alt

সম্পাদকীয়

টেকসই শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি

: শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২৬ বছর পেরিয়েছে কিন্তু সেটা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ৭২টি ধারা ছিল। সরকার দাবি করে, চুক্তির বেশিরভাগ ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে ভূমি বিরোধের টেকসই সমাধান হয়নি আজও।

পার্বত্যাঞ্চলে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মূল কারণ হচ্ছে ভূমি বিরোধ। ভূমি বিরোধ মেটানো না গেলে সেখানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। ভূমি বিরোধ না মেটা ও চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রধান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বিভিন্ন সময় হতাশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে সরকার বলছে, জেএসএস-এর সহযোগিতার অভাবে চুক্তির সফল বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূমি কমিশনকে কার্যকর করে ভূমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তি করা গেলে পাহাড়ের মৌলিক একটি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। কিন্তু এ কাজে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

২২ বছর আগে ২০০১ সালে ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। তবে আইনটি নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। বিতর্ক নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে আইনটি সংশোধনও করা হয়। সংশোধনের পর প্রায় সাত বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু বিধিমালা চূড়ান্ত করা যায়নি। এই কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।

ভূমি কমিশনকে কার্যকর করে ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি করা জরুরি। আমরা আশা করব, ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা দ্রুত তৈরি করা হবে।

সরকার বলছে, পাহাড়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে পাহাড়ে টেকসইভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। টেকসই শান্তির জন্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করতে হবে। তাদের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। এজন্য ভূমির বিরোধ মেটানো দরকার। পাহাড়িদের স্বশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা না হলে এসব লক্ষ্য ভবিষ্যতেও অর্জিত হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমরা মনে করি, এই সংশয় দূর করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

টেকসই শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি

শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২৬ বছর পেরিয়েছে কিন্তু সেটা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ৭২টি ধারা ছিল। সরকার দাবি করে, চুক্তির বেশিরভাগ ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে ভূমি বিরোধের টেকসই সমাধান হয়নি আজও।

পার্বত্যাঞ্চলে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মূল কারণ হচ্ছে ভূমি বিরোধ। ভূমি বিরোধ মেটানো না গেলে সেখানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। ভূমি বিরোধ না মেটা ও চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রধান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বিভিন্ন সময় হতাশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে সরকার বলছে, জেএসএস-এর সহযোগিতার অভাবে চুক্তির সফল বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূমি কমিশনকে কার্যকর করে ভূমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তি করা গেলে পাহাড়ের মৌলিক একটি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। কিন্তু এ কাজে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

২২ বছর আগে ২০০১ সালে ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। তবে আইনটি নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। বিতর্ক নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে আইনটি সংশোধনও করা হয়। সংশোধনের পর প্রায় সাত বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু বিধিমালা চূড়ান্ত করা যায়নি। এই কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।

ভূমি কমিশনকে কার্যকর করে ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি করা জরুরি। আমরা আশা করব, ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা দ্রুত তৈরি করা হবে।

সরকার বলছে, পাহাড়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে পাহাড়ে টেকসইভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। টেকসই শান্তির জন্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করতে হবে। তাদের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। এজন্য ভূমির বিরোধ মেটানো দরকার। পাহাড়িদের স্বশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা না হলে এসব লক্ষ্য ভবিষ্যতেও অর্জিত হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমরা মনে করি, এই সংশয় দূর করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

back to top