alt

সম্পাদকীয়

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

: বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নদ-নদীতে সেতু নির্মাণের আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু যশোরের সাতটি নদ-নদীতে সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নেয়া হয়নি কোনো অনুমোদন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ করেছে কম উচ্চতার সেতু। একটি-দুটি নয়- এভাবে তারা সাতটি সেতু তৈরি করেছে। সাতটির উচ্চতাই কম। এসব সেতু নির্মাণ বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিঠি দিলেও এলজিইডি তা আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

নদ-নদীর উপর নির্মিত সেতুর উচ্চতা কম হলে নানাবিধ সমস্যা হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এ কারণে সেতু নির্মাণ করতে হয় নদীর পানির প্রবাহ, বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত বিষয় প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে। শুধু যশোরেই নয় দেশের অনেক স্থানেই দেখা যায়, সেতুর উচ্চতা কম থাকায় তার নিচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে নৌযান চলাচল করতে পারে না। বর্ষা মৌসুমে দেশের অনেক নৌপথ এ কারণে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এটা সংশ্লিষ্টদের না জানার কথা নয়। তারপরও কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী- এটা একটা প্রশ্ন। সেতুর উচ্চতা কম হলে কার লাভ হয় আর কার ক্ষতি হয়?

এর আগে বিআইডব্লিউটিএ দেশের ৯৯টি সেতুর ওপর জরিপ চালিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এসব সেতুর মধ্যে ৮৫টিরই উচ্চতা প্রয়োজনের তুলনায় কম। নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার বেশ কিছু সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। তাবে কম উচ্চতার সেতু নির্মাণের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটানো যায়নি।

নৌ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, দেশে এমন সেতু ও স্থাপনা নির্মাণ করার নিয়ম নেই। সেতু তৈরি করতে হলে নৌ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়ে। বাস্তবে দেখা যায়, বিভিন্ন নদী ও খালের উপর ছাড়পত্র ছাড়াই সেতু নির্মিত হয়েছে; যেমনটা হয়েছে যশোরে।

আমরা বলতে চাই, নিয়ম ভেঙে কম উচ্চতার সেতু তৈরির অপসংস্কৃতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। সেতু নির্মাণে যারা নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা দিতে হবে। সড়ক, রেল ও নৌপথের সঙ্গে সমন্বয় করে সড়ক-সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। কোন একটি সংস্থা বা বিভাগের অপরিকল্পিত কাজের কারণে অন্য কোন সংস্থা বা বিভাগের পরিকল্পনা কিংবা সম্ভাবনা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

সড়কটি আর কবে পাকা হবে

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

পৌর এলাকায় ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করুন

বনদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলে-বাওয়ালিদের রক্ষা করুন

tab

সম্পাদকীয়

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নদ-নদীতে সেতু নির্মাণের আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু যশোরের সাতটি নদ-নদীতে সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নেয়া হয়নি কোনো অনুমোদন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ করেছে কম উচ্চতার সেতু। একটি-দুটি নয়- এভাবে তারা সাতটি সেতু তৈরি করেছে। সাতটির উচ্চতাই কম। এসব সেতু নির্মাণ বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিঠি দিলেও এলজিইডি তা আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

নদ-নদীর উপর নির্মিত সেতুর উচ্চতা কম হলে নানাবিধ সমস্যা হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এ কারণে সেতু নির্মাণ করতে হয় নদীর পানির প্রবাহ, বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত বিষয় প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে। শুধু যশোরেই নয় দেশের অনেক স্থানেই দেখা যায়, সেতুর উচ্চতা কম থাকায় তার নিচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে নৌযান চলাচল করতে পারে না। বর্ষা মৌসুমে দেশের অনেক নৌপথ এ কারণে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এটা সংশ্লিষ্টদের না জানার কথা নয়। তারপরও কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী- এটা একটা প্রশ্ন। সেতুর উচ্চতা কম হলে কার লাভ হয় আর কার ক্ষতি হয়?

এর আগে বিআইডব্লিউটিএ দেশের ৯৯টি সেতুর ওপর জরিপ চালিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এসব সেতুর মধ্যে ৮৫টিরই উচ্চতা প্রয়োজনের তুলনায় কম। নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার বেশ কিছু সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। তাবে কম উচ্চতার সেতু নির্মাণের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটানো যায়নি।

নৌ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, দেশে এমন সেতু ও স্থাপনা নির্মাণ করার নিয়ম নেই। সেতু তৈরি করতে হলে নৌ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়ে। বাস্তবে দেখা যায়, বিভিন্ন নদী ও খালের উপর ছাড়পত্র ছাড়াই সেতু নির্মিত হয়েছে; যেমনটা হয়েছে যশোরে।

আমরা বলতে চাই, নিয়ম ভেঙে কম উচ্চতার সেতু তৈরির অপসংস্কৃতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। সেতু নির্মাণে যারা নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা দিতে হবে। সড়ক, রেল ও নৌপথের সঙ্গে সমন্বয় করে সড়ক-সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। কোন একটি সংস্থা বা বিভাগের অপরিকল্পিত কাজের কারণে অন্য কোন সংস্থা বা বিভাগের পরিকল্পনা কিংবা সম্ভাবনা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।

back to top