সারাদেশে ১৩টি এলাকাকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করেছে সরকার। এসব এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শিল্পকারখানা গড়ে তোলা যাবে না।
কিন্তু প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন সাতক্ষীরার সুন্দরবন এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচটি অবৈধ বরফকল গড়ে তোলা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এসব বরফকলে বৈদ্যুতিক সংযোগও দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বরফকল মালিকরা বলছেন, বরফকলের অনুমোদনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। আর পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে না। বরফকল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোনো এলাকায় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনা করা যাবে না। এ আইন অমান্য করা দ-নীয় অপরাধ। কেউ যদি অমান্য করেন তার ১০ বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।’
আইন থাকা সত্ত্বেও উক্ত স্থানে বরফকল গড়ে উঠল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। আর সেসব কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগই বা দেয়া হলো কোন বিবেচনায়। এটা মেনে নেয়া যায় না। আইন ভঙ্গ করে যদি পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় কারখানা গড়ে তোলা হয় তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর আছে কী জন্য, আইনই বা আছে কিসের জন্য!
অতীতেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আইন ভঙ্গ করে পরিবেশ ধ্বংস করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই একটি গোষ্ঠী পরিবেশবিধ্বংসী কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় যে আইন আছে তার যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। আইনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সাতক্ষীরায় প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে যে বরফকল গড়ে তুলেছে তা উচ্ছেদ করতে হবে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গায়ের জোরে বরফকল স্থাপন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বরফকল গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রশাসনের অসাধু কোনো ব্যক্তির ইন্ধন আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে আর যাতে কোনো বরফকল গড়ে না ওঠে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সারাদেশে ১৩টি এলাকাকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করেছে সরকার। এসব এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শিল্পকারখানা গড়ে তোলা যাবে না।
কিন্তু প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন সাতক্ষীরার সুন্দরবন এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচটি অবৈধ বরফকল গড়ে তোলা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এসব বরফকলে বৈদ্যুতিক সংযোগও দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বরফকল মালিকরা বলছেন, বরফকলের অনুমোদনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। আর পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে না। বরফকল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোনো এলাকায় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনা করা যাবে না। এ আইন অমান্য করা দ-নীয় অপরাধ। কেউ যদি অমান্য করেন তার ১০ বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।’
আইন থাকা সত্ত্বেও উক্ত স্থানে বরফকল গড়ে উঠল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। আর সেসব কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগই বা দেয়া হলো কোন বিবেচনায়। এটা মেনে নেয়া যায় না। আইন ভঙ্গ করে যদি পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় কারখানা গড়ে তোলা হয় তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর আছে কী জন্য, আইনই বা আছে কিসের জন্য!
অতীতেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আইন ভঙ্গ করে পরিবেশ ধ্বংস করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই একটি গোষ্ঠী পরিবেশবিধ্বংসী কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় যে আইন আছে তার যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। আইনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সাতক্ষীরায় প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে যে বরফকল গড়ে তুলেছে তা উচ্ছেদ করতে হবে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গায়ের জোরে বরফকল স্থাপন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বরফকল গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রশাসনের অসাধু কোনো ব্যক্তির ইন্ধন আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে আর যাতে কোনো বরফকল গড়ে না ওঠে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।