alt

opinion » editorial

কৃষিতে তামাক চাষের ক্ষতিকর প্রভাব

: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অনেক কৃষক তামাক আবাদ করেছেন। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি, মাতামুহুরী নদীর দুই তীরে, বনের জমি, পাহাড়ি টিলা ও সমতল ভূমিতে চলছে তামাক চাষ। চকরিয়ায় প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমি তামাক চাষের আওতায় রয়েছে। এতে উজাড় হয় যাচ্ছে বনের বৃক্ষরাজি। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ভারসাম্য। তামাক চুল্লির জ্বালানির জন্য অবৈধভাবে বনের গাছ কেটে লাকড়ি বানানো হচ্ছে।

চকরিয়া উপজেলায় আবাদি জমি ২২ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে তামাক চাষ হচ্ছে ৬২০ হেক্টর ফসলি জমিতে। বাকি জমিতে ধান, রবিশস্য ও শাক-সবজির উৎপাদন হচ্ছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে কৃষি বিভাগ। তবে এসব তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করছে পরিবেশবাদী সংগঠন। উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) জরিপ বলছে ভিন্ন কথা। তাদের তথ্য উপজেলায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক চাষের কারণে একদিকে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে তামাক চাষী ও তাদের পরিবারের লোকজন নানা রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। উৎপাদিত তামাক শোধন করার জন্য রয়েছে ১০ হাজার চুল্লি। এসব চুল্লিতে প্রতিবছর কাঠ পোড়ানো হচ্ছে ১০ কোটি টাকার।

তামাক চাষ থেকে বের হওয়ার জন্য সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। তামাক চাষে পরিবেশ ও মানুষের কী কী ক্ষতি হতে পারে, সেটা জানেন না প্রান্তিক চাষিরা। তাই এ ব্যাপারে তাদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। চাষিরা যদি সচেতন হোন, তাহলে তাদের মধ্যে বিকল্প ফসল উৎপাদনের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করে ফসলের আবাদে ফেরাতে প্রান্তিক কৃষকদের বেশি বেশি কৃষি প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার যদি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে অচিরেই চকরিয়ায় আর তামাক ছাড়া অন্য কোনো ফসল উৎপাদন হবে না। তখন সেখানে মানুষ ও অন্য প্রাণীদের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। এসব কথা বলেছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞরা যে কথা বলেছেন, সেগুলো বিবেচনায় নেয়া হবে- এটা আমাদের আশা।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

কৃষিতে তামাক চাষের ক্ষতিকর প্রভাব

শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অনেক কৃষক তামাক আবাদ করেছেন। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি, মাতামুহুরী নদীর দুই তীরে, বনের জমি, পাহাড়ি টিলা ও সমতল ভূমিতে চলছে তামাক চাষ। চকরিয়ায় প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমি তামাক চাষের আওতায় রয়েছে। এতে উজাড় হয় যাচ্ছে বনের বৃক্ষরাজি। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ভারসাম্য। তামাক চুল্লির জ্বালানির জন্য অবৈধভাবে বনের গাছ কেটে লাকড়ি বানানো হচ্ছে।

চকরিয়া উপজেলায় আবাদি জমি ২২ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে তামাক চাষ হচ্ছে ৬২০ হেক্টর ফসলি জমিতে। বাকি জমিতে ধান, রবিশস্য ও শাক-সবজির উৎপাদন হচ্ছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে কৃষি বিভাগ। তবে এসব তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করছে পরিবেশবাদী সংগঠন। উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) জরিপ বলছে ভিন্ন কথা। তাদের তথ্য উপজেলায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক চাষের কারণে একদিকে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে তামাক চাষী ও তাদের পরিবারের লোকজন নানা রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। উৎপাদিত তামাক শোধন করার জন্য রয়েছে ১০ হাজার চুল্লি। এসব চুল্লিতে প্রতিবছর কাঠ পোড়ানো হচ্ছে ১০ কোটি টাকার।

তামাক চাষ থেকে বের হওয়ার জন্য সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। তামাক চাষে পরিবেশ ও মানুষের কী কী ক্ষতি হতে পারে, সেটা জানেন না প্রান্তিক চাষিরা। তাই এ ব্যাপারে তাদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। চাষিরা যদি সচেতন হোন, তাহলে তাদের মধ্যে বিকল্প ফসল উৎপাদনের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করে ফসলের আবাদে ফেরাতে প্রান্তিক কৃষকদের বেশি বেশি কৃষি প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার যদি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে অচিরেই চকরিয়ায় আর তামাক ছাড়া অন্য কোনো ফসল উৎপাদন হবে না। তখন সেখানে মানুষ ও অন্য প্রাণীদের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। এসব কথা বলেছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞরা যে কথা বলেছেন, সেগুলো বিবেচনায় নেয়া হবে- এটা আমাদের আশা।

back to top