alt

সম্পাদকীয়

প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় বরফকল কেন

: শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সারাদেশে ১৩টি এলাকাকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করেছে সরকার। এসব এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শিল্পকারখানা গড়ে তোলা যাবে না।

কিন্তু প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন সাতক্ষীরার সুন্দরবন এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচটি অবৈধ বরফকল গড়ে তোলা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এসব বরফকলে বৈদ্যুতিক সংযোগও দিয়েছে বলে জানা গেছে।

বরফকল মালিকরা বলছেন, বরফকলের অনুমোদনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। আর পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে না। বরফকল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোনো এলাকায় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনা করা যাবে না। এ আইন অমান্য করা দ-নীয় অপরাধ। কেউ যদি অমান্য করেন তার ১০ বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।’

আইন থাকা সত্ত্বেও উক্ত স্থানে বরফকল গড়ে উঠল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। আর সেসব কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগই বা দেয়া হলো কোন বিবেচনায়। এটা মেনে নেয়া যায় না। আইন ভঙ্গ করে যদি পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় কারখানা গড়ে তোলা হয় তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর আছে কী জন্য, আইনই বা আছে কিসের জন্য!

অতীতেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আইন ভঙ্গ করে পরিবেশ ধ্বংস করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই একটি গোষ্ঠী পরিবেশবিধ্বংসী কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় যে আইন আছে তার যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। আইনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

সাতক্ষীরায় প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে যে বরফকল গড়ে তুলেছে তা উচ্ছেদ করতে হবে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গায়ের জোরে বরফকল স্থাপন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বরফকল গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রশাসনের অসাধু কোনো ব্যক্তির ইন্ধন আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে আর যাতে কোনো বরফকল গড়ে না ওঠে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

tab

সম্পাদকীয়

প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় বরফকল কেন

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সারাদেশে ১৩টি এলাকাকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করেছে সরকার। এসব এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শিল্পকারখানা গড়ে তোলা যাবে না।

কিন্তু প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন সাতক্ষীরার সুন্দরবন এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচটি অবৈধ বরফকল গড়ে তোলা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এসব বরফকলে বৈদ্যুতিক সংযোগও দিয়েছে বলে জানা গেছে।

বরফকল মালিকরা বলছেন, বরফকলের অনুমোদনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। আর পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে না। বরফকল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোনো এলাকায় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনা করা যাবে না। এ আইন অমান্য করা দ-নীয় অপরাধ। কেউ যদি অমান্য করেন তার ১০ বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।’

আইন থাকা সত্ত্বেও উক্ত স্থানে বরফকল গড়ে উঠল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। আর সেসব কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগই বা দেয়া হলো কোন বিবেচনায়। এটা মেনে নেয়া যায় না। আইন ভঙ্গ করে যদি পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় কারখানা গড়ে তোলা হয় তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর আছে কী জন্য, আইনই বা আছে কিসের জন্য!

অতীতেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আইন ভঙ্গ করে পরিবেশ ধ্বংস করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই একটি গোষ্ঠী পরিবেশবিধ্বংসী কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় যে আইন আছে তার যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। আইনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

সাতক্ষীরায় প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে যে বরফকল গড়ে তুলেছে তা উচ্ছেদ করতে হবে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গায়ের জোরে বরফকল স্থাপন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বরফকল গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রশাসনের অসাধু কোনো ব্যক্তির ইন্ধন আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে আর যাতে কোনো বরফকল গড়ে না ওঠে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

back to top