যশোরের চৌগাছার ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১৯ জন চিকিৎসকের মধ্যে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (বিশেষজ্ঞ) চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি। চৌগাছায় ৩টি পদে পোস্টিং থাকলেও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) প্রেষণে অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন আর জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে চলে গেছেন। অন্যদিকে আরও একজন চিকিৎসক দশ বছর ধরে কর্মস্থলে আসেন না। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, তিনজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং তিনজন প্রেষণে অন্যত্র চলে যাওয়ায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সংকটের সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে হাসপাতালটিতে চরম চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মানুষ কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রসূতি স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে এই হাসপাতালের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। অন্যান্য সেবার মানও ভালো। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৬০ জন রোগী ভর্তি হন। আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ রোগী চিকিৎসা নেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো হওয়ায় ঝিকরগাছা, শার্শা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলা এবং মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
হাসপাতালটিতে এমনিই লোকবল সংকটে ভুগছে, তার ওপর যে কজন রয়েছেন তাদের প্রেষণে কেন পাঠানো হলো সেটা একটা প্রশ্ন। হাসপাতালের মতো একটা সেবাকেন্দ্রের চিকিৎসকরা এভাবে দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকবেন সেটা হতে পারে না। এর একটি সুরাহা করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যারা অনুপস্থিত রয়েছেন সেসব চিকিৎসককে বারবার কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। সিভিল সার্জন নোটিশও করেছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমরা বলতে চাই, হাসপাতালে যে পদগুলো শূন্য রয়েছে তা পূরণ করতে হবে। প্রসূতি ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালের যে সুনাম রয়েছে তা অক্ষত রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
যশোরের চৌগাছার ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১৯ জন চিকিৎসকের মধ্যে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (বিশেষজ্ঞ) চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি। চৌগাছায় ৩টি পদে পোস্টিং থাকলেও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) প্রেষণে অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন আর জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে চলে গেছেন। অন্যদিকে আরও একজন চিকিৎসক দশ বছর ধরে কর্মস্থলে আসেন না। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, তিনজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং তিনজন প্রেষণে অন্যত্র চলে যাওয়ায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সংকটের সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে হাসপাতালটিতে চরম চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মানুষ কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রসূতি স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে এই হাসপাতালের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। অন্যান্য সেবার মানও ভালো। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৬০ জন রোগী ভর্তি হন। আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ রোগী চিকিৎসা নেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো হওয়ায় ঝিকরগাছা, শার্শা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলা এবং মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
হাসপাতালটিতে এমনিই লোকবল সংকটে ভুগছে, তার ওপর যে কজন রয়েছেন তাদের প্রেষণে কেন পাঠানো হলো সেটা একটা প্রশ্ন। হাসপাতালের মতো একটা সেবাকেন্দ্রের চিকিৎসকরা এভাবে দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকবেন সেটা হতে পারে না। এর একটি সুরাহা করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যারা অনুপস্থিত রয়েছেন সেসব চিকিৎসককে বারবার কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। সিভিল সার্জন নোটিশও করেছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমরা বলতে চাই, হাসপাতালে যে পদগুলো শূন্য রয়েছে তা পূরণ করতে হবে। প্রসূতি ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালের যে সুনাম রয়েছে তা অক্ষত রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।