বাগেরহাটে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নেই চাহিদা মোতাবেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসহকারী। ১১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র সাতজন। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
শুধু যে চিকিৎসকের অভাব তা নয়, স্বাস্থ্যসহকারীর ১৬টি পদই শূন্য। হাসপাতালে চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দরকার। রয়েছেন মাত্র একজন। একজন করে লোক দিয়ে চালানো হচ্ছে ল্যাবরেটরি, রেডিওগ্রাফি, কার্ডিওগ্রাফার ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কাজ। এতে রোগীদের সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। লোকবল না থাকায় রোগীরা এক্স-রে, ইসিজিসহ অন্যান্য পরীক্ষা বাইরে থেকে করাচ্ছেন। ফলে রোগীদের বাড়তি অর্থও গুনতে হচ্ছে।
বাগেরহাট স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসহকারী নিয়োগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ ব্যবস্থা নেবে তা কেউ জানে না।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা দিতে চিকিৎসাকেন্দ্র করা হয়েছে, সেটা ভালো কথা। শুধু চিকিৎসাকেন্দ্র থাকলেই হয় না। প্রয়োজনীয় জনবলেরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নেই। দীর্ঘদিন ধরে কেন পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন।
জনবল নিয়োগের কালক্ষেপণে সাধারণ মানুষ মানসম্মত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রান্তিক মানুষ যদি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পায় তাহলে তারা আর কোথায় যাবে! তাই দ্রুত চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে হবে।
শুধু শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে লোকবলের অভাবে প্রান্তিক জনপদের মানুষ চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসকই নেই। নেই সেবিকা। রোগ নির্ণয়ের সরঞ্জাম আছে কিন্তু লোকবল নেই। ওষুধ নেই। সে ওষুধ অসাধু কর্মচারীদের পকেটে চলে গেছে। হাসপাতাল নিয়ে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।
আমরা বলতে চাই, শরণখোলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রান্তিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য যে হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে, সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরির ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করব, প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
বাগেরহাটে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নেই চাহিদা মোতাবেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসহকারী। ১১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র সাতজন। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
শুধু যে চিকিৎসকের অভাব তা নয়, স্বাস্থ্যসহকারীর ১৬টি পদই শূন্য। হাসপাতালে চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দরকার। রয়েছেন মাত্র একজন। একজন করে লোক দিয়ে চালানো হচ্ছে ল্যাবরেটরি, রেডিওগ্রাফি, কার্ডিওগ্রাফার ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কাজ। এতে রোগীদের সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। লোকবল না থাকায় রোগীরা এক্স-রে, ইসিজিসহ অন্যান্য পরীক্ষা বাইরে থেকে করাচ্ছেন। ফলে রোগীদের বাড়তি অর্থও গুনতে হচ্ছে।
বাগেরহাট স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসহকারী নিয়োগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ ব্যবস্থা নেবে তা কেউ জানে না।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা দিতে চিকিৎসাকেন্দ্র করা হয়েছে, সেটা ভালো কথা। শুধু চিকিৎসাকেন্দ্র থাকলেই হয় না। প্রয়োজনীয় জনবলেরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নেই। দীর্ঘদিন ধরে কেন পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন।
জনবল নিয়োগের কালক্ষেপণে সাধারণ মানুষ মানসম্মত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রান্তিক মানুষ যদি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পায় তাহলে তারা আর কোথায় যাবে! তাই দ্রুত চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে হবে।
শুধু শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে লোকবলের অভাবে প্রান্তিক জনপদের মানুষ চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসকই নেই। নেই সেবিকা। রোগ নির্ণয়ের সরঞ্জাম আছে কিন্তু লোকবল নেই। ওষুধ নেই। সে ওষুধ অসাধু কর্মচারীদের পকেটে চলে গেছে। হাসপাতাল নিয়ে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।
আমরা বলতে চাই, শরণখোলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রান্তিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য যে হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে, সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরির ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করব, প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।