alt

সম্পাদকীয়

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

: সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ। ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসুন, সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন’।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৯ হাজার ৫৬টি মামলা হয়েছে। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ১৮ হাজার ৫৩টি মামলা হয়েছে। চলতি বছর ও গত বছর মামলার ৫২ শতাংশই ছিল ধর্ষণের, আগের চার বছরে এই হার ছিল ৪৮ শতাংশের নিচে।

মহিলা পরিষদের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে গত ১০ মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৫৭৫ নারী ও কন্যাশিশু। নির্যাতনের ধরনে সবচেয়ে বেশি হত্যা এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধরন ধর্ষণ।

নারী ও শিশু নির্যাতন এখনো বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিদিনই গণমাধ্যমে এ নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশিত হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে তার অধিকাংশই লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। খুব কম খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আইন কঠোর করা হয়েছে। আইন কঠিন হওয়ার পরও নির্যাতন-ধর্ষণের কদর্য রূপ দেখতে হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, আইনের কাঠিন্য আর এর বাস্তব প্রয়োগে দুর্বলতা নির্যাতক ও ধর্ষকদের আরও উগ্র হতে উসকানি দিচ্ছে কিনা। অনেকে মনে করেন, আইন কঠোর হওয়ার চেয়ে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন বেশি জরুরি।

দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, স্বজনদের মাধ্যমেই নারী ও শিশুরা বেশি নির্যাতিত হয়। এর কারণ কী সেটা সংশ্লিষ্টরা খুঁজে দেখতে পারেন। সরকারকেও বিষয়টি ভাবতে হবে।

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের অনেক হয়রানি পোহাতে হয়। আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হলেও অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনেই ঘুরপাক খেতে থাকে অনেক মামলা। এই অবস্থার অবসান ঘটানো জরুরি।

শুধু আইন দিয়ে নির্যাতন বন্ধ করা কঠিন। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি। মানুষকে নির্যাতন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

tab

সম্পাদকীয়

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ। ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসুন, সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন’।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৯ হাজার ৫৬টি মামলা হয়েছে। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ১৮ হাজার ৫৩টি মামলা হয়েছে। চলতি বছর ও গত বছর মামলার ৫২ শতাংশই ছিল ধর্ষণের, আগের চার বছরে এই হার ছিল ৪৮ শতাংশের নিচে।

মহিলা পরিষদের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে গত ১০ মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৫৭৫ নারী ও কন্যাশিশু। নির্যাতনের ধরনে সবচেয়ে বেশি হত্যা এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধরন ধর্ষণ।

নারী ও শিশু নির্যাতন এখনো বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিদিনই গণমাধ্যমে এ নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশিত হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে তার অধিকাংশই লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। খুব কম খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আইন কঠোর করা হয়েছে। আইন কঠিন হওয়ার পরও নির্যাতন-ধর্ষণের কদর্য রূপ দেখতে হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, আইনের কাঠিন্য আর এর বাস্তব প্রয়োগে দুর্বলতা নির্যাতক ও ধর্ষকদের আরও উগ্র হতে উসকানি দিচ্ছে কিনা। অনেকে মনে করেন, আইন কঠোর হওয়ার চেয়ে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন বেশি জরুরি।

দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, স্বজনদের মাধ্যমেই নারী ও শিশুরা বেশি নির্যাতিত হয়। এর কারণ কী সেটা সংশ্লিষ্টরা খুঁজে দেখতে পারেন। সরকারকেও বিষয়টি ভাবতে হবে।

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের অনেক হয়রানি পোহাতে হয়। আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হলেও অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনেই ঘুরপাক খেতে থাকে অনেক মামলা। এই অবস্থার অবসান ঘটানো জরুরি।

শুধু আইন দিয়ে নির্যাতন বন্ধ করা কঠিন। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি। মানুষকে নির্যাতন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

back to top