alt

সম্পাদকীয়

শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষ কেন

: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ২৮ থেকে ৩৬তম ব্যাচের তিন হাজার শিক্ষক পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন ১২ বছর আগে। এত বছর পর মাত্র ৭১১ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পদোন্নতি বঞ্চিত বাকি শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, অনেক জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এক বিষয়ের শিক্ষককে অন্য বিষয়ে পদোন্নতি দেয়ার মতোও ঘটনা নাকি ঘটেছে। আবার পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও সেখানে পদোন্নতি দেয়া হয়নি।

সরকার বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। বিদ্যমান বৈষম্য নিরসনে অনেক অঙ্গীকার করেছেন দায়িত্বশীলরা; কিন্তু সেই মোতাবেক সমস্যা নিরসন হয়েছে বলে মনে করেন না সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বরং দিন দিন সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। তারা বলছেন, অন্যদিকে শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, ২৮ থেকে ৩৬তম ব্যাচের সব শিক্ষকই পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন কিন্তু সবাই পদোন্নতি পাননি। শিক্ষক নেতাদের কেউ কেউ বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতির পরিবর্তে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দাবি জানিয়ে আসছিলেন; কিন্তু শিক্ষা প্রশাসন সেটা কানে তোলেনি। তারা বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে অনেক জুনিয়র পদোন্নতি পেলেও, সেটা সিনিয়রের কপালে জোটেনি। ফলে ব্যাচভিত্তিক বৈষম্য বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের মাঝে জুনিয়রদের অধীনে কাজ করার মানসিক হতাশা আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তাই বিষয়টি দ্রুত সুরাহা হওয়া দরকার।

অনেক পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষক এ বঞ্চনাকে ‘ক্যাডার বৈষম্য’ ও ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন। তারা সংশোধিত আদেশ জারির মাধ্যমে শূন্য পদ পদোন্নতির দাবি করেছেন। পাশাপাশি পদোন্নতি বঞ্চিত সব ব্যাচের শিক্ষা ক্যাডার সদস্যের পদোন্নতি দিতে হবে।

শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে যে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেটা দ্রুত নিরসন করা হবে সেটা আমাদের আশা। এ ধরনের সমস্যা বেশি দিন ঝুলিয়ে রাখা সঙ্গত নয়। বঞ্চনা-বেদনা শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে। তাদের অসন্তোষ দূর করা না গেলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষ কেন

মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ২৮ থেকে ৩৬তম ব্যাচের তিন হাজার শিক্ষক পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন ১২ বছর আগে। এত বছর পর মাত্র ৭১১ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পদোন্নতি বঞ্চিত বাকি শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, অনেক জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এক বিষয়ের শিক্ষককে অন্য বিষয়ে পদোন্নতি দেয়ার মতোও ঘটনা নাকি ঘটেছে। আবার পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও সেখানে পদোন্নতি দেয়া হয়নি।

সরকার বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। বিদ্যমান বৈষম্য নিরসনে অনেক অঙ্গীকার করেছেন দায়িত্বশীলরা; কিন্তু সেই মোতাবেক সমস্যা নিরসন হয়েছে বলে মনে করেন না সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বরং দিন দিন সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। তারা বলছেন, অন্যদিকে শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, ২৮ থেকে ৩৬তম ব্যাচের সব শিক্ষকই পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন কিন্তু সবাই পদোন্নতি পাননি। শিক্ষক নেতাদের কেউ কেউ বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতির পরিবর্তে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দাবি জানিয়ে আসছিলেন; কিন্তু শিক্ষা প্রশাসন সেটা কানে তোলেনি। তারা বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে অনেক জুনিয়র পদোন্নতি পেলেও, সেটা সিনিয়রের কপালে জোটেনি। ফলে ব্যাচভিত্তিক বৈষম্য বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের মাঝে জুনিয়রদের অধীনে কাজ করার মানসিক হতাশা আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তাই বিষয়টি দ্রুত সুরাহা হওয়া দরকার।

অনেক পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষক এ বঞ্চনাকে ‘ক্যাডার বৈষম্য’ ও ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন। তারা সংশোধিত আদেশ জারির মাধ্যমে শূন্য পদ পদোন্নতির দাবি করেছেন। পাশাপাশি পদোন্নতি বঞ্চিত সব ব্যাচের শিক্ষা ক্যাডার সদস্যের পদোন্নতি দিতে হবে।

শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে যে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেটা দ্রুত নিরসন করা হবে সেটা আমাদের আশা। এ ধরনের সমস্যা বেশি দিন ঝুলিয়ে রাখা সঙ্গত নয়। বঞ্চনা-বেদনা শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে। তাদের অসন্তোষ দূর করা না গেলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে।

back to top