alt

সম্পাদকীয়

আর কত অপেক্ষার পর বিধবা ছালেহার ভাগ্যে ঘর মিলবে

: শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

‘দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’Ñ সরকার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এমন ঘোষণা দেয়। সরকারি নীতিমালায় বলা হয়Ñ ভূমিহীন ও গৃহহীন যে কোনো বয়সের মানুষই এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবে। তবে যদি কেউ প্রতিবন্ধী, বিধবা, প্রবীণ ও স্বামী পরিত্যক্তা হনÑ তাহলে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এক্ষেত্রে বিনামূল্যে দুই শতাংশ জমি ও ঘর তৈরি করে দেয়া হবে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে আওতায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে কিন্তু কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারীয়া ছড়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা ভূমিহীন বিধবা ছালেহা বেগমের ভাগ্যে আজও জোটেনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।

ছালেহা বেগম স্বামী হারিয়েছেন তা-ও তিন যুগ পেরিয়ে গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী এখন তার বয়স ৬৮ বছর। তার কোনো জমি নেই। অন্যের জমিতে বাঁশের বেড়ার তৈরি ঝুপড়ি ঘরে থাকেন। এর-ওর জমির আনাচে-কানাচেই জীবন পার করে দিলেও ছালেহা বেগমের কোনো আক্ষেপ নেই। তার দুশ্চিন্তা প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে। তিনি মারা গেলে প্রতিবন্ধী মেয়েটি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? তাই মৃত্যুর আগে তিনি প্রতিবন্ধী মেয়েটির মাথা গোঁজার জন্য নিজের একখ- জমি ও একটি ঘর দেখে যেতে চান।

শুধু ভূরঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারীয়া ছড়ারপাড়ের ছালেহা বেগম একা নন। সারাদেশে এরকম অসহায় ছালেহা বেগম আরও আছেন। এদের কথা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশিতও হয়। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তারা ঘর পাননি। আবার যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য নন এমন অনেক মানুষও ঘর পান। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকা তৈরি করার সময়ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অর্থ নিয়ে সচ্ছল ব্যক্তিদের নামও তালিকায় দেন। আবার তারা প্রকৃত ভূমিহীনদের নাম না দিয়ে তাদের পছন্দের লোকদের নাম দেন তালিকায়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকার অভিযোগের কথাও বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে দেখা গেছে।

আর প্রশাসনের একশ্রেণির অসাধু কর্তাব্যক্তি ও দুর্নীতিগ্রস্ত একশ্রেণীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই ছালেহা বেগমদের মতো প্রকৃত দুর্দশাগ্রস্তরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে অনেক সচ্ছল ব্যক্তি আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে ভাড়াও দিচ্ছেন। নীতিমালা অনুযায়ী আশ্রয়ণের ঘর বিক্রি করা যায় না। কিন্তু বিক্রি করার অভিযোগের খবরও শোনা গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ছালেহা বেগমকে ঘর দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে। আমরা আশা করব, এই আশ্বাস বাস্তব রূপ পাবে। বিধবা ছালেহা বেগমের দুঃস্বপ্নের দিন শেষ হয়েছে, তিনি এক খ- জমি ও ঘর পেয়েছেন, প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে তার চোখেমুখে নিশ্চিত জীবনের হাসির ঝিলিকÑ এমন সুখের দৃশ্য আমরাও দেখতে চাই।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

আর কত অপেক্ষার পর বিধবা ছালেহার ভাগ্যে ঘর মিলবে

শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

‘দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’Ñ সরকার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এমন ঘোষণা দেয়। সরকারি নীতিমালায় বলা হয়Ñ ভূমিহীন ও গৃহহীন যে কোনো বয়সের মানুষই এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবে। তবে যদি কেউ প্রতিবন্ধী, বিধবা, প্রবীণ ও স্বামী পরিত্যক্তা হনÑ তাহলে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এক্ষেত্রে বিনামূল্যে দুই শতাংশ জমি ও ঘর তৈরি করে দেয়া হবে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে আওতায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে কিন্তু কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারীয়া ছড়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা ভূমিহীন বিধবা ছালেহা বেগমের ভাগ্যে আজও জোটেনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।

ছালেহা বেগম স্বামী হারিয়েছেন তা-ও তিন যুগ পেরিয়ে গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী এখন তার বয়স ৬৮ বছর। তার কোনো জমি নেই। অন্যের জমিতে বাঁশের বেড়ার তৈরি ঝুপড়ি ঘরে থাকেন। এর-ওর জমির আনাচে-কানাচেই জীবন পার করে দিলেও ছালেহা বেগমের কোনো আক্ষেপ নেই। তার দুশ্চিন্তা প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে। তিনি মারা গেলে প্রতিবন্ধী মেয়েটি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? তাই মৃত্যুর আগে তিনি প্রতিবন্ধী মেয়েটির মাথা গোঁজার জন্য নিজের একখ- জমি ও একটি ঘর দেখে যেতে চান।

শুধু ভূরঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারীয়া ছড়ারপাড়ের ছালেহা বেগম একা নন। সারাদেশে এরকম অসহায় ছালেহা বেগম আরও আছেন। এদের কথা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশিতও হয়। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তারা ঘর পাননি। আবার যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য নন এমন অনেক মানুষও ঘর পান। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকা তৈরি করার সময়ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অর্থ নিয়ে সচ্ছল ব্যক্তিদের নামও তালিকায় দেন। আবার তারা প্রকৃত ভূমিহীনদের নাম না দিয়ে তাদের পছন্দের লোকদের নাম দেন তালিকায়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকার অভিযোগের কথাও বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে দেখা গেছে।

আর প্রশাসনের একশ্রেণির অসাধু কর্তাব্যক্তি ও দুর্নীতিগ্রস্ত একশ্রেণীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই ছালেহা বেগমদের মতো প্রকৃত দুর্দশাগ্রস্তরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে অনেক সচ্ছল ব্যক্তি আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে ভাড়াও দিচ্ছেন। নীতিমালা অনুযায়ী আশ্রয়ণের ঘর বিক্রি করা যায় না। কিন্তু বিক্রি করার অভিযোগের খবরও শোনা গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ছালেহা বেগমকে ঘর দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে। আমরা আশা করব, এই আশ্বাস বাস্তব রূপ পাবে। বিধবা ছালেহা বেগমের দুঃস্বপ্নের দিন শেষ হয়েছে, তিনি এক খ- জমি ও ঘর পেয়েছেন, প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে তার চোখেমুখে নিশ্চিত জীবনের হাসির ঝিলিকÑ এমন সুখের দৃশ্য আমরাও দেখতে চাই।

back to top