রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদীর ১৩টি স্থানে স্যালো মেশিন বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বালু ব্যবসার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী জড়িত। বালু তোলা বা নদী দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধভাবে বালু তোলার এ চিত্র শুধু করতোয়ায় নয়, দেশের প্রায় সব নদ-নদীতেই দৃশ্যমান হচ্ছে। নির্বিচারে বালু তোলার ফলে নদ-নদীসংলগ্ন অনেক স্থাপনা ও সড়ক-মহাসড়ক হুমকির মুখে পড়ছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালীরা লাভবান হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা ও নদীর ওপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হলে নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যায়। এর প্রভাবে নদী ভাঙে। মাটি ক্ষয় হয়। নষ্ট হয় উর্বরতা।
বালুর প্রয়োজন রয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণসহ নানান কাজে বালু একটি অপরিহার্য সামগ্রী। দেশে শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই বালুর ব্যবহারও যে বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। নদ-নদী থেকে বালু তোলাও হয়। কিন্তু যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা যায় না। নদ-নদী থেকে বালু তোলার নিয়ম রয়েছে। সমীক্ষা ও নকশা ছাড়া খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না।
আমরা বলতে চাই, নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বালু তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। বালু তোলার ক্ষেত্রে স্থান, সময়, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রাযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। যারা এই নিয়ম ভাঙবে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর সাজা দিতে হবে।
করতোয়া নদীর বালু তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নিতে হবে। অবৈধভাবে বালু তোলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যারা অন্যায়ভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আইনের চোখে সবাই সমান। আর অবৈধ বালু তোলার প্রশ্নে স্থানীয় প্রশাসন কী ভূমিকা রাখছে সেটা জানা দরকার। প্রশাসনের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্যায় কাজে মদত দেয় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদীর ১৩টি স্থানে স্যালো মেশিন বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বালু ব্যবসার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী জড়িত। বালু তোলা বা নদী দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধভাবে বালু তোলার এ চিত্র শুধু করতোয়ায় নয়, দেশের প্রায় সব নদ-নদীতেই দৃশ্যমান হচ্ছে। নির্বিচারে বালু তোলার ফলে নদ-নদীসংলগ্ন অনেক স্থাপনা ও সড়ক-মহাসড়ক হুমকির মুখে পড়ছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালীরা লাভবান হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা ও নদীর ওপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হলে নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যায়। এর প্রভাবে নদী ভাঙে। মাটি ক্ষয় হয়। নষ্ট হয় উর্বরতা।
বালুর প্রয়োজন রয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণসহ নানান কাজে বালু একটি অপরিহার্য সামগ্রী। দেশে শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই বালুর ব্যবহারও যে বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। নদ-নদী থেকে বালু তোলাও হয়। কিন্তু যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা যায় না। নদ-নদী থেকে বালু তোলার নিয়ম রয়েছে। সমীক্ষা ও নকশা ছাড়া খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না।
আমরা বলতে চাই, নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বালু তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। বালু তোলার ক্ষেত্রে স্থান, সময়, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রাযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। যারা এই নিয়ম ভাঙবে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর সাজা দিতে হবে।
করতোয়া নদীর বালু তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নিতে হবে। অবৈধভাবে বালু তোলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যারা অন্যায়ভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আইনের চোখে সবাই সমান। আর অবৈধ বালু তোলার প্রশ্নে স্থানীয় প্রশাসন কী ভূমিকা রাখছে সেটা জানা দরকার। প্রশাসনের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্যায় কাজে মদত দেয় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে।