alt

সম্পাদকীয়

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

: বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন যে পরিমাণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় তার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এ সংক্রান্ত একটি হিসাব দিয়েছে। ‘পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রকাশ করা হয়েছে এই তথ্য। ডিসিসিআই জানাচ্ছে, রাজধানীর যানজটের কারণে প্রায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি কম হচ্ছে।

যানজটের কারণে যানবাহনের গতি কমে যায়। এর আগে বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) প্রকাশ করা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে ঢাকার সড়কে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। আর ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। যানবাহনের গতি কমার সঙ্গে মানুষের কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এআরআই এর আগে যে হিসাব দিয়েছিল সেটা থেকে জানা যায়, যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতিদিন ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা।

রাজধানীর যানজট দূর করতে সংশ্লিষ্ট নানান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। শত শত কোটি টাকার পরিকল্পনার কথা জানা যায়। কিছু মেগা প্রজেক্টও রয়েছে। মেট্রো রেলের মতো বড় প্রজেক্ট আলোর মুখ দেখেছে। তবে বড় বড় প্রকল্প রাজধানীবাসীকে যানজটের সমস্যা থেকে কতটা মুক্তি দিয়েছে সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকা দরকার। বড় প্রকল্পের কিছু সুফল হয়তো মিলছে তবে রাজধানীকে যানজটমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এখনো অনেক পথ পারি দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদে ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে । সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, নগর কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ কমাতে হবে। রাজধানীতে ধারণ ক্ষমতার তুলনায় বসবাসকারী মানুষ অনেক বেশি, এখানে সড়কের তুলনায় গাড়ি বেশি। এই চাপ কমানোর জন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন যে পরিমাণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় তার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এ সংক্রান্ত একটি হিসাব দিয়েছে। ‘পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রকাশ করা হয়েছে এই তথ্য। ডিসিসিআই জানাচ্ছে, রাজধানীর যানজটের কারণে প্রায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি কম হচ্ছে।

যানজটের কারণে যানবাহনের গতি কমে যায়। এর আগে বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) প্রকাশ করা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে ঢাকার সড়কে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। আর ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। যানবাহনের গতি কমার সঙ্গে মানুষের কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এআরআই এর আগে যে হিসাব দিয়েছিল সেটা থেকে জানা যায়, যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতিদিন ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা।

রাজধানীর যানজট দূর করতে সংশ্লিষ্ট নানান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। শত শত কোটি টাকার পরিকল্পনার কথা জানা যায়। কিছু মেগা প্রজেক্টও রয়েছে। মেট্রো রেলের মতো বড় প্রজেক্ট আলোর মুখ দেখেছে। তবে বড় বড় প্রকল্প রাজধানীবাসীকে যানজটের সমস্যা থেকে কতটা মুক্তি দিয়েছে সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকা দরকার। বড় প্রকল্পের কিছু সুফল হয়তো মিলছে তবে রাজধানীকে যানজটমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এখনো অনেক পথ পারি দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদে ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে । সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, নগর কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ কমাতে হবে। রাজধানীতে ধারণ ক্ষমতার তুলনায় বসবাসকারী মানুষ অনেক বেশি, এখানে সড়কের তুলনায় গাড়ি বেশি। এই চাপ কমানোর জন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।

back to top