alt

সম্পাদকীয়

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

: রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪

প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও চিকিৎসা উপকরণের ব্যবস্থা না করেই উদ্বোধন করা হয়েছিল রংপুর ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটি। উদ্বোধনের ১৩ মাস পেরিয়ে গেলেও সেটি এখনও চালু করা হয়নি। শিশু হাসপাতালটির কার্যক্রম কবে নাগাদ চালু করা সম্ভব হবে, তা-ও বলতে পারছেন না স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো কর্মকর্তা। ফলে কাজ নেই বলে অলস সময় পার করছেন আবাসিক চিকিৎসক, চারজন নার্স এবং নিরাপত্তা প্রহরীরা।

শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে রংপুর মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে প্রায় দুই একর জমির উপর তিন বছর আগে রংপুর শিশু হাসপাতালটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। রংপুর বিভাগে দুই কোটি মানুষের বসবাস। সেখানকার শিশুদের বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবার জন্য রাজধানী ঢাকায় ছুটে আসতে হয়। এতে রোগীর স্বজনদের খরচও বেড়ে যায়। আবার ভোগান্তিও পোহাতে হয়। তাই সরকার এ অঞ্চলের শিশুদের বিনামূল্যে জটিল অপারেশনসহ বিশেষায়িত উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০০ শয্যার হাসপাতালটি নির্মাণ করে। শিশু হাসপাতালটি চালু হলে এখানকার দরিদ্র মা-বাবা তাদের সন্তানদের কম খরচে চিকিৎসা করাতে পারবেন, এমন আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তারা।

শিশু হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এবং জনবলের চাহিদা র্নিধারণ করা হয়েছে। আর এসব চাহিদা বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে, এসব তথ্য জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। কিন্তু হাসপাতালটি কবে নাগাদ চালু করা হবে সে ব্যপারে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। রাষ্ট্রের সাড়ে ৩১ কোটি টাকা ব্যয় করে শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে ১৩ মাস হয়ে গেল উদ্বোধন করা হয়েছে, কিন্তু আজও কেন চালু করা হচ্ছে না, সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

শিশু হাসপাতালটি চালুর ব্যাপরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করবে, এটা আমরা চাই। হাসপাতালটির চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দাপ্তরিক কাজগুলো সারতে যেন দেরি না হয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। রংপুর শিশু হাসপাতালটি চালুর ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব সব বাধা দূর হবে, এটা আমরা আশা করব।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪

প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও চিকিৎসা উপকরণের ব্যবস্থা না করেই উদ্বোধন করা হয়েছিল রংপুর ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটি। উদ্বোধনের ১৩ মাস পেরিয়ে গেলেও সেটি এখনও চালু করা হয়নি। শিশু হাসপাতালটির কার্যক্রম কবে নাগাদ চালু করা সম্ভব হবে, তা-ও বলতে পারছেন না স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো কর্মকর্তা। ফলে কাজ নেই বলে অলস সময় পার করছেন আবাসিক চিকিৎসক, চারজন নার্স এবং নিরাপত্তা প্রহরীরা।

শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে রংপুর মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে প্রায় দুই একর জমির উপর তিন বছর আগে রংপুর শিশু হাসপাতালটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। রংপুর বিভাগে দুই কোটি মানুষের বসবাস। সেখানকার শিশুদের বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবার জন্য রাজধানী ঢাকায় ছুটে আসতে হয়। এতে রোগীর স্বজনদের খরচও বেড়ে যায়। আবার ভোগান্তিও পোহাতে হয়। তাই সরকার এ অঞ্চলের শিশুদের বিনামূল্যে জটিল অপারেশনসহ বিশেষায়িত উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০০ শয্যার হাসপাতালটি নির্মাণ করে। শিশু হাসপাতালটি চালু হলে এখানকার দরিদ্র মা-বাবা তাদের সন্তানদের কম খরচে চিকিৎসা করাতে পারবেন, এমন আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তারা।

শিশু হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এবং জনবলের চাহিদা র্নিধারণ করা হয়েছে। আর এসব চাহিদা বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে, এসব তথ্য জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। কিন্তু হাসপাতালটি কবে নাগাদ চালু করা হবে সে ব্যপারে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। রাষ্ট্রের সাড়ে ৩১ কোটি টাকা ব্যয় করে শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে ১৩ মাস হয়ে গেল উদ্বোধন করা হয়েছে, কিন্তু আজও কেন চালু করা হচ্ছে না, সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

শিশু হাসপাতালটি চালুর ব্যাপরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করবে, এটা আমরা চাই। হাসপাতালটির চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দাপ্তরিক কাজগুলো সারতে যেন দেরি না হয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। রংপুর শিশু হাসপাতালটি চালুর ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব সব বাধা দূর হবে, এটা আমরা আশা করব।

back to top