কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। স্থানীয় একটি চক্র রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দিয়ে পাহাড় কাটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, পাহাড় কাটার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পাহাড় কাটা ও দখল বন্ধ করার জন্য আইন রয়েছে। পাহাড় কেটে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। কর্তৃপক্ষকে মাঝে মাঝে অভিযান চালাতে দেখা যায়। অভিযানে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়। কখনো কখনো জেল-জরিমানাও করা হয় বলে জানা যায়। তারপরও পাহাড় কাটা ও দখল ঠেকানো যাচ্ছে না।
দশকের পর দশক ধরে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী মিলে পাহাড় কেটে দখল করেই চলছে। কেবল যে মুষ্টিমেয় একটি গোষ্ঠী অবৈধভাবে পাহাড় কাটছে বা দখল করছে তা নয়। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষই পাহাড় কাটা ও দখলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
অবৈধভাবে পাহাড় কাটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এর কুফলও মানুষকে ভোগ করতে হয়। প্রায়ই পাহাড় ধসসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন মারা গিয়েছিল, আহত হয়েছিল চার শতাধিক। নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে কমছে গাছপালা, বিপন্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
পাহাড়কে বাদ দিয়ে প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের কথা ভাবা যায় না। দেশের পাহাড়গুলো রক্ষা করা না গেলে ইকোসিস্টেম রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। মানুষের অবিবেচক ভূমিকার কারণে অনেক পাহাড়ের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। বাকি যেসব পাহাড় আছে সেগুলো কতদিন টিকবে সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা বলতে চাই, দেশে পাহাড় কাটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পাহাড় কাটার মূলহোতারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। স্থানীয় একটি চক্র রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দিয়ে পাহাড় কাটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, পাহাড় কাটার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পাহাড় কাটা ও দখল বন্ধ করার জন্য আইন রয়েছে। পাহাড় কেটে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। কর্তৃপক্ষকে মাঝে মাঝে অভিযান চালাতে দেখা যায়। অভিযানে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়। কখনো কখনো জেল-জরিমানাও করা হয় বলে জানা যায়। তারপরও পাহাড় কাটা ও দখল ঠেকানো যাচ্ছে না।
দশকের পর দশক ধরে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী মিলে পাহাড় কেটে দখল করেই চলছে। কেবল যে মুষ্টিমেয় একটি গোষ্ঠী অবৈধভাবে পাহাড় কাটছে বা দখল করছে তা নয়। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষই পাহাড় কাটা ও দখলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
অবৈধভাবে পাহাড় কাটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এর কুফলও মানুষকে ভোগ করতে হয়। প্রায়ই পাহাড় ধসসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন মারা গিয়েছিল, আহত হয়েছিল চার শতাধিক। নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে কমছে গাছপালা, বিপন্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
পাহাড়কে বাদ দিয়ে প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের কথা ভাবা যায় না। দেশের পাহাড়গুলো রক্ষা করা না গেলে ইকোসিস্টেম রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। মানুষের অবিবেচক ভূমিকার কারণে অনেক পাহাড়ের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। বাকি যেসব পাহাড় আছে সেগুলো কতদিন টিকবে সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা বলতে চাই, দেশে পাহাড় কাটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পাহাড় কাটার মূলহোতারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।