গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অবস্থিত দেশীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রেলক্রসিংটি অরক্ষিত। সেখানে নেই কোনো রেলগেট। অরক্ষিত রেলক্রসিং পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। সেখানে একটি রেলগেট নির্মাণের দাবি তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু গাজীপুরের এই একটি রেলপথই যে অরক্ষিত তা নয়। দেশজুড়ে এমন অনেক রেলক্রসিংই রয়েছে। দেশের ৮৫ শতাংশ রেলক্রসিংই অরক্ষিত বলে জানা যায়। রেলওয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে রেলক্রসিং আছে ২ হাজার ৫৬১টি। অনুমোদনহীন রেলক্রসিংয় রয়েছে ১ হাজার ৩২১টি।
রেল দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ হচ্ছে রেলগেট বা ব্যারিকেডহীন অরক্ষিত ক্রসিং। আবার ক্রসিংয়ের তুলনায় গেটম্যান কম। কোথাও কোথাও হয়তো অরক্ষিত ক্রসিংয়ে দায়সারা গোছের সতর্কবার্তা দেয়া হয়; কিন্তু বিপজ্জনক ক্রসিং পার হওয়ার সময় রেলের গতি কমানো হয় না, হুইসেল পর্যন্ত বাজানো হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির কোন দায় রেল কর্তৃপক্ষকে নিতে দেখা যায় না।
রেল খাতের উন্নয়নে সরকার অনেক প্রকল্পই নিয়েছে; কিন্তু এখনো দেশের অনেক রেলক্রসিংরে হতশ্রী দশা। ক্রসিংগুলোকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ করতে খুব বেশি অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়। তাহলে সেটা করা হচ্ছে না কেন?
আমরা বলতে চাই, গাজীপুরের উক্ত স্থানে রেলগেট নির্মাণের যে দাবি মানুষ তুলেছে তা যৌক্তিক। এ দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমলে নেবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমার দেখতে চাই। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। কখনো বাসের সঙ্গে, কখনো মাইক্রোবাসসহ অন্য যানবাহনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে এসব প্রাণহানি ঘটে। অথচ এসব ক্রসিং নিরাপদ করার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকারে নেইÑ এটা কাম্য নয়।
জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রেলক্রসিংয়গুলো সুরক্ষিত করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে কারো কোন অবহেলা-উদাসীনতা কাম্য নয়। শুধু তথাকথিত সতর্কবার্তা জারি করে দায়িত্ব সারলে চলবে না। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই রেলগেট বা ব্যারিকেড বসাতে হবে। প্রতিটি রেলগেটে যেন গেটম্যান থাকে সেটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বড় শহর বা নগরের মধ্যে থাকা রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেÑ সেটা আমাদের আশা।
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অবস্থিত দেশীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রেলক্রসিংটি অরক্ষিত। সেখানে নেই কোনো রেলগেট। অরক্ষিত রেলক্রসিং পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। সেখানে একটি রেলগেট নির্মাণের দাবি তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু গাজীপুরের এই একটি রেলপথই যে অরক্ষিত তা নয়। দেশজুড়ে এমন অনেক রেলক্রসিংই রয়েছে। দেশের ৮৫ শতাংশ রেলক্রসিংই অরক্ষিত বলে জানা যায়। রেলওয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে রেলক্রসিং আছে ২ হাজার ৫৬১টি। অনুমোদনহীন রেলক্রসিংয় রয়েছে ১ হাজার ৩২১টি।
রেল দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ হচ্ছে রেলগেট বা ব্যারিকেডহীন অরক্ষিত ক্রসিং। আবার ক্রসিংয়ের তুলনায় গেটম্যান কম। কোথাও কোথাও হয়তো অরক্ষিত ক্রসিংয়ে দায়সারা গোছের সতর্কবার্তা দেয়া হয়; কিন্তু বিপজ্জনক ক্রসিং পার হওয়ার সময় রেলের গতি কমানো হয় না, হুইসেল পর্যন্ত বাজানো হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির কোন দায় রেল কর্তৃপক্ষকে নিতে দেখা যায় না।
রেল খাতের উন্নয়নে সরকার অনেক প্রকল্পই নিয়েছে; কিন্তু এখনো দেশের অনেক রেলক্রসিংরে হতশ্রী দশা। ক্রসিংগুলোকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ করতে খুব বেশি অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়। তাহলে সেটা করা হচ্ছে না কেন?
আমরা বলতে চাই, গাজীপুরের উক্ত স্থানে রেলগেট নির্মাণের যে দাবি মানুষ তুলেছে তা যৌক্তিক। এ দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমলে নেবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমার দেখতে চাই। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। কখনো বাসের সঙ্গে, কখনো মাইক্রোবাসসহ অন্য যানবাহনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে এসব প্রাণহানি ঘটে। অথচ এসব ক্রসিং নিরাপদ করার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকারে নেইÑ এটা কাম্য নয়।
জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রেলক্রসিংয়গুলো সুরক্ষিত করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে কারো কোন অবহেলা-উদাসীনতা কাম্য নয়। শুধু তথাকথিত সতর্কবার্তা জারি করে দায়িত্ব সারলে চলবে না। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই রেলগেট বা ব্যারিকেড বসাতে হবে। প্রতিটি রেলগেটে যেন গেটম্যান থাকে সেটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বড় শহর বা নগরের মধ্যে থাকা রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেÑ সেটা আমাদের আশা।