের নাকের ডগার ওপর দিয়েই গাছপালা ধ্বংস করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ধ্বংসযজ্ঞে বনবিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। বন উজাড় করে কিভাবে নিজের আখের গোছানো যায় তারা সেই চিন্তায় ব্যস্ত। বনের কোনো প্রাণী খাবার সংকটে পড়ল তা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।

বন্যপ্রাণীর খাদ্যচক্রকে অটুট রাখার জন্য বন রক্ষা করা জরুরি। বনে খাবার থাকলে কোন প্রাণীকে লোকালয়ে এসে মারমুখী মানুষের সামনে পড়তে হবে না। বন সম্প্রসারণের উদ্যোগও নিতে হবে। এক্ষেত্রে কেবল অর্থকরী গাছ লাগালে হবে না। বন্যপ্রাণীর খাদ্যচক্রকে বিবেচনায় নিয়ে ফলদ বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য গাছ লাগাতে হবে।

বনভূমি সম্প্রসারণ করে বা গাছ লাগিয়ে বন্যপ্রাণীর খাদ্য সংস্থান করা সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে, বানর বা হনুমানের মতো প্রাণীদের খাবার সরবরাহ করতে হবে। প্রাণীদের খাবারের জন্য বরাদ্দ ব্যয়ে যেন কোনরূপ অনিয়ম বা দুর্নীতি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংকট

রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

মাগুরার শালিখায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বিচরণ করছে দুটি হনুমান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই হনুমান দুটোকে খাবার দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ নির্দয় আচরণও করছেন। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হনুমান বা বানরের মতো প্রাণীকে প্রায়ই বন ছেড়ে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হাজির হতে দেখা যায় । এমনকি খাবারের খোঁজে হাতি, বাঘ, শেয়ালসহ অনেক প্রাণীই বিভিন্ন সময় লোকালয়ে এসে হাজির হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, বন্যপ্রাণীগুলোকে লোকালয়ে আসতে হয় কেন। বনের বাইরে তো বটেই, বনের ভেতরেও তাদের মানুষের অত্যাচারই বা সইতে হয় কেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, বনে বসবাসরত বানর বা হনুমানসহ অন্য বন্যপ্রাণী বিভিন্ন ধরনের বনজ খাবার খেয়েই প্রাণধারণ করে। সমস্যা হচ্ছে দেশের অনেক এলাকার বনভূমি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বনের গাছপালা উজাড় হচ্ছে, ফলদ গাছও কমছে। মানুষের বসতি বাড়তে বাড়তে বনে গিয়ে প্রবেশ করেছে। সেখানে ফসলও ফলানো হচ্ছে। ধ্বংস হতে হতে বনের যতটুকু অবশিষ্ট আছে সেটুকুর অস্তিত্বও হুমকির সম্মুখীন। এ কারণে সেখানকার প্রাণীদের খাবারে টান পড়েছে। তাই তারা খাবারের খোঁজে চলে আসছে লোকালয়ে।

বন উজাড় করে প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের আয়োজন অব্যাহত আছে। বন বিভাগের নাকের ডগার ওপর দিয়েই গাছপালা ধ্বংস করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ধ্বংসযজ্ঞে বনবিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। বন উজাড় করে কিভাবে নিজের আখের গোছানো যায় তারা সেই চিন্তায় ব্যস্ত। বনের কোনো প্রাণী খাবার সংকটে পড়ল তা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।

বন্যপ্রাণীর খাদ্যচক্রকে অটুট রাখার জন্য বন রক্ষা করা জরুরি। বনে খাবার থাকলে কোন প্রাণীকে লোকালয়ে এসে মারমুখী মানুষের সামনে পড়তে হবে না। বন সম্প্রসারণের উদ্যোগও নিতে হবে। এক্ষেত্রে কেবল অর্থকরী গাছ লাগালে হবে না। বন্যপ্রাণীর খাদ্যচক্রকে বিবেচনায় নিয়ে ফলদ বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য গাছ লাগাতে হবে।

বনভূমি সম্প্রসারণ করে বা গাছ লাগিয়ে বন্যপ্রাণীর খাদ্য সংস্থান করা সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে, বানর বা হনুমানের মতো প্রাণীদের খাবার সরবরাহ করতে হবে। প্রাণীদের খাবারের জন্য বরাদ্দ ব্যয়ে যেন কোনরূপ অনিয়ম বা দুর্নীতি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

back to top