alt

সম্পাদকীয়

এলপিজি বিক্রি করতে হবে নির্ধারিত দরে

: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিয়মিত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয়। গত রোববার ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। সেদিন থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। জানুয়ারি মাসে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪৩৩ টাকা; কিন্তু রাজশাহীতে নির্ধারিত দরে সিলিন্ডার মিলছে না। এতে ভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন।

বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে বা কমলে দেশেও এলপিজির দর বাড়ানো বা কমানো হয়। সমস্যা হচ্ছে বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। সাধারণত গৃহস্থালির কাজে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার বেশি ব্যবহৃত হয়। কেবল রাজশাহীতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই ভোক্তাদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

দেশে এলপিজি গ্যাসের দাম নিয়ে নৈরাজ্যের অবসান হচ্ছে না। দেশের একেক জায়গায় সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। এর আগে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে দাম নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই।

নির্ধারিত দরে বাজারে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান হচ্ছে প্রপেন ও বিউটেন। এ দুটোই আমদানি করতে হয়। সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন ও বিউটেন উভয়েরই ঘোষিত দাম বিবেচনায় নিয়ে দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই ব্যবসায়ীদের এলপিজি বিক্রি করে লোকসান দেবার কথা নয়। তারপরও কোনো কোনো ব্যবসায়ী এই দর নিয়ে সন্তষ্ট হচ্ছেন না বলে জানা যায়।

বেঁধে দেয়া দরে যদি এলপিজি সিলিন্ডার না বিক্রি হয় তাহলে নিয়মিত এর দাম নির্ধারণ করার মানে কী সেটা আমরা জানতে চাইব। আমরা বলতে চাই, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করার পর সেটা কার্যকর করতে হবে। কমিশনঘোষিত মূল্যহার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। কেবল একটা দাম নির্ধারণ করে দায়িত্ব সারলে চলে না। নির্ধারিত দরে ভোক্তারা সিলিন্ডার কিনতে পারছে কিনাÑ সেটা মনিটর করা জরুরি।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

এলপিজি বিক্রি করতে হবে নির্ধারিত দরে

শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিয়মিত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয়। গত রোববার ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। সেদিন থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। জানুয়ারি মাসে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪৩৩ টাকা; কিন্তু রাজশাহীতে নির্ধারিত দরে সিলিন্ডার মিলছে না। এতে ভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন।

বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে বা কমলে দেশেও এলপিজির দর বাড়ানো বা কমানো হয়। সমস্যা হচ্ছে বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। সাধারণত গৃহস্থালির কাজে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার বেশি ব্যবহৃত হয়। কেবল রাজশাহীতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই ভোক্তাদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

দেশে এলপিজি গ্যাসের দাম নিয়ে নৈরাজ্যের অবসান হচ্ছে না। দেশের একেক জায়গায় সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। এর আগে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে দাম নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই।

নির্ধারিত দরে বাজারে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান হচ্ছে প্রপেন ও বিউটেন। এ দুটোই আমদানি করতে হয়। সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন ও বিউটেন উভয়েরই ঘোষিত দাম বিবেচনায় নিয়ে দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই ব্যবসায়ীদের এলপিজি বিক্রি করে লোকসান দেবার কথা নয়। তারপরও কোনো কোনো ব্যবসায়ী এই দর নিয়ে সন্তষ্ট হচ্ছেন না বলে জানা যায়।

বেঁধে দেয়া দরে যদি এলপিজি সিলিন্ডার না বিক্রি হয় তাহলে নিয়মিত এর দাম নির্ধারণ করার মানে কী সেটা আমরা জানতে চাইব। আমরা বলতে চাই, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করার পর সেটা কার্যকর করতে হবে। কমিশনঘোষিত মূল্যহার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। কেবল একটা দাম নির্ধারণ করে দায়িত্ব সারলে চলে না। নির্ধারিত দরে ভোক্তারা সিলিন্ডার কিনতে পারছে কিনাÑ সেটা মনিটর করা জরুরি।

back to top