চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ তৈরির জন্য গত বছর ডিসেম্বরে ৮২০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর বস্তা ও ব্লক ফেলার কথা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুম চলে যাচ্ছে। কাজটি বর্ষার আগেই শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুতি এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে জানা গেছে।
বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার, নতুনবাজার রেলওয়ে বড়স্টেশন মোলহেড, পাইলট হাউস, যমুনা রোড, লঞ্চঘাটের টিলাবাড়ী, হরিসভা ও পশ্চিম শ্রীরামদী পয়েন্টগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। তখন এসব এলাকা হয়ে ওঠে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভাঙনে মানুষের বাড়িঘর, ফসলিজমি, জনপথ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নদীর তীররক্ষা বাঁধের প্রয়োজন রয়েছে। বন্যা ও অতিবৃষ্টির পানি যখন নদী উপচে পড়ে তখন কৃষকের ফসল-বাড়িঘর তলিয়ে যায়। মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়। তাই শহরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘শহর রক্ষা বাঁধ’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়ে থাকে। এতে কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল ও বসতভিটা রক্ষা পায়।
শহর রক্ষা বাঁধটির ৩ হাজার ৩৬০ মিটার এলাকার কাজ শেষ হলে এলাকাগুলোর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, বর্তমানে কাজটির নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুত চলছে। দরপত্র ডেকে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। তারপর ডিপিপি অনুযায়ী চলতি বছরের মে মাসে কাজ শুরু করা হবে এবং ২০২৭ সালে শেষ করা হবে।
শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে, এটা ভালো কথা। এখন কাজটি যেন দ্রুত শুরু করা হয় সেটাই আমাদের চাওয়া। এটি নিয়ে যেন অহেতুক ফাইল চালাচালি না করা হয়, সেটি কর্তৃপক্ষকে মাথায় নিতে হবে। কাজ দেরিতে শুরু হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সময়ক্ষেপণ হয়। এতে মানুষের দুর্ভোগও বেড়ে যায়। কোনো প্রকল্পের কাজ যদি সময়মতো শেষ না করা হয়, তাহলে সুফল ভোগ থেকে পিছিয়ে পড়ে জনগণ। তাই কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে।
মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ তৈরির জন্য গত বছর ডিসেম্বরে ৮২০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর বস্তা ও ব্লক ফেলার কথা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুম চলে যাচ্ছে। কাজটি বর্ষার আগেই শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুতি এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে জানা গেছে।
বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার, নতুনবাজার রেলওয়ে বড়স্টেশন মোলহেড, পাইলট হাউস, যমুনা রোড, লঞ্চঘাটের টিলাবাড়ী, হরিসভা ও পশ্চিম শ্রীরামদী পয়েন্টগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। তখন এসব এলাকা হয়ে ওঠে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভাঙনে মানুষের বাড়িঘর, ফসলিজমি, জনপথ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নদীর তীররক্ষা বাঁধের প্রয়োজন রয়েছে। বন্যা ও অতিবৃষ্টির পানি যখন নদী উপচে পড়ে তখন কৃষকের ফসল-বাড়িঘর তলিয়ে যায়। মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়। তাই শহরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘শহর রক্ষা বাঁধ’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়ে থাকে। এতে কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল ও বসতভিটা রক্ষা পায়।
শহর রক্ষা বাঁধটির ৩ হাজার ৩৬০ মিটার এলাকার কাজ শেষ হলে এলাকাগুলোর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, বর্তমানে কাজটির নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুত চলছে। দরপত্র ডেকে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। তারপর ডিপিপি অনুযায়ী চলতি বছরের মে মাসে কাজ শুরু করা হবে এবং ২০২৭ সালে শেষ করা হবে।
শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে, এটা ভালো কথা। এখন কাজটি যেন দ্রুত শুরু করা হয় সেটাই আমাদের চাওয়া। এটি নিয়ে যেন অহেতুক ফাইল চালাচালি না করা হয়, সেটি কর্তৃপক্ষকে মাথায় নিতে হবে। কাজ দেরিতে শুরু হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সময়ক্ষেপণ হয়। এতে মানুষের দুর্ভোগও বেড়ে যায়। কোনো প্রকল্পের কাজ যদি সময়মতো শেষ না করা হয়, তাহলে সুফল ভোগ থেকে পিছিয়ে পড়ে জনগণ। তাই কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে।