এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৭৫ দশমিক ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী। আমরা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই। যারা পরীক্ষায় কোন কারণে কৃতকার্য হতে পারেনি তারা হাল ছাড়বে না, লড়াইটা চালিয়ে যাবে- সেই প্রত্যাশা করি।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল অর্জন করতে পারেনি। হতাশা থেকে অনেকেই হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়। কেউবা বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে না পারা শিক্ষার্থীদের এখন পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আরো ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।
পাসের হারের বিবেচনায় গতবারের তুলনায় এবারের ফলকে ভালো বলা যায় না। এ বছর শিক্ষার্থী পাস করেছে আগের তিন বছরের তুলনায় বেশ কম। পাসের হার গতবারের চেয়ে কমেছে ৮ শতাংশ। ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার হার কমেছে গতবারের চেয়ে অর্ধেকের বেশি। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বেশ কয়েক বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষভাবে শ্রেণী কার্যাক্রমে অংশ নিতে পারেনি দীর্ঘ একটা সময়জুড়ে। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যকক্রম চললেও অনেক শিক্ষার্থীই তাতে নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি। ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। অটোপাস দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে।
২০২১ সালে পরীক্ষা হয়েছিল বিভাগভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে। সেবার পাস করেছিল প্রায় ৯৬ শতাংশ। গত বছর পরীক্ষা হয়েছিল অর্ধেক নম্বরের ভিত্তিতে। তখন পাস করেছিল ৮৪ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে এ বছর একটি বিষয় ছাড়া বাকি সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে পূর্ণ নম্বরে। পরীক্ষার ফলে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমরা বলতে চাই, লেখাপড়ায় সংখ্যাগত উন্নতির চেয়ে গুণগত উন্নতি নিশ্চিত করা জরুরি। পাস বা জিপিএর হার কত সেটার চেয়ে জরুরি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হয়েছে কিনা।
এবারও পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের পাসের হার ছেলেদের তুলনায় ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ৩৬৫ জন; আর ছেলেদের মধ্যে ৪৩ হাজার ২৩০ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের এই অর্জন আমাদের আশাবাদী করে। তারা ধারাবাহিকভাবে পাবলিক পরীক্ষায় ভালো করছে। যথাযথ সুযোগ পেলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ পেলে মেয়েরাও যেসব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে সেটার প্রমাণ তারা বারবারই দিচ্ছে। এই অর্জনে তাদের জানাই অভিনন্দন।
সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৭৫ দশমিক ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী। আমরা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই। যারা পরীক্ষায় কোন কারণে কৃতকার্য হতে পারেনি তারা হাল ছাড়বে না, লড়াইটা চালিয়ে যাবে- সেই প্রত্যাশা করি।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল অর্জন করতে পারেনি। হতাশা থেকে অনেকেই হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়। কেউবা বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে না পারা শিক্ষার্থীদের এখন পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আরো ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।
পাসের হারের বিবেচনায় গতবারের তুলনায় এবারের ফলকে ভালো বলা যায় না। এ বছর শিক্ষার্থী পাস করেছে আগের তিন বছরের তুলনায় বেশ কম। পাসের হার গতবারের চেয়ে কমেছে ৮ শতাংশ। ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার হার কমেছে গতবারের চেয়ে অর্ধেকের বেশি। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বেশ কয়েক বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষভাবে শ্রেণী কার্যাক্রমে অংশ নিতে পারেনি দীর্ঘ একটা সময়জুড়ে। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যকক্রম চললেও অনেক শিক্ষার্থীই তাতে নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি। ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। অটোপাস দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে।
২০২১ সালে পরীক্ষা হয়েছিল বিভাগভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে। সেবার পাস করেছিল প্রায় ৯৬ শতাংশ। গত বছর পরীক্ষা হয়েছিল অর্ধেক নম্বরের ভিত্তিতে। তখন পাস করেছিল ৮৪ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে এ বছর একটি বিষয় ছাড়া বাকি সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে পূর্ণ নম্বরে। পরীক্ষার ফলে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমরা বলতে চাই, লেখাপড়ায় সংখ্যাগত উন্নতির চেয়ে গুণগত উন্নতি নিশ্চিত করা জরুরি। পাস বা জিপিএর হার কত সেটার চেয়ে জরুরি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হয়েছে কিনা।
এবারও পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের পাসের হার ছেলেদের তুলনায় ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ৩৬৫ জন; আর ছেলেদের মধ্যে ৪৩ হাজার ২৩০ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের এই অর্জন আমাদের আশাবাদী করে। তারা ধারাবাহিকভাবে পাবলিক পরীক্ষায় ভালো করছে। যথাযথ সুযোগ পেলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ পেলে মেয়েরাও যেসব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে সেটার প্রমাণ তারা বারবারই দিচ্ছে। এই অর্জনে তাদের জানাই অভিনন্দন।