alt

সম্পাদকীয়

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

: রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪

খাবার অপচয় হচ্ছে বিশ্বজুড়েই। কিন্তু যখন জানা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়ার চেয়ে বেশি অপচয় হয় বাংলাদেশে তখন বিস্মিত হতে হয়, উদ্বেগও দেখা দেয়।

জাতিসংঘের ‘খাবার অপচয় সূচক প্রতিবেদন ২০২৪’ থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে অপচয় করেন ৭৩ কেজি খাবার এবং যুক্তরাজ্যে অপচয়ের পরিমাণ হচ্ছে গড়ে ৭৬ কেজি। রাশিয়ায় অপচয় হয় গড়ে ৩৩ কেজি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে বছরের প্রতিদিন এক বেলায় যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হয়, সেটা দিয়ে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব। বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদেরকে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে তাদের অন্ন সংস্থানের কাজ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে।

খাবার অপচয়ের ক্ষতিকর প্রভাব কেবল এটা নয় যে- অনাহারি মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এর প্রভাব অত্যন্ত গভীর। খাদ্য উৎপাদনে পানি, জ্বালানি, সার, কীটনাশক, শ্রমশক্তি অনেক কিছু লাগে। খাবারের অপচয় মানে খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণের অপচয়। যেটা পরিবেশ ও আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রশ্ন হচ্ছে, অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে খাবার অপচয় বেশি হওয়ার কারণ কী আর এ থেকে মুক্তির পথইবা কী।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাসাবাড়িতেই খাবার অপচয় হয় বেশি। এটাও বিস্ময়কর তথ্য যে রোস্তোরাঁর চেয়ে মানুষের নিজের ঘরেই বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। সাধারণভাবে ধারণা করা যায় যে, নিজ ঘরে নাগরিকরা খাবার সংরক্ষণে বেশি যতœবান হবেন। কিন্তু গবেষণা দেখাচ্ছে উল্টো চিত্র।

গবেষণা বলছে, দরিদ্র পরিবারে তুলনায় সচ্ছল বা উচ্চবিত্ত পরিবারে খাবার বেশি অপচয় হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সচ্ছল পরিবারে খাবার সংরক্ষণ করবার মতো যথেষ্ট প্রযুক্তি থাকার কথা। আর দেশে উচ্চবিত্ত বা সচ্ছল পরিবারের সংখ্যা কত? কেবল কি এই কারণেই বাংলাদেশের খাবার অপচয়ের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে বেশি? এর উত্তর হয়তো গবেষকদের কাছে আছে। বা না থাকলে এ বিষয়ে বিশদ গবেষণা দেশের অভ্যন্তরে হবে বলে আমরা আশা করি।

নীতিনির্ধারকদেরকে খাবারের অপচয় রোধের পথ খুঁজতে হবে। সংশ্লিষ্ট গবেষকদের নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা যেতে পারে। মানুষকে খাবার সদ্ব্যবহার ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪

খাবার অপচয় হচ্ছে বিশ্বজুড়েই। কিন্তু যখন জানা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়ার চেয়ে বেশি অপচয় হয় বাংলাদেশে তখন বিস্মিত হতে হয়, উদ্বেগও দেখা দেয়।

জাতিসংঘের ‘খাবার অপচয় সূচক প্রতিবেদন ২০২৪’ থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে অপচয় করেন ৭৩ কেজি খাবার এবং যুক্তরাজ্যে অপচয়ের পরিমাণ হচ্ছে গড়ে ৭৬ কেজি। রাশিয়ায় অপচয় হয় গড়ে ৩৩ কেজি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে বছরের প্রতিদিন এক বেলায় যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হয়, সেটা দিয়ে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব। বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদেরকে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে তাদের অন্ন সংস্থানের কাজ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে।

খাবার অপচয়ের ক্ষতিকর প্রভাব কেবল এটা নয় যে- অনাহারি মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এর প্রভাব অত্যন্ত গভীর। খাদ্য উৎপাদনে পানি, জ্বালানি, সার, কীটনাশক, শ্রমশক্তি অনেক কিছু লাগে। খাবারের অপচয় মানে খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণের অপচয়। যেটা পরিবেশ ও আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রশ্ন হচ্ছে, অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে খাবার অপচয় বেশি হওয়ার কারণ কী আর এ থেকে মুক্তির পথইবা কী।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাসাবাড়িতেই খাবার অপচয় হয় বেশি। এটাও বিস্ময়কর তথ্য যে রোস্তোরাঁর চেয়ে মানুষের নিজের ঘরেই বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। সাধারণভাবে ধারণা করা যায় যে, নিজ ঘরে নাগরিকরা খাবার সংরক্ষণে বেশি যতœবান হবেন। কিন্তু গবেষণা দেখাচ্ছে উল্টো চিত্র।

গবেষণা বলছে, দরিদ্র পরিবারে তুলনায় সচ্ছল বা উচ্চবিত্ত পরিবারে খাবার বেশি অপচয় হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সচ্ছল পরিবারে খাবার সংরক্ষণ করবার মতো যথেষ্ট প্রযুক্তি থাকার কথা। আর দেশে উচ্চবিত্ত বা সচ্ছল পরিবারের সংখ্যা কত? কেবল কি এই কারণেই বাংলাদেশের খাবার অপচয়ের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে বেশি? এর উত্তর হয়তো গবেষকদের কাছে আছে। বা না থাকলে এ বিষয়ে বিশদ গবেষণা দেশের অভ্যন্তরে হবে বলে আমরা আশা করি।

নীতিনির্ধারকদেরকে খাবারের অপচয় রোধের পথ খুঁজতে হবে। সংশ্লিষ্ট গবেষকদের নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা যেতে পারে। মানুষকে খাবার সদ্ব্যবহার ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

back to top