পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৭১ জন মারা গিয়েছিলেন। অগ্নিকা-ের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তার বিচার হয়নি আজও। মামলার ১৬৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র একজনের আংশিক সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। যে কারণে বিচার কাক্সিক্ষত গতি পাচ্ছে না।
চুড়িহাট্টাতেই যে প্রথম অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে তা নয়। এর আগেও পুরান ঢাকায় অনেকবার অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গক্রমে নিমতলী অগ্নিকা-ের কথা বলা যায়। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলী অগ্নিকা-ে মারা গিয়েছিলেন ১১৭ জন। ২০২২ সালে পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় একটি চারতলা ভবনে আগুন লেগে মারা গিয়েছিলেন ৬ জন। এরপর ২০২১ সালে আরমানিটোলায় অগ্নিকা-ে ৪ জন মারা যান।
অনেকেই এসব অগ্নিকা-কে নিছক দুর্ঘটনা বলতে নারাজ। একে বলা চলে অবেহলাজনিত মৃত্যু। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব মৃত্যুর ঘটনায় দায় কার। দোষীদের কি চিহ্নিত করে কোনোদিন সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। চুড়িহাট্টা অগ্নিকা-ের ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়েছে। বিচার কাজ চলছে শম্বুকগতিতে। বিষয়টি হতাশাজনক। দ্রুত বিচার করে মামলা নিষ্পত্তি করা জরুরি। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে পুরান ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অগ্নিঝুঁকি প্রতিরোধে নানা সুপারিশ করা হয়, দেয়া হয় প্রতিশ্রুতি। কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথাও শোনা যায়। এর পরেও পুরান ঢাকা অগ্নিঝুঁকিমুক্ত হয়নি। ফায়ার সার্ভিস এ বিষয়ে অতীতে অনেকবার সতর্ক করেছে।
পুরান ঢাকার ঘিঞ্জিপূর্ণ এলাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরান ঢাকার যেখানে-সেখানে কেমিক্যাল কারখানা গড়ে ওঠার কারণে অগ্নিদুর্ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। জায়গাটির অগ্নিঝুঁকি কমাতে হলে সেখান থেকে কেমিক্যাল গুদাম সরাতে হবে। কখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেন ঢুকতে পারে সেভাবে সেখানকার রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। বসাতে হবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফায়ার হাইড্রেন্ড।
বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৭১ জন মারা গিয়েছিলেন। অগ্নিকা-ের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তার বিচার হয়নি আজও। মামলার ১৬৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র একজনের আংশিক সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। যে কারণে বিচার কাক্সিক্ষত গতি পাচ্ছে না।
চুড়িহাট্টাতেই যে প্রথম অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে তা নয়। এর আগেও পুরান ঢাকায় অনেকবার অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গক্রমে নিমতলী অগ্নিকা-ের কথা বলা যায়। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলী অগ্নিকা-ে মারা গিয়েছিলেন ১১৭ জন। ২০২২ সালে পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় একটি চারতলা ভবনে আগুন লেগে মারা গিয়েছিলেন ৬ জন। এরপর ২০২১ সালে আরমানিটোলায় অগ্নিকা-ে ৪ জন মারা যান।
অনেকেই এসব অগ্নিকা-কে নিছক দুর্ঘটনা বলতে নারাজ। একে বলা চলে অবেহলাজনিত মৃত্যু। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব মৃত্যুর ঘটনায় দায় কার। দোষীদের কি চিহ্নিত করে কোনোদিন সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। চুড়িহাট্টা অগ্নিকা-ের ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়েছে। বিচার কাজ চলছে শম্বুকগতিতে। বিষয়টি হতাশাজনক। দ্রুত বিচার করে মামলা নিষ্পত্তি করা জরুরি। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে পুরান ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অগ্নিঝুঁকি প্রতিরোধে নানা সুপারিশ করা হয়, দেয়া হয় প্রতিশ্রুতি। কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথাও শোনা যায়। এর পরেও পুরান ঢাকা অগ্নিঝুঁকিমুক্ত হয়নি। ফায়ার সার্ভিস এ বিষয়ে অতীতে অনেকবার সতর্ক করেছে।
পুরান ঢাকার ঘিঞ্জিপূর্ণ এলাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরান ঢাকার যেখানে-সেখানে কেমিক্যাল কারখানা গড়ে ওঠার কারণে অগ্নিদুর্ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। জায়গাটির অগ্নিঝুঁকি কমাতে হলে সেখান থেকে কেমিক্যাল গুদাম সরাতে হবে। কখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেন ঢুকতে পারে সেভাবে সেখানকার রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। বসাতে হবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফায়ার হাইড্রেন্ড।