alt

সম্পাদকীয়

ক্যান্সারের চিকিৎসায় বৈষম্য দূর হোক

: রোববার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ক্যান্সারকে এক সময় দুরারোগ্য ব্যধি হিসেবে গণ্য করা হতো। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে ক্যান্সার নিরাময় ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ ক্যান্সার থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে, শুরুতেই রোগ শনাক্ত করা এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা।

যে দুটো কাজ সবচেয়ে জরুরি সেখানেই রয়েছে সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের ক্যান্সার রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। এর একটি কারণ হচ্ছে, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে অনেকেই সুস্পষ্ট ধারণা রাখেন না বা প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসার গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হন। আরেকটি কারণ ও নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষ রোগের চিকিৎসা তো দূরের কথা রোগ শনাক্ত করার জন্য যে অর্থ ব্যয় হয় তা নির্বাহ করার মতো সামর্থ্য রাখেন না।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে বিশ্বজুড়েই। তবে বাংলাদেশে এ সমস্যা বোধগম্য কারণে একটু বেশিই। এখানে সরকারি চিকিৎসাসেবা অপ্রতুল। আবার ক্যান্সারের যে চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে তা প্রধানত বড় নগরকেন্দ্রিক। দেশের মানুষের বড় একটি অংশের পক্ষে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা খরচ মেটানোর সামর্থ্য নেই। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষ চিকিৎসার ক্ষেত্রে শিকার হচ্ছেন বৈষম্যের। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশে এমন অনেক মানুষকেই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেও সেটা জানতেও পারেন না। কারণ চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য তাদের নেই।

রোববার ছিল হচ্ছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘বৈষম্য দূর করি, ক্যান্সার চিকিৎসা নিশ্চিত করি।’ প্রশ্ন হচ্ছে, ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেশে বিদ্যমান বৈষম্য কীভাবে দূর করা সম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সারবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইএআরসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে এক লাখ ১৬ হাজার ৫৯৮ জন মারা গেছেন ক্যান্সারে। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সময় বলেছেন, দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ১৫ থেকে ২০ লাখ। এসব রোগীর কতজন চিকিৎসাসেবা পান সেটা একটা প্রশ্ন।

দেশে ক্যান্সারে আক্রান্তদের প্রতি বৈষম্য নিরসন হোক, তাদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত হোক সেটা আমাদের চাওয়া। আমরা এমন এক ব্যবস্থার আকাক্সক্ষা করি যেখানে ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রতিটি মানুষ অন্তত প্রাথমিক সেবা ও চিকিৎসাসেবা পাবেন। সব মানুষের জন্য সুলভে আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে।

পাশাপাশি ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। এর উপসর্গগুলো তাদের জানাতে হবে। তারা যেন চিকিৎসা নিতে বিলম্ব না করেন সেটা বোঝাতে হবে। রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। মানুষকে সঠিক জীবনাচারণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেয়া গেলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন। নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সেটা আমাদের আশা।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

ক্যান্সারের চিকিৎসায় বৈষম্য দূর হোক

রোববার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ক্যান্সারকে এক সময় দুরারোগ্য ব্যধি হিসেবে গণ্য করা হতো। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে ক্যান্সার নিরাময় ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ ক্যান্সার থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে, শুরুতেই রোগ শনাক্ত করা এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা।

যে দুটো কাজ সবচেয়ে জরুরি সেখানেই রয়েছে সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের ক্যান্সার রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। এর একটি কারণ হচ্ছে, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে অনেকেই সুস্পষ্ট ধারণা রাখেন না বা প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসার গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হন। আরেকটি কারণ ও নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষ রোগের চিকিৎসা তো দূরের কথা রোগ শনাক্ত করার জন্য যে অর্থ ব্যয় হয় তা নির্বাহ করার মতো সামর্থ্য রাখেন না।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে বিশ্বজুড়েই। তবে বাংলাদেশে এ সমস্যা বোধগম্য কারণে একটু বেশিই। এখানে সরকারি চিকিৎসাসেবা অপ্রতুল। আবার ক্যান্সারের যে চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে তা প্রধানত বড় নগরকেন্দ্রিক। দেশের মানুষের বড় একটি অংশের পক্ষে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা খরচ মেটানোর সামর্থ্য নেই। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষ চিকিৎসার ক্ষেত্রে শিকার হচ্ছেন বৈষম্যের। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশে এমন অনেক মানুষকেই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেও সেটা জানতেও পারেন না। কারণ চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য তাদের নেই।

রোববার ছিল হচ্ছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘বৈষম্য দূর করি, ক্যান্সার চিকিৎসা নিশ্চিত করি।’ প্রশ্ন হচ্ছে, ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেশে বিদ্যমান বৈষম্য কীভাবে দূর করা সম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সারবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইএআরসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে এক লাখ ১৬ হাজার ৫৯৮ জন মারা গেছেন ক্যান্সারে। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সময় বলেছেন, দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ১৫ থেকে ২০ লাখ। এসব রোগীর কতজন চিকিৎসাসেবা পান সেটা একটা প্রশ্ন।

দেশে ক্যান্সারে আক্রান্তদের প্রতি বৈষম্য নিরসন হোক, তাদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত হোক সেটা আমাদের চাওয়া। আমরা এমন এক ব্যবস্থার আকাক্সক্ষা করি যেখানে ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রতিটি মানুষ অন্তত প্রাথমিক সেবা ও চিকিৎসাসেবা পাবেন। সব মানুষের জন্য সুলভে আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে।

পাশাপাশি ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। এর উপসর্গগুলো তাদের জানাতে হবে। তারা যেন চিকিৎসা নিতে বিলম্ব না করেন সেটা বোঝাতে হবে। রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। মানুষকে সঠিক জীবনাচারণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেয়া গেলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন। নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সেটা আমাদের আশা।

back to top