alt

সম্পাদকীয়

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। স্থানীয় একটি চক্র রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দিয়ে পাহাড় কাটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, পাহাড় কাটার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পাহাড় কাটা ও দখল বন্ধ করার জন্য আইন রয়েছে। পাহাড় কেটে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। কর্তৃপক্ষকে মাঝে মাঝে অভিযান চালাতে দেখা যায়। অভিযানে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়। কখনো কখনো জেল-জরিমানাও করা হয় বলে জানা যায়। তারপরও পাহাড় কাটা ও দখল ঠেকানো যাচ্ছে না।

দশকের পর দশক ধরে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী মিলে পাহাড় কেটে দখল করেই চলছে। কেবল যে মুষ্টিমেয় একটি গোষ্ঠী অবৈধভাবে পাহাড় কাটছে বা দখল করছে তা নয়। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষই পাহাড় কাটা ও দখলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।

অবৈধভাবে পাহাড় কাটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এর কুফলও মানুষকে ভোগ করতে হয়। প্রায়ই পাহাড় ধসসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন মারা গিয়েছিল, আহত হয়েছিল চার শতাধিক। নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে কমছে গাছপালা, বিপন্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।

পাহাড়কে বাদ দিয়ে প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের কথা ভাবা যায় না। দেশের পাহাড়গুলো রক্ষা করা না গেলে ইকোসিস্টেম রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। মানুষের অবিবেচক ভূমিকার কারণে অনেক পাহাড়ের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। বাকি যেসব পাহাড় আছে সেগুলো কতদিন টিকবে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, দেশে পাহাড় কাটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পাহাড় কাটার মূলহোতারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। স্থানীয় একটি চক্র রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দিয়ে পাহাড় কাটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, পাহাড় কাটার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পাহাড় কাটা ও দখল বন্ধ করার জন্য আইন রয়েছে। পাহাড় কেটে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। কর্তৃপক্ষকে মাঝে মাঝে অভিযান চালাতে দেখা যায়। অভিযানে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়। কখনো কখনো জেল-জরিমানাও করা হয় বলে জানা যায়। তারপরও পাহাড় কাটা ও দখল ঠেকানো যাচ্ছে না।

দশকের পর দশক ধরে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী মিলে পাহাড় কেটে দখল করেই চলছে। কেবল যে মুষ্টিমেয় একটি গোষ্ঠী অবৈধভাবে পাহাড় কাটছে বা দখল করছে তা নয়। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষই পাহাড় কাটা ও দখলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।

অবৈধভাবে পাহাড় কাটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এর কুফলও মানুষকে ভোগ করতে হয়। প্রায়ই পাহাড় ধসসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন মারা গিয়েছিল, আহত হয়েছিল চার শতাধিক। নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে কমছে গাছপালা, বিপন্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।

পাহাড়কে বাদ দিয়ে প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের কথা ভাবা যায় না। দেশের পাহাড়গুলো রক্ষা করা না গেলে ইকোসিস্টেম রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। মানুষের অবিবেচক ভূমিকার কারণে অনেক পাহাড়ের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। বাকি যেসব পাহাড় আছে সেগুলো কতদিন টিকবে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, দেশে পাহাড় কাটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পাহাড় কাটার মূলহোতারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

back to top