কক্সবাজারের উখিয়ায় কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে সেখানকার বনভূমির আয়তনও। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সেখানে যত্রতত্র গড়ে তোলা হচ্ছে দালানকোঠা। বাড়িঘর নির্মাণে কাটা হচ্ছে বন ও পাহাড়। যে যার ইচ্ছেমতোই অপরিকল্পিতভাবে বাসস্থান তৈরি করছে।
উখিয়ায় মোট আবাদি জমি ১০ হাজার ৭০১ হেক্টর। অপরিকল্পিত নগরায়ন, বসতি স্থাপন, দপ্তর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য। ফসলিজমি যদি কমতে থাকে, তাহলে অদূর-ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। বনের আয়তন কমে গেলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হবে। জীববৈচিত্র্যেরও টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।
আবাসনেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটা করতে হবে পরিকল্পিতভাবে। খেয়াল-খুশিমতো যেখানে সেখানে ঘরবাড়ি গড়ে তোলা হলে পরিবেশ-প্রকৃতি বিপন্ন হবে। অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের কারণে দেশকে ইতোমধ্যে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। অপরিকল্পিত বাসস্থান গড়ে তোলার জন্য বনভূমি, জলাশয় ও কৃষিজমি হারাতে হয়েছে। এরপরও যদি মানুষ সচেতন না হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। এখনও যেটুকু কৃষিজমি, জলাভূমি ও বনের জমি অবশিষ্ট রয়েছে, তা আর রক্ষা করা যাবে না।
অপরিকল্পিতভাবে অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনবসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। অপরিকল্পিত আবাসন রোধ করতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে একটি সুচিন্তিত নীতিমালা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
আমরা বলতে চাই, আবাসন হতে হবে পরিকল্পিতভাবে। আবাদী জমি, বন, পাহাড় রক্ষা করে কিভাবে বসতি গড়ে তোলা যায় সেই উপায় খুঁজতে হবে। মানুষ ও প্রকৃতির সহবস্থান নিশ্চিত করা জরুরি। প্রকৃতিকে ধ্বংস করে মানববসতি গড়ে তোলা হলে সেটা টেকসই হবে না। উখিয়া বা দেশের অন্য কোনো জায়গায় আবাসনের কারণে কৃষিজমি ও বনের আয়তন যেন না কমে যায় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।
সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
কক্সবাজারের উখিয়ায় কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে সেখানকার বনভূমির আয়তনও। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সেখানে যত্রতত্র গড়ে তোলা হচ্ছে দালানকোঠা। বাড়িঘর নির্মাণে কাটা হচ্ছে বন ও পাহাড়। যে যার ইচ্ছেমতোই অপরিকল্পিতভাবে বাসস্থান তৈরি করছে।
উখিয়ায় মোট আবাদি জমি ১০ হাজার ৭০১ হেক্টর। অপরিকল্পিত নগরায়ন, বসতি স্থাপন, দপ্তর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য। ফসলিজমি যদি কমতে থাকে, তাহলে অদূর-ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। বনের আয়তন কমে গেলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হবে। জীববৈচিত্র্যেরও টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।
আবাসনেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটা করতে হবে পরিকল্পিতভাবে। খেয়াল-খুশিমতো যেখানে সেখানে ঘরবাড়ি গড়ে তোলা হলে পরিবেশ-প্রকৃতি বিপন্ন হবে। অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের কারণে দেশকে ইতোমধ্যে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। অপরিকল্পিত বাসস্থান গড়ে তোলার জন্য বনভূমি, জলাশয় ও কৃষিজমি হারাতে হয়েছে। এরপরও যদি মানুষ সচেতন না হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। এখনও যেটুকু কৃষিজমি, জলাভূমি ও বনের জমি অবশিষ্ট রয়েছে, তা আর রক্ষা করা যাবে না।
অপরিকল্পিতভাবে অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনবসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। অপরিকল্পিত আবাসন রোধ করতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে একটি সুচিন্তিত নীতিমালা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
আমরা বলতে চাই, আবাসন হতে হবে পরিকল্পিতভাবে। আবাদী জমি, বন, পাহাড় রক্ষা করে কিভাবে বসতি গড়ে তোলা যায় সেই উপায় খুঁজতে হবে। মানুষ ও প্রকৃতির সহবস্থান নিশ্চিত করা জরুরি। প্রকৃতিকে ধ্বংস করে মানববসতি গড়ে তোলা হলে সেটা টেকসই হবে না। উখিয়া বা দেশের অন্য কোনো জায়গায় আবাসনের কারণে কৃষিজমি ও বনের আয়তন যেন না কমে যায় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।