নওগাঁর বদলগাছীর ভান্ডারপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও ভান্ডারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহে দুই দিন বোরবার ও বৃহস্পতিবার বসে কাঁচামালের হাট। ওই দুই দিন হাটের লোকজন ঠেলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ঢুকতে হয়। হাটের লোকজনদের হট্টগোলে বিদ্যালয় দুটির শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যালয়ে মূল ফটক দখল করে কাঁচামাল নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে হাটের বর্জ্যে বিদ্যালয়ের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
শিশুদের শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মানসিক বিকাশে খেলার মাঠ জরুরি। খেলাধুলার মাধ্যমে বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। কিন্তু মাঠ থাকতেও ওই শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তারা ক্লাসের বিরতির সময় খেলাধুলা করতে পারে না।
প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ থাকা দরকার কিন্তু দেখা যায় অনেক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। আবার যেসব বিদ্যালয়ে আছে খেলার মাঠ, সেগুলোর অনেক মাঠই নানা কারণে দখল হয়ে যায়। কখনওবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনটি ঘটেছে নওগাঁর বদলগাছীর ভান্ডারপুর বিদ্যালয় দুটির ক্ষেত্রে। তাদের খেলার মাঠ আছে। কিন্তু সে মাঠ হাটের ইজারাদারের দখলে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। খেলার মাঠ ইজারা দিয়ে হাট বসানো হবে- এটা কাম্য হতে পারে না। কোনো সভ্য দেশে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে হাট বসানো হয়েছে, এমন উদাহরণ আমাদের জানা নেই।
হাটের ইজারাদারের দাবি, ৪১ লাখ টাকায় হাট ইজারা নিয়েছি। নিজ খরচে বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার করেছি। ট্রাক লোড করার জন্য তাই বিদ্যালয়ের মাঠটি ব্যবহার করি। প্রশ্ন হচ্ছে, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ লিজ দিয়েছে কে বা কারা। তারা কোন বিবেচনায় কী কারণে লিজ দিলেন সেটা জানা দরকার।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের কর্তৃপক্ষ বলছে, মাঠে হাট বসানোর কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, এলাকার মানুষ যদি চায়, তাহলে বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাট সরানো হবে। আমরা বলতে চাই, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া আর খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে শিখবে। স্কুলের মাঠে সবজির হাট বসানো হলে সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। স্কুলের খেলার মাঠ যেন শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
শুধু বদলগাছীর ভান্ডারপুর গ্রামেই যে স্কুলের খেলার মাঠ দখল করে হাট বসানোর ঘটনা ঘটছে তা নয়, দেশের অনেক অঞ্চলে প্রভাবশালীরা এভাবে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে হাট বসায়। আমরা মনে করি, সব বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। তারা যেন সেখানে অবাধে খেলাধুলা করতে পারে তার ব্যবস্থা করেতে হবে। কেউ যদি মাঠ দখল করে থাকে তাহলে সেটা দখলমুক্ত করতে হবে।
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
নওগাঁর বদলগাছীর ভান্ডারপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও ভান্ডারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহে দুই দিন বোরবার ও বৃহস্পতিবার বসে কাঁচামালের হাট। ওই দুই দিন হাটের লোকজন ঠেলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ঢুকতে হয়। হাটের লোকজনদের হট্টগোলে বিদ্যালয় দুটির শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যালয়ে মূল ফটক দখল করে কাঁচামাল নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে হাটের বর্জ্যে বিদ্যালয়ের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
শিশুদের শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মানসিক বিকাশে খেলার মাঠ জরুরি। খেলাধুলার মাধ্যমে বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। কিন্তু মাঠ থাকতেও ওই শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তারা ক্লাসের বিরতির সময় খেলাধুলা করতে পারে না।
প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ থাকা দরকার কিন্তু দেখা যায় অনেক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। আবার যেসব বিদ্যালয়ে আছে খেলার মাঠ, সেগুলোর অনেক মাঠই নানা কারণে দখল হয়ে যায়। কখনওবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনটি ঘটেছে নওগাঁর বদলগাছীর ভান্ডারপুর বিদ্যালয় দুটির ক্ষেত্রে। তাদের খেলার মাঠ আছে। কিন্তু সে মাঠ হাটের ইজারাদারের দখলে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। খেলার মাঠ ইজারা দিয়ে হাট বসানো হবে- এটা কাম্য হতে পারে না। কোনো সভ্য দেশে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে হাট বসানো হয়েছে, এমন উদাহরণ আমাদের জানা নেই।
হাটের ইজারাদারের দাবি, ৪১ লাখ টাকায় হাট ইজারা নিয়েছি। নিজ খরচে বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার করেছি। ট্রাক লোড করার জন্য তাই বিদ্যালয়ের মাঠটি ব্যবহার করি। প্রশ্ন হচ্ছে, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ লিজ দিয়েছে কে বা কারা। তারা কোন বিবেচনায় কী কারণে লিজ দিলেন সেটা জানা দরকার।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের কর্তৃপক্ষ বলছে, মাঠে হাট বসানোর কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, এলাকার মানুষ যদি চায়, তাহলে বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাট সরানো হবে। আমরা বলতে চাই, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া আর খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে শিখবে। স্কুলের মাঠে সবজির হাট বসানো হলে সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। স্কুলের খেলার মাঠ যেন শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
শুধু বদলগাছীর ভান্ডারপুর গ্রামেই যে স্কুলের খেলার মাঠ দখল করে হাট বসানোর ঘটনা ঘটছে তা নয়, দেশের অনেক অঞ্চলে প্রভাবশালীরা এভাবে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে হাট বসায়। আমরা মনে করি, সব বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। তারা যেন সেখানে অবাধে খেলাধুলা করতে পারে তার ব্যবস্থা করেতে হবে। কেউ যদি মাঠ দখল করে থাকে তাহলে সেটা দখলমুক্ত করতে হবে।