ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের শিক্ষা প্রক্রিয়াগুলো পাঠশালা বা সাধারণ শিক্ষামূলক পদ্ধতির বাইরে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ কর্মসূচি শুরু করে দেশের বিভিন্ন জেলায়। রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ প্রকল্প নেয়া হয়। এ বিভাগের ৮ জেলায় ২,৪৮৬টি শিখন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এ কর্মসূচির শিক্ষার্থী ছিল ৭৫ হাজার ৩৩৭ জন। কর্মসূচি চলে দুই বছর। শেষ হয় গত জুন মাসে। প্রকল্পের নিয়মে ১ম শ্রেণী থেকে ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ৬ মাস পড়ানো হয়। আর ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ১ বছর।
প্রকল্প অর্থ সংকটে পড়ে। গত জুন মাসে প্রকল্প শেষ হওয়ার চিঠি দেয়া হয় বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো। ৭৬ হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মাঝপথে শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ঝরেপড়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত দরিদ্র পরিবারের। অনেকে সংসারের প্রয়োজনে ছোটবেলা থেকেই রোজগারে নামতে হয়। তখন অেেনকে ১০ বছর বয়সে বা তার আগেও ঝরে পড়ে। তারা এ প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান, দক্ষতা ও স্বাধীনতা এবং সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে শেখা বা অনুভব করানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
ঝরেপড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সুযোগ পেয়ে জীবন গড়ার স্বপ্ন পূরণে বিভোর ছিল; কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ যদি মাঝপথেই শেষ হয়ে যায় তাহলে শিক্ষার্থীদের কী অবস্থা হবে সেটা ভেবে দেখতে হবে সংশ্লিষ্টদের। ঝরেপড়া দরিদ্র পরিবারের শিশুদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এটার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি তুলেছেন।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুরা পড়াশোনা শেখার জন্য প্রতি বছর বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় ঠিকই কিন্তু সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঝরে পড়ে। শিশুরা স্কুলে ভর্তি হয় তারপর দারিদ্র্যের কষাঘাতে পড়ে পঞ্চম শ্রেণী আর পেরোতে পারে না। ঝরে পড়ে শিক্ষাজীবন থেকে। দেশে শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করে এসডিজি অর্জনে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চলমান রাখতে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ কর্মসূচির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। আর এ বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টদের আমলে নেয়া দরকার।
শিশুরা যাতে ঝরে না পড়ে এজন্য সরকারি উদ্যোগে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতে শিশুদের শিক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সরকারের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা প্রকল্পের মেয়াদ চলমান রাখার দাবির বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে নজর দেবেন- এটা আমরা আশা করব।
বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৩
ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের শিক্ষা প্রক্রিয়াগুলো পাঠশালা বা সাধারণ শিক্ষামূলক পদ্ধতির বাইরে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ কর্মসূচি শুরু করে দেশের বিভিন্ন জেলায়। রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ প্রকল্প নেয়া হয়। এ বিভাগের ৮ জেলায় ২,৪৮৬টি শিখন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এ কর্মসূচির শিক্ষার্থী ছিল ৭৫ হাজার ৩৩৭ জন। কর্মসূচি চলে দুই বছর। শেষ হয় গত জুন মাসে। প্রকল্পের নিয়মে ১ম শ্রেণী থেকে ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ৬ মাস পড়ানো হয়। আর ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ১ বছর।
প্রকল্প অর্থ সংকটে পড়ে। গত জুন মাসে প্রকল্প শেষ হওয়ার চিঠি দেয়া হয় বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো। ৭৬ হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মাঝপথে শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ঝরেপড়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত দরিদ্র পরিবারের। অনেকে সংসারের প্রয়োজনে ছোটবেলা থেকেই রোজগারে নামতে হয়। তখন অেেনকে ১০ বছর বয়সে বা তার আগেও ঝরে পড়ে। তারা এ প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান, দক্ষতা ও স্বাধীনতা এবং সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে শেখা বা অনুভব করানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
ঝরেপড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সুযোগ পেয়ে জীবন গড়ার স্বপ্ন পূরণে বিভোর ছিল; কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ যদি মাঝপথেই শেষ হয়ে যায় তাহলে শিক্ষার্থীদের কী অবস্থা হবে সেটা ভেবে দেখতে হবে সংশ্লিষ্টদের। ঝরেপড়া দরিদ্র পরিবারের শিশুদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এটার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি তুলেছেন।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুরা পড়াশোনা শেখার জন্য প্রতি বছর বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় ঠিকই কিন্তু সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঝরে পড়ে। শিশুরা স্কুলে ভর্তি হয় তারপর দারিদ্র্যের কষাঘাতে পড়ে পঞ্চম শ্রেণী আর পেরোতে পারে না। ঝরে পড়ে শিক্ষাজীবন থেকে। দেশে শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করে এসডিজি অর্জনে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চলমান রাখতে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ কর্মসূচির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। আর এ বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টদের আমলে নেয়া দরকার।
শিশুরা যাতে ঝরে না পড়ে এজন্য সরকারি উদ্যোগে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতে শিশুদের শিক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সরকারের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা প্রকল্পের মেয়াদ চলমান রাখার দাবির বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে নজর দেবেন- এটা আমরা আশা করব।