alt

সম্পাদকীয়

নাব্য সংকট দূর করুন

: বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। পানি কমে তৈরি হয়েছে ডুবোচর। এতে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। প্রায়ই ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে নৌযান। জেলার নদীবন্দর ব্যবহারে সৃষ্টি হচ্ছে ভোগান্তি। ভুক্তভোগীরা নৌবন্দরে প্রবেশের চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের দাবি করেছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, ফরিদপুরের একমাত্র নদীবন্দর দিয়ে কমবেশি ৪০ ধরনের পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়া করা হয়। নাব্য কমে যাওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারে না। এতে করে পণ্য ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনই জাহাজের মালিক-শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

নৌপথের নাব্য কমে গেল কেবল যে পণ্য পরিবহনের কাজেই বিঘ্ন ঘটে তা নয়। নৌপথ ব্যবহারকারী সাধারণ যাত্রীরাও অসুবিধার সম্মুখীন হন। দেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে অনেক নদ-নদী। যাতায়াত সহজ ও আরামদায়ক হওয়ায় সুদূর অতীত থেকে মানুষ নৌপথে ব্যবহার করে আসছে। নৌপথে যাতায়াতে বা পণ্য পরিবহনের খরচ সড়ক বা অন্য যে কোনো পথের চেয়ে বেশ কম। সমস্যা হচ্ছে নাব্য সংকটসহ নানা কারণে দিন দিন দেশের নৌপথ কমে যাচ্ছে। ১৯৬০-২০২০ সাল পর্যন্ত গত ছয় দশকে দেশের নৌপথ অর্ধেক কমে গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে নদ-নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৪ হাজার কিলোমিটার। তবে সবস্থানেই নৌযান চলাচল করে না। এর মধ্যে এখন মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটারে নৌযান চলাচল করতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে নদনদীর পানি কমে যায়। তখন নৌযান চলাচল করার মতো নৌপথ থাকে ৪ হাজার ৩৪৭ কিলোমিটার।

তবে আশার কথা হলো সরকার নৌপথের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছে। হারিয়ে যাওয়া নৌপথ ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজও করছে। দেশের অনেক নদনদীতে নৌপথ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। কোনোকোনো নৌপথ খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আবার অনেক নৌপথে নাব্য ফিরিয়ে আনা যায়নি।

আমরা বলতে চাই, ফরিদপুর নদীবন্দরকে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। এ লক্ষ্যে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য জরুরিভিত্তিতে খনন কাজ শুরু করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এখনও গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী খনন করা হয়। নদী খনন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অটোমেশন এবং ডিজিটালাইজেশন এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি খনন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

নাব্য সংকট দূর করুন

বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। পানি কমে তৈরি হয়েছে ডুবোচর। এতে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। প্রায়ই ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে নৌযান। জেলার নদীবন্দর ব্যবহারে সৃষ্টি হচ্ছে ভোগান্তি। ভুক্তভোগীরা নৌবন্দরে প্রবেশের চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের দাবি করেছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, ফরিদপুরের একমাত্র নদীবন্দর দিয়ে কমবেশি ৪০ ধরনের পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়া করা হয়। নাব্য কমে যাওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারে না। এতে করে পণ্য ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনই জাহাজের মালিক-শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

নৌপথের নাব্য কমে গেল কেবল যে পণ্য পরিবহনের কাজেই বিঘ্ন ঘটে তা নয়। নৌপথ ব্যবহারকারী সাধারণ যাত্রীরাও অসুবিধার সম্মুখীন হন। দেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে অনেক নদ-নদী। যাতায়াত সহজ ও আরামদায়ক হওয়ায় সুদূর অতীত থেকে মানুষ নৌপথে ব্যবহার করে আসছে। নৌপথে যাতায়াতে বা পণ্য পরিবহনের খরচ সড়ক বা অন্য যে কোনো পথের চেয়ে বেশ কম। সমস্যা হচ্ছে নাব্য সংকটসহ নানা কারণে দিন দিন দেশের নৌপথ কমে যাচ্ছে। ১৯৬০-২০২০ সাল পর্যন্ত গত ছয় দশকে দেশের নৌপথ অর্ধেক কমে গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে নদ-নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৪ হাজার কিলোমিটার। তবে সবস্থানেই নৌযান চলাচল করে না। এর মধ্যে এখন মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটারে নৌযান চলাচল করতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে নদনদীর পানি কমে যায়। তখন নৌযান চলাচল করার মতো নৌপথ থাকে ৪ হাজার ৩৪৭ কিলোমিটার।

তবে আশার কথা হলো সরকার নৌপথের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছে। হারিয়ে যাওয়া নৌপথ ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজও করছে। দেশের অনেক নদনদীতে নৌপথ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। কোনোকোনো নৌপথ খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আবার অনেক নৌপথে নাব্য ফিরিয়ে আনা যায়নি।

আমরা বলতে চাই, ফরিদপুর নদীবন্দরকে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। এ লক্ষ্যে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য জরুরিভিত্তিতে খনন কাজ শুরু করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এখনও গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী খনন করা হয়। নদী খনন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অটোমেশন এবং ডিজিটালাইজেশন এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি খনন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top