alt

সম্পাদকীয়

শরণখোলা হাসপাতালে লোকবল নিয়োগে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

বাগেরহাটে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নেই চাহিদা মোতাবেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসহকারী। ১১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র সাতজন। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।

শুধু যে চিকিৎসকের অভাব তা নয়, স্বাস্থ্যসহকারীর ১৬টি পদই শূন্য। হাসপাতালে চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দরকার। রয়েছেন মাত্র একজন। একজন করে লোক দিয়ে চালানো হচ্ছে ল্যাবরেটরি, রেডিওগ্রাফি, কার্ডিওগ্রাফার ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কাজ। এতে রোগীদের সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। লোকবল না থাকায় রোগীরা এক্স-রে, ইসিজিসহ অন্যান্য পরীক্ষা বাইরে থেকে করাচ্ছেন। ফলে রোগীদের বাড়তি অর্থও গুনতে হচ্ছে।

বাগেরহাট স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসহকারী নিয়োগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ ব্যবস্থা নেবে তা কেউ জানে না।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা দিতে চিকিৎসাকেন্দ্র করা হয়েছে, সেটা ভালো কথা। শুধু চিকিৎসাকেন্দ্র থাকলেই হয় না। প্রয়োজনীয় জনবলেরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নেই। দীর্ঘদিন ধরে কেন পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন।

জনবল নিয়োগের কালক্ষেপণে সাধারণ মানুষ মানসম্মত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রান্তিক মানুষ যদি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পায় তাহলে তারা আর কোথায় যাবে! তাই দ্রুত চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে হবে।

শুধু শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে লোকবলের অভাবে প্রান্তিক জনপদের মানুষ চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসকই নেই। নেই সেবিকা। রোগ নির্ণয়ের সরঞ্জাম আছে কিন্তু লোকবল নেই। ওষুধ নেই। সে ওষুধ অসাধু কর্মচারীদের পকেটে চলে গেছে। হাসপাতাল নিয়ে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।

আমরা বলতে চাই, শরণখোলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রান্তিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য যে হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে, সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরির ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করব, প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।

পাখির বাসস্থান সংরক্ষণে চাই সামাজিক উদ্যোগ

আবারও রক্ত ঝরল পাহাড়ে

খেলনায় সিসা : শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে

আইন হাতে তুলে নেওয়ার অপসংস্কৃতির অবসান হোক

বর্জ্যে বিপন্ন করতোয়া

নারী ফুটবলের মুকুটে আরেকটি পালক

সরকারি সম্পদের অপব্যবহার নয়

সার সংকটের অভিযোগ আমলে নিন

জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করুন

তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ টেকসইভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে

ফুটপাত দখলমুক্ত হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশের মনোবল ফেরানো জরুরি

মৌসুমি অসুখ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

মেলা আয়োজনে বাধা কেন

এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি সফল হোক

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন

ধোপাজান নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন

চলনবিলে পাখি শিকার : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

tab

সম্পাদকীয়

শরণখোলা হাসপাতালে লোকবল নিয়োগে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

বাগেরহাটে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নেই চাহিদা মোতাবেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসহকারী। ১১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র সাতজন। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।

শুধু যে চিকিৎসকের অভাব তা নয়, স্বাস্থ্যসহকারীর ১৬টি পদই শূন্য। হাসপাতালে চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দরকার। রয়েছেন মাত্র একজন। একজন করে লোক দিয়ে চালানো হচ্ছে ল্যাবরেটরি, রেডিওগ্রাফি, কার্ডিওগ্রাফার ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কাজ। এতে রোগীদের সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। লোকবল না থাকায় রোগীরা এক্স-রে, ইসিজিসহ অন্যান্য পরীক্ষা বাইরে থেকে করাচ্ছেন। ফলে রোগীদের বাড়তি অর্থও গুনতে হচ্ছে।

বাগেরহাট স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসহকারী নিয়োগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ ব্যবস্থা নেবে তা কেউ জানে না।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা দিতে চিকিৎসাকেন্দ্র করা হয়েছে, সেটা ভালো কথা। শুধু চিকিৎসাকেন্দ্র থাকলেই হয় না। প্রয়োজনীয় জনবলেরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নেই। দীর্ঘদিন ধরে কেন পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন।

জনবল নিয়োগের কালক্ষেপণে সাধারণ মানুষ মানসম্মত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রান্তিক মানুষ যদি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পায় তাহলে তারা আর কোথায় যাবে! তাই দ্রুত চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে হবে।

শুধু শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে লোকবলের অভাবে প্রান্তিক জনপদের মানুষ চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসকই নেই। নেই সেবিকা। রোগ নির্ণয়ের সরঞ্জাম আছে কিন্তু লোকবল নেই। ওষুধ নেই। সে ওষুধ অসাধু কর্মচারীদের পকেটে চলে গেছে। হাসপাতাল নিয়ে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।

আমরা বলতে চাই, শরণখোলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রান্তিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য যে হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে, সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরির ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করব, প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।

back to top