মৎস্যজীবী তালিকার কার্ড নবায়ন, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ঘর দেয়ার নাম করে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা এ অনিয়মের বিরুদ্ধে গত রোববার বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তারা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পুটিখালী ইউনিয়নে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উক্ত জনপ্রতিনিধি মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে গ্রামের দরিদ্র মায়েদের কাছ থেকে ১০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে মৎস্যজীবীদের তালিকা নবায়ন করার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি; কিন্তু তিনি মৎস্যজীবীদের কার্ড নবায়ন করার কথা বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। আর যারা টাকা দিতে পারেননি, তিনি তাদের নাম তালিকা থেকে কেটে দিয়েছেন।
অভিযোগের শেষ এখানেই নয়। দরিদ্রদের চাল আত্মসাৎসহ সরকারের সামাজিক বেষ্টনী প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলেও অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত জনপ্রতিনিধি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে জনগণ অভিযোগ জানানোর পরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিল না কেন- সেটা একটা প্রশ্ন।
মোরেলগঞ্জের পুটিখালী ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার একটি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। অভিযোগের সত্যতা পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকার বেশ কিছু কার্যক্রম চালু করেছে। গরিব অসহায় দুস্থদের কল্যাণার্থে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি কার্ড, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, শিশু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, শিক্ষা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা সরকার করেছে। এতে যে ভাতাভোগীরা অনেক সুবিধাভোগ ও উপকৃত হচ্ছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না; কিন্তু প্রায়ই শোনা যায় তাদের ভাতার টাকা নয়ছয় হওয়ার কথা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি অসাধু কর্মকর্তা, না হয় কোনো জালিয়াতি চক্র তাদের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। নানা কৌশলে যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ছাড় দেয়া চলবে না। প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে। কৃতকর্মের জন্য অপরাধীকে সাজা ভোগ করতে হবে- এটাই আইনের বিধান।
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
মৎস্যজীবী তালিকার কার্ড নবায়ন, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ঘর দেয়ার নাম করে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা এ অনিয়মের বিরুদ্ধে গত রোববার বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তারা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পুটিখালী ইউনিয়নে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উক্ত জনপ্রতিনিধি মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে গ্রামের দরিদ্র মায়েদের কাছ থেকে ১০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে মৎস্যজীবীদের তালিকা নবায়ন করার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি; কিন্তু তিনি মৎস্যজীবীদের কার্ড নবায়ন করার কথা বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। আর যারা টাকা দিতে পারেননি, তিনি তাদের নাম তালিকা থেকে কেটে দিয়েছেন।
অভিযোগের শেষ এখানেই নয়। দরিদ্রদের চাল আত্মসাৎসহ সরকারের সামাজিক বেষ্টনী প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলেও অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত জনপ্রতিনিধি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে জনগণ অভিযোগ জানানোর পরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিল না কেন- সেটা একটা প্রশ্ন।
মোরেলগঞ্জের পুটিখালী ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার একটি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। অভিযোগের সত্যতা পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকার বেশ কিছু কার্যক্রম চালু করেছে। গরিব অসহায় দুস্থদের কল্যাণার্থে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি কার্ড, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, শিশু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, শিক্ষা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা সরকার করেছে। এতে যে ভাতাভোগীরা অনেক সুবিধাভোগ ও উপকৃত হচ্ছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না; কিন্তু প্রায়ই শোনা যায় তাদের ভাতার টাকা নয়ছয় হওয়ার কথা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি অসাধু কর্মকর্তা, না হয় কোনো জালিয়াতি চক্র তাদের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। নানা কৌশলে যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ছাড় দেয়া চলবে না। প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে। কৃতকর্মের জন্য অপরাধীকে সাজা ভোগ করতে হবে- এটাই আইনের বিধান।