রংপুরের পীরগাছায় একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সেখানকার ৬০টি গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। সেতুটি ছিল আড়াইকুঁড়ি নদীর ওপর। অভিযোগ উঠেছে, আড়াইকুঁড়ি নদীটি খনন করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। এ কারণে নদীর প্রবল স্রোতে সেতু ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নদী খনন করা হয়েছে, সেটা ভালো কথা। তবে খনন পরিকল্পনামাফিক হবে সেটাই কাম্য। নদীটির ওপর একটি সেতু আছে, সেটারও ছিল করুণ অবস্থা। বছর ত্রিশেক আগে একবার সংস্কার করা হয়েছিল সেতুটি। বিষয়গুলো নদী খননের সময় সংশ্লিষ্টদের মাথায় ছিল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। খননের কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা ও অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন এবং বৃষ্টির পানি ছেড়ে দেয়ার জন্য বাঁধগুলো কেটে দেয়ায় পানির প্রবল স্রোতে সেতুটি ভেঙে গেছে। এসব অভিযোগ তুলছে প্রকৌশল বিভাগ।
দেশের মরণাপন্ন ও মরে যাওয়া নদীগুলোকে রক্ষার জন্য সেগুলো খনন করা জরুরি; কিন্তু সেই খনন প্রক্রিয়া ইকোলজি ও পরিবেশের ক্ষতি না করে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করতে হবে। আশপাশের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও স্থাপনা বাঁচানোর দিকটিও গুরুত্বের মধ্যে আনতে হবে। এক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নদী গবেষণা, কৃষি বিভাগ ও বিআইডব্লিউটিএসহ অংশীজনদের সঙ্গে যৌথভাবে পরিকল্পনা ও প্রয়োগ কার্যব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জরুরীভিত্তিতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আমরাও চাই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আড়াইকুঁড়ি নদীর ওপর স্থায়ী একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। তবে দেশে বিভিন্ন স্থানে সেতু নির্মাণের সময় সংশ্লিষ্টদের কালক্ষেপণ, অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে নানা কথা ওঠে। পীরগাছায় এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কোনোরকম অনিয়ম ও দুর্নীতি ছাড়াই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সেখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে- এটাই আমরা দেখতে চাই।
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
রংপুরের পীরগাছায় একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সেখানকার ৬০টি গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। সেতুটি ছিল আড়াইকুঁড়ি নদীর ওপর। অভিযোগ উঠেছে, আড়াইকুঁড়ি নদীটি খনন করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। এ কারণে নদীর প্রবল স্রোতে সেতু ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নদী খনন করা হয়েছে, সেটা ভালো কথা। তবে খনন পরিকল্পনামাফিক হবে সেটাই কাম্য। নদীটির ওপর একটি সেতু আছে, সেটারও ছিল করুণ অবস্থা। বছর ত্রিশেক আগে একবার সংস্কার করা হয়েছিল সেতুটি। বিষয়গুলো নদী খননের সময় সংশ্লিষ্টদের মাথায় ছিল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। খননের কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা ও অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন এবং বৃষ্টির পানি ছেড়ে দেয়ার জন্য বাঁধগুলো কেটে দেয়ায় পানির প্রবল স্রোতে সেতুটি ভেঙে গেছে। এসব অভিযোগ তুলছে প্রকৌশল বিভাগ।
দেশের মরণাপন্ন ও মরে যাওয়া নদীগুলোকে রক্ষার জন্য সেগুলো খনন করা জরুরি; কিন্তু সেই খনন প্রক্রিয়া ইকোলজি ও পরিবেশের ক্ষতি না করে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করতে হবে। আশপাশের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও স্থাপনা বাঁচানোর দিকটিও গুরুত্বের মধ্যে আনতে হবে। এক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নদী গবেষণা, কৃষি বিভাগ ও বিআইডব্লিউটিএসহ অংশীজনদের সঙ্গে যৌথভাবে পরিকল্পনা ও প্রয়োগ কার্যব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জরুরীভিত্তিতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আমরাও চাই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আড়াইকুঁড়ি নদীর ওপর স্থায়ী একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। তবে দেশে বিভিন্ন স্থানে সেতু নির্মাণের সময় সংশ্লিষ্টদের কালক্ষেপণ, অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে নানা কথা ওঠে। পীরগাছায় এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কোনোরকম অনিয়ম ও দুর্নীতি ছাড়াই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সেখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে- এটাই আমরা দেখতে চাই।