alt

সম্পাদকীয়

চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ড : বিচারে ধীরগতি কেন

: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৭১ জন মারা গিয়েছিলেন। অগ্নিকা-ের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তার বিচার হয়নি আজও। মামলার ১৬৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র একজনের আংশিক সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। যে কারণে বিচার কাক্সিক্ষত গতি পাচ্ছে না।

চুড়িহাট্টাতেই যে প্রথম অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে তা নয়। এর আগেও পুরান ঢাকায় অনেকবার অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গক্রমে নিমতলী অগ্নিকা-ের কথা বলা যায়। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলী অগ্নিকা-ে মারা গিয়েছিলেন ১১৭ জন। ২০২২ সালে পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় একটি চারতলা ভবনে আগুন লেগে মারা গিয়েছিলেন ৬ জন। এরপর ২০২১ সালে আরমানিটোলায় অগ্নিকা-ে ৪ জন মারা যান।

অনেকেই এসব অগ্নিকা-কে নিছক দুর্ঘটনা বলতে নারাজ। একে বলা চলে অবেহলাজনিত মৃত্যু। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব মৃত্যুর ঘটনায় দায় কার। দোষীদের কি চিহ্নিত করে কোনোদিন সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। চুড়িহাট্টা অগ্নিকা-ের ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়েছে। বিচার কাজ চলছে শম্বুকগতিতে। বিষয়টি হতাশাজনক। দ্রুত বিচার করে মামলা নিষ্পত্তি করা জরুরি। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে পুরান ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অগ্নিঝুঁকি প্রতিরোধে নানা সুপারিশ করা হয়, দেয়া হয় প্রতিশ্রুতি। কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথাও শোনা যায়। এর পরেও পুরান ঢাকা অগ্নিঝুঁকিমুক্ত হয়নি। ফায়ার সার্ভিস এ বিষয়ে অতীতে অনেকবার সতর্ক করেছে।

পুরান ঢাকার ঘিঞ্জিপূর্ণ এলাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরান ঢাকার যেখানে-সেখানে কেমিক্যাল কারখানা গড়ে ওঠার কারণে অগ্নিদুর্ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। জায়গাটির অগ্নিঝুঁকি কমাতে হলে সেখান থেকে কেমিক্যাল গুদাম সরাতে হবে। কখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেন ঢুকতে পারে সেভাবে সেখানকার রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। বসাতে হবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফায়ার হাইড্রেন্ড।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ড : বিচারে ধীরগতি কেন

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৭১ জন মারা গিয়েছিলেন। অগ্নিকা-ের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তার বিচার হয়নি আজও। মামলার ১৬৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র একজনের আংশিক সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। যে কারণে বিচার কাক্সিক্ষত গতি পাচ্ছে না।

চুড়িহাট্টাতেই যে প্রথম অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে তা নয়। এর আগেও পুরান ঢাকায় অনেকবার অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গক্রমে নিমতলী অগ্নিকা-ের কথা বলা যায়। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলী অগ্নিকা-ে মারা গিয়েছিলেন ১১৭ জন। ২০২২ সালে পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় একটি চারতলা ভবনে আগুন লেগে মারা গিয়েছিলেন ৬ জন। এরপর ২০২১ সালে আরমানিটোলায় অগ্নিকা-ে ৪ জন মারা যান।

অনেকেই এসব অগ্নিকা-কে নিছক দুর্ঘটনা বলতে নারাজ। একে বলা চলে অবেহলাজনিত মৃত্যু। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব মৃত্যুর ঘটনায় দায় কার। দোষীদের কি চিহ্নিত করে কোনোদিন সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। চুড়িহাট্টা অগ্নিকা-ের ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়েছে। বিচার কাজ চলছে শম্বুকগতিতে। বিষয়টি হতাশাজনক। দ্রুত বিচার করে মামলা নিষ্পত্তি করা জরুরি। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে পুরান ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অগ্নিঝুঁকি প্রতিরোধে নানা সুপারিশ করা হয়, দেয়া হয় প্রতিশ্রুতি। কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথাও শোনা যায়। এর পরেও পুরান ঢাকা অগ্নিঝুঁকিমুক্ত হয়নি। ফায়ার সার্ভিস এ বিষয়ে অতীতে অনেকবার সতর্ক করেছে।

পুরান ঢাকার ঘিঞ্জিপূর্ণ এলাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরান ঢাকার যেখানে-সেখানে কেমিক্যাল কারখানা গড়ে ওঠার কারণে অগ্নিদুর্ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। জায়গাটির অগ্নিঝুঁকি কমাতে হলে সেখান থেকে কেমিক্যাল গুদাম সরাতে হবে। কখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেন ঢুকতে পারে সেভাবে সেখানকার রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। বসাতে হবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফায়ার হাইড্রেন্ড।

back to top