alt

সম্পাদকীয়

জিকে সেচ প্রকল্পের খালে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন

: বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহে পানি দিতে পারছে না গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প। কারণ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, কুষ্টিয়ায় তিনটি পাম্পের মধ্যে দুটি নষ্ট হয়ে গেছে, যে কারণে ঝিনাইদহে সেচের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কেবল ঝিনাইদদে নয়, মাগুরাতেও পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পাউবোর হিসাব অনুযায়ী, ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলায় জিকে সেচ খালের আওতায় সেচ যোগ্য জমি রয়েছে ২৭ হাজার হেক্টর। শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল এটি। গতবার খালে অল্পবিস্তর পানি সরবরাহ করা হলেও এবার খালটি সেচের পানি পায়নি, যে কারণে বিপাকে পড়েছে অনেক কৃষক।

জানা গেছে, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে খরচ হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু সেচের পানি না পেলে ডিজেলচালিত সেচ পাম্পের পানি ব্যবহার করতে হবে। তখন আবাদ করতে লাগবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে বহুগুণ।

১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। খালগুলো ভরাট হওয়ায় বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে বলে জানা যায়। আর বিভিন্ন সময় পাম্প নষ্ট থাকলে এর পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া যায় না।

এর আগে দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে।

বোরো মৌসুমে কৃষকরা সেচের পানি পাবে না সেটা হতে পারে না। কোনো কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়–ক সেটা আমরা চাই না। দ্রুত নষ্ট পাম্প মেরামত করে পানি সরবরাহ করা হবে সেটা আমাদের আশা। সংশ্লিষ্ট কৃষকরা যেন জিকে সেচ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সুফল পান সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

জিকে সেচ প্রকল্পের খালে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন

বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহে পানি দিতে পারছে না গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প। কারণ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, কুষ্টিয়ায় তিনটি পাম্পের মধ্যে দুটি নষ্ট হয়ে গেছে, যে কারণে ঝিনাইদহে সেচের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কেবল ঝিনাইদদে নয়, মাগুরাতেও পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পাউবোর হিসাব অনুযায়ী, ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলায় জিকে সেচ খালের আওতায় সেচ যোগ্য জমি রয়েছে ২৭ হাজার হেক্টর। শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল এটি। গতবার খালে অল্পবিস্তর পানি সরবরাহ করা হলেও এবার খালটি সেচের পানি পায়নি, যে কারণে বিপাকে পড়েছে অনেক কৃষক।

জানা গেছে, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে খরচ হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু সেচের পানি না পেলে ডিজেলচালিত সেচ পাম্পের পানি ব্যবহার করতে হবে। তখন আবাদ করতে লাগবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে বহুগুণ।

১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। খালগুলো ভরাট হওয়ায় বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে বলে জানা যায়। আর বিভিন্ন সময় পাম্প নষ্ট থাকলে এর পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া যায় না।

এর আগে দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে।

বোরো মৌসুমে কৃষকরা সেচের পানি পাবে না সেটা হতে পারে না। কোনো কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়–ক সেটা আমরা চাই না। দ্রুত নষ্ট পাম্প মেরামত করে পানি সরবরাহ করা হবে সেটা আমাদের আশা। সংশ্লিষ্ট কৃষকরা যেন জিকে সেচ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সুফল পান সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।

back to top