alt

সম্পাদকীয়

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ আমলে নিন

: শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় নামমাত্র দামে ৪৬টি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাউশিয়া, ভবেরচর, ইমামপুর, ভাটেরচর, বালুয়াকান্দি এলাকার এসব গাছ বিক্রি করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকায়। সেই হিসাবে প্রতিটি গাছের গড় দাম ৩ হাজার ১৯৫ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাছগুলো বর্তমান বাজার মূল্যের চাইতে অনেক কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। কম দামে গাছ বিক্রির জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে উপজেলা বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ নতুন নয়। অতীতেও এমন অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেসব অভিযোগের কোনো সুরাহা করা হয় কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হলে নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অপসংস্কৃতি এখনো চলতে পারত না বলে আমরা মনে করি।

কেউ চাইলেই রাষ্ট্রের মালিকানাধীন কোনো গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে পারেন না। গাছ বিক্রির একটা প্রক্রিয়া আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো সবুজ গাছ কাটার সুযোগ নেই। আর মরা গাছ যদি বিক্রি করতে হয় তাহলে প্রথমে উপজেলা বন সংরক্ষণ কমিটির কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এর পরের ধাপে যেতে হয় জেলা বন সংরক্ষণ কমিটির কাছে। তারপর যেতে হবে বিভাগীয় পর্যায়ে।

এসব স্তরে অনুমোদন মিললে গাছের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। জানা গেছে, বন বিভাগের কর্মকর্তা দিয়ে গাছের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। এরপর উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করতে হয়। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে কিনা সেটা জানতে হবে।

হাইকোর্ট বলেছে, একটি গাছ কাটলে তার বিপরীতে লাগাতে হবে ১০টি গাছ। জনস্বার্থে একান্ত প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দু-একটি গাছ অপসারণ করা যাবে। তবে কাটার আগে গাছ লাগাতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, আদালতের এ কথা কি গজারিয়ায় অনুসরণ করা হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, মুন্সীগঞ্জে নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। এর জন্য যে বা যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ আমলে নিন

শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় নামমাত্র দামে ৪৬টি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাউশিয়া, ভবেরচর, ইমামপুর, ভাটেরচর, বালুয়াকান্দি এলাকার এসব গাছ বিক্রি করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকায়। সেই হিসাবে প্রতিটি গাছের গড় দাম ৩ হাজার ১৯৫ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাছগুলো বর্তমান বাজার মূল্যের চাইতে অনেক কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। কম দামে গাছ বিক্রির জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে উপজেলা বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ নতুন নয়। অতীতেও এমন অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেসব অভিযোগের কোনো সুরাহা করা হয় কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হলে নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অপসংস্কৃতি এখনো চলতে পারত না বলে আমরা মনে করি।

কেউ চাইলেই রাষ্ট্রের মালিকানাধীন কোনো গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে পারেন না। গাছ বিক্রির একটা প্রক্রিয়া আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো সবুজ গাছ কাটার সুযোগ নেই। আর মরা গাছ যদি বিক্রি করতে হয় তাহলে প্রথমে উপজেলা বন সংরক্ষণ কমিটির কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এর পরের ধাপে যেতে হয় জেলা বন সংরক্ষণ কমিটির কাছে। তারপর যেতে হবে বিভাগীয় পর্যায়ে।

এসব স্তরে অনুমোদন মিললে গাছের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। জানা গেছে, বন বিভাগের কর্মকর্তা দিয়ে গাছের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। এরপর উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করতে হয়। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে কিনা সেটা জানতে হবে।

হাইকোর্ট বলেছে, একটি গাছ কাটলে তার বিপরীতে লাগাতে হবে ১০টি গাছ। জনস্বার্থে একান্ত প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দু-একটি গাছ অপসারণ করা যাবে। তবে কাটার আগে গাছ লাগাতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, আদালতের এ কথা কি গজারিয়ায় অনুসরণ করা হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, মুন্সীগঞ্জে নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। এর জন্য যে বা যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top