যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন যে পরিমাণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় তার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এ সংক্রান্ত একটি হিসাব দিয়েছে। ‘পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রকাশ করা হয়েছে এই তথ্য। ডিসিসিআই জানাচ্ছে, রাজধানীর যানজটের কারণে প্রায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি কম হচ্ছে।
যানজটের কারণে যানবাহনের গতি কমে যায়। এর আগে বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) প্রকাশ করা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে ঢাকার সড়কে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। আর ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। যানবাহনের গতি কমার সঙ্গে মানুষের কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এআরআই এর আগে যে হিসাব দিয়েছিল সেটা থেকে জানা যায়, যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতিদিন ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা।
রাজধানীর যানজট দূর করতে সংশ্লিষ্ট নানান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। শত শত কোটি টাকার পরিকল্পনার কথা জানা যায়। কিছু মেগা প্রজেক্টও রয়েছে। মেট্রো রেলের মতো বড় প্রজেক্ট আলোর মুখ দেখেছে। তবে বড় বড় প্রকল্প রাজধানীবাসীকে যানজটের সমস্যা থেকে কতটা মুক্তি দিয়েছে সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকা দরকার। বড় প্রকল্পের কিছু সুফল হয়তো মিলছে তবে রাজধানীকে যানজটমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এখনো অনেক পথ পারি দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদে ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে । সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, নগর কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ কমাতে হবে। রাজধানীতে ধারণ ক্ষমতার তুলনায় বসবাসকারী মানুষ অনেক বেশি, এখানে সড়কের তুলনায় গাড়ি বেশি। এই চাপ কমানোর জন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪
যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন যে পরিমাণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় তার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এ সংক্রান্ত একটি হিসাব দিয়েছে। ‘পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রকাশ করা হয়েছে এই তথ্য। ডিসিসিআই জানাচ্ছে, রাজধানীর যানজটের কারণে প্রায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি কম হচ্ছে।
যানজটের কারণে যানবাহনের গতি কমে যায়। এর আগে বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) প্রকাশ করা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে ঢাকার সড়কে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। আর ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। যানবাহনের গতি কমার সঙ্গে মানুষের কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এআরআই এর আগে যে হিসাব দিয়েছিল সেটা থেকে জানা যায়, যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতিদিন ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা।
রাজধানীর যানজট দূর করতে সংশ্লিষ্ট নানান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। শত শত কোটি টাকার পরিকল্পনার কথা জানা যায়। কিছু মেগা প্রজেক্টও রয়েছে। মেট্রো রেলের মতো বড় প্রজেক্ট আলোর মুখ দেখেছে। তবে বড় বড় প্রকল্প রাজধানীবাসীকে যানজটের সমস্যা থেকে কতটা মুক্তি দিয়েছে সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকা দরকার। বড় প্রকল্পের কিছু সুফল হয়তো মিলছে তবে রাজধানীকে যানজটমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এখনো অনেক পথ পারি দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদে ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে । সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, নগর কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ কমাতে হবে। রাজধানীতে ধারণ ক্ষমতার তুলনায় বসবাসকারী মানুষ অনেক বেশি, এখানে সড়কের তুলনায় গাড়ি বেশি। এই চাপ কমানোর জন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।