alt

সম্পাদকীয়

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

: বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নে একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল ২০১০ সালে। শিক্ষানীতি হয়েছে কিন্তু শিক্ষা আইন না হওয়ার ফলে সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা যাচ্ছে না। শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছিল, শিক্ষাসংক্রান্ত সব আইন, বিধিবিধান, আদেশগুলো একত্রিত করে শিক্ষানীতির আলোকে এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রবর্তনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গত ১২ বছর ধরে শিক্ষা আইনের খসড়া আলোচনাতে সীমাবদ্ধ থেকেছে।

শিক্ষা আইন কেন প্রণয়ন করা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্তদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে কি হবে না এমন দোলাচলে থমকে গেছে শিক্ষা আইন প্রণয়ন। নোট-গাইড, সহায়ক বই, কোচিং ও প্রাইভেটের মতো কিছু বিষয় শিক্ষা আইনে রাখা না রাখা নিয়েই আইন প্রণয়নে বিলম্ব হচ্ছে। শিক্ষা আইন না হওয়ায় শিক্ষানীতি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সেই আগের মতোই চলছে প্রাইভেট টিউশন, কোচিং সেন্টার ও নোট-গাইড বইয়ের ব্যবসা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করে। সেই খসড়ায় কোচিং, প্রাইভেট ও নোট-গাইড, সহায়ক বই নিষিদ্ধের বিধান রাখার কারণে কোনো এক ‘অদৃশ্য শক্তিবলে’ আবার মুখ থুবড়ে পড়েছে আইন প্রণয়নের বিষয়টি।

খসড়া আইনে নোট-গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কোচিংবাণিজ্য ও প্রাইভেট টিউশনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ এটি অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। এ কারণে এই ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা এই আইন যাতে দেশে চালু না হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। এর পর শিক্ষা আইনটি আর আলোর মুখ দেখেনি বলে অনেকে মনে করে থাকেন।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, সবাই নন, দেশের খুব কমসংখ্যক শিক্ষক প্রাইভেট বা কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শিক্ষা আইন করে নোট-গাইড বই ও কোচিংবাণিজ্যের লাগাম টানতে হবে। তবে তা রোধ করতে হবে স্থায়ীভাবে। আর স্থায়ীভাবে রোধ করা না গেলে দেশে শিক্ষা-বাণিজ্য কখনও বন্ধ হবে না।

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

tab

সম্পাদকীয়

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নে একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল ২০১০ সালে। শিক্ষানীতি হয়েছে কিন্তু শিক্ষা আইন না হওয়ার ফলে সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা যাচ্ছে না। শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছিল, শিক্ষাসংক্রান্ত সব আইন, বিধিবিধান, আদেশগুলো একত্রিত করে শিক্ষানীতির আলোকে এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রবর্তনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গত ১২ বছর ধরে শিক্ষা আইনের খসড়া আলোচনাতে সীমাবদ্ধ থেকেছে।

শিক্ষা আইন কেন প্রণয়ন করা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্তদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে কি হবে না এমন দোলাচলে থমকে গেছে শিক্ষা আইন প্রণয়ন। নোট-গাইড, সহায়ক বই, কোচিং ও প্রাইভেটের মতো কিছু বিষয় শিক্ষা আইনে রাখা না রাখা নিয়েই আইন প্রণয়নে বিলম্ব হচ্ছে। শিক্ষা আইন না হওয়ায় শিক্ষানীতি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সেই আগের মতোই চলছে প্রাইভেট টিউশন, কোচিং সেন্টার ও নোট-গাইড বইয়ের ব্যবসা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করে। সেই খসড়ায় কোচিং, প্রাইভেট ও নোট-গাইড, সহায়ক বই নিষিদ্ধের বিধান রাখার কারণে কোনো এক ‘অদৃশ্য শক্তিবলে’ আবার মুখ থুবড়ে পড়েছে আইন প্রণয়নের বিষয়টি।

খসড়া আইনে নোট-গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কোচিংবাণিজ্য ও প্রাইভেট টিউশনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ এটি অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। এ কারণে এই ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা এই আইন যাতে দেশে চালু না হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। এর পর শিক্ষা আইনটি আর আলোর মুখ দেখেনি বলে অনেকে মনে করে থাকেন।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, সবাই নন, দেশের খুব কমসংখ্যক শিক্ষক প্রাইভেট বা কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শিক্ষা আইন করে নোট-গাইড বই ও কোচিংবাণিজ্যের লাগাম টানতে হবে। তবে তা রোধ করতে হবে স্থায়ীভাবে। আর স্থায়ীভাবে রোধ করা না গেলে দেশে শিক্ষা-বাণিজ্য কখনও বন্ধ হবে না।

back to top