ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ জন নারী। দেশের ইতিহাসে তারাই প্রথমবারের মতো ফায়ার ফাইটার পদে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী সম্প্রতি ফায়ারম্যান পদের নাম পরিবর্তন করা হয়। উক্ত পদের নতুন নামকরণ করা হয় ফায়ার ফাইটার। এই পরিবর্তনের কারণে উক্ত পদে পুরুষদের পাশাপাশি নারীও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পান। আগে কেবল পুরুষরাই আবেদন করতে পারতেন।
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ফায়ার ফাইটার পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ২ হাজার ৭০৭ জন নারী। এ থেকে বোঝা যায়, দেশের নারীরা যে কোনো চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য প্রস্তুত। বরং দেশের অনেক খাতই নারীকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত নয়। ফায়ার সার্ভিস যে নারীদের ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগ দেয়ার পথে বাধা দূর করেছে সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। যদিও আরও আগেই এ পদক্ষেপ নেয়া দরকার ছিল।
জানা গেছে, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ফায়ার ফাইটারের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। সেখানে মাত্র ১৫ জন নারীকে ফায়ার ফাইটার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো। ভবিষ্যতে আরও বেশিসংখ্যক নারীকে ফায়ার সার্ভিসে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে- সেই প্রত্যাশা করি।
যে ১৫ জনকে ফায়ার ফাইটার হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা সবাই যোগ্যতা প্রমাণ করেই নিয়োগ পেয়েছেন। আবেদনকারীর মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, শারীরিক যোগ্যতা ও মেডিকেল পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে, বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যস্থা গড়ে তোলা গেলে নারীরা আপন যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারেন।
নারীরাও পুরুষদের মতোই যেকোনো ক্ষেত্রে সফলতা পেতে পারে- এ বিশ্বাসটি সবার থাকা দরকার। সমাজের সব স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করতে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নারী-পুরুষের সমতার মানে হচ্ছে জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ থাকবে, সমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে এবং সমান অধিকার ভোগ করবে। এটা নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকেই। ঘরে-বাইরে সব জায়গায় নারীদের সমান মর্যাদা দেয়ার মাধ্যমে তাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ জন নারী। দেশের ইতিহাসে তারাই প্রথমবারের মতো ফায়ার ফাইটার পদে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী সম্প্রতি ফায়ারম্যান পদের নাম পরিবর্তন করা হয়। উক্ত পদের নতুন নামকরণ করা হয় ফায়ার ফাইটার। এই পরিবর্তনের কারণে উক্ত পদে পুরুষদের পাশাপাশি নারীও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পান। আগে কেবল পুরুষরাই আবেদন করতে পারতেন।
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ফায়ার ফাইটার পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ২ হাজার ৭০৭ জন নারী। এ থেকে বোঝা যায়, দেশের নারীরা যে কোনো চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য প্রস্তুত। বরং দেশের অনেক খাতই নারীকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত নয়। ফায়ার সার্ভিস যে নারীদের ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগ দেয়ার পথে বাধা দূর করেছে সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। যদিও আরও আগেই এ পদক্ষেপ নেয়া দরকার ছিল।
জানা গেছে, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ফায়ার ফাইটারের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। সেখানে মাত্র ১৫ জন নারীকে ফায়ার ফাইটার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো। ভবিষ্যতে আরও বেশিসংখ্যক নারীকে ফায়ার সার্ভিসে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে- সেই প্রত্যাশা করি।
যে ১৫ জনকে ফায়ার ফাইটার হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা সবাই যোগ্যতা প্রমাণ করেই নিয়োগ পেয়েছেন। আবেদনকারীর মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, শারীরিক যোগ্যতা ও মেডিকেল পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে, বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যস্থা গড়ে তোলা গেলে নারীরা আপন যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারেন।
নারীরাও পুরুষদের মতোই যেকোনো ক্ষেত্রে সফলতা পেতে পারে- এ বিশ্বাসটি সবার থাকা দরকার। সমাজের সব স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করতে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নারী-পুরুষের সমতার মানে হচ্ছে জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ থাকবে, সমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে এবং সমান অধিকার ভোগ করবে। এটা নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকেই। ঘরে-বাইরে সব জায়গায় নারীদের সমান মর্যাদা দেয়ার মাধ্যমে তাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।