alt

সম্পাদকীয়

নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

: বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর জেলে পদ্মা নদী ও এর শাখা নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধ করা না গেলে মাছসহ জলজ প্রাণ-প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়বে।

অতীতেও দেশে কারন্টে জালের ব্যবহার হতে দেখা গেছে। আর পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা-উপজেলায় প্রথম চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার শুরু হয় বলে জানা যায়। এখন দেশের সব অঞ্চলেই মৎস্যসম্পদের জন্য ক্ষতিকর এ জাল ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু রাজবাড়ীই নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায়ই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।

মৎস্য অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, দেশে মাছ ধরার জালের ফাঁসের অনুমোদিত পরিমাপ সাড়ে ৫ সেন্টিমিটার (সংশোধিত আইন)। জালের ‘ফাঁস’-এর চেয়ে কম হলে তা আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। তাই এ ধরনের জাল ব্যবহার করার কোন সুযোগ নেই।

আইনে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও দেশে অবাধে এ ধরনের জাল ব্যবহার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর জেলে জেনে না-জেনে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও জেলেরা কেন এই জাল ব্যবহার করছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবহার করলে জেল-জরিমানা হতে পারে সেটা অনেকে জানেন। কখনো কখনো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযুক্তদের জেল-জরিমানার দন্ড দেয়াও হচ্ছে। সেই খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তারপরেও এ জালের ব্যবহার থামছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

কম পরিশ্রমে বেশি মাছ ধরতে পারায় কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল জেলেদের কাছে জনপ্রিয়। তাদের ভাষ্য, অল্প পুঁজিতে এসব জাল দিয়ে অনেক মাছ পাওয়া যায়।

মৎস্য গবেষকদের মতে, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনছে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল। কোনো মাছ বা জলজ প্রাণী এই জালে একবার ধরা পড়লে আর বের হতে পারে না, তাই অনেক বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী মারা পড়ে। সেগুলোর বংশবৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে।

আমরা বলতে চাই, নিয়মিত অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জাল ধ্বংস করতে হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না।

নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো জেলেদের বোঝাতে হবে। সামান্য লাভের জন্য জলজ পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করা কাম্য নয়। মৎসসম্পদ বিপন্ন হলে জেলেরাও একসময় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর জেলে পদ্মা নদী ও এর শাখা নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধ করা না গেলে মাছসহ জলজ প্রাণ-প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়বে।

অতীতেও দেশে কারন্টে জালের ব্যবহার হতে দেখা গেছে। আর পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা-উপজেলায় প্রথম চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার শুরু হয় বলে জানা যায়। এখন দেশের সব অঞ্চলেই মৎস্যসম্পদের জন্য ক্ষতিকর এ জাল ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু রাজবাড়ীই নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায়ই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।

মৎস্য অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, দেশে মাছ ধরার জালের ফাঁসের অনুমোদিত পরিমাপ সাড়ে ৫ সেন্টিমিটার (সংশোধিত আইন)। জালের ‘ফাঁস’-এর চেয়ে কম হলে তা আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। তাই এ ধরনের জাল ব্যবহার করার কোন সুযোগ নেই।

আইনে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও দেশে অবাধে এ ধরনের জাল ব্যবহার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর জেলে জেনে না-জেনে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও জেলেরা কেন এই জাল ব্যবহার করছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবহার করলে জেল-জরিমানা হতে পারে সেটা অনেকে জানেন। কখনো কখনো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযুক্তদের জেল-জরিমানার দন্ড দেয়াও হচ্ছে। সেই খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তারপরেও এ জালের ব্যবহার থামছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

কম পরিশ্রমে বেশি মাছ ধরতে পারায় কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল জেলেদের কাছে জনপ্রিয়। তাদের ভাষ্য, অল্প পুঁজিতে এসব জাল দিয়ে অনেক মাছ পাওয়া যায়।

মৎস্য গবেষকদের মতে, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনছে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল। কোনো মাছ বা জলজ প্রাণী এই জালে একবার ধরা পড়লে আর বের হতে পারে না, তাই অনেক বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী মারা পড়ে। সেগুলোর বংশবৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে।

আমরা বলতে চাই, নিয়মিত অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জাল ধ্বংস করতে হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না।

নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো জেলেদের বোঝাতে হবে। সামান্য লাভের জন্য জলজ পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করা কাম্য নয়। মৎসসম্পদ বিপন্ন হলে জেলেরাও একসময় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

back to top