alt

সম্পাদকীয়

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

: বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সল্যুশন ডিজাইন’ ২০২১ সালে সাতক্ষীরার রইচপুর খালের সেতু নির্মাণ কাজের দায়িত্ব নেয়। কথা ছিল ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তারা সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে। কিন্তু ৩ বছরে তারা ৩টি পিলার ঢালাই ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজের অগ্রগতির জন্য বার বার ঠিকাদারকে তাগাদা দিলেও তিনি তোয়াক্কাই করছেন না।

রইচপুর খালের ওপর আগে পুরনো একটি সেতু ছিল। সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। তখন জনগণের যাতায়াত-যোগাযোগ সুবিধা দেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়। ৫০ মিটরি দৈর্ঘ্যরে সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। ৩ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সেতুটি। কবে নাগাদ সেতুর কাজ শেষ হবে সেটাও কেউ জানে না।

জনগণ যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে খালের ওপর বাঁশ-কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। সাঁকো দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এ সেতু পার হয়েই সাতক্ষীরা শহরে আসতে হয় ঘোনা, শিবপুর, আগড়দাড়ী ও আলিপুর ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে। শহরে আসার অন্য কোনো যাতয়াত মাধ্যম নেই। মানুষ অসুস্থ হলে বা কোথাও আগুন লাগলে অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের সেবাও মেলে না। ৩ বছরে ধরে অপেক্ষা করেও এলাকার মানুষের ভাগ্যে আজও কেন সেতু মেলেনি, সে প্রশ্ন আমরা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাখতে চাই।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের হদিস নাকি পাচ্ছে না সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ‘এলজিইডি’। তবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী দাবি করছেন সেতুর ৩০-৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারকে ৬ মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।

সেতু নির্মাণ কাজে কালক্ষেপণ করার ঘটনা শুধু সাতক্ষীরায় ঘটেছে তা না। দেশে বিভিন্ন এলাকায় সরকারের সেতু বা অবকাঠামো নির্মাণ কাজে এসব অনিয়ম সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। কিছু অসাধু প্রকল্প কর্মকর্তা ও ঠিকাদার মিলে এসব অনিয়ম করে থাকেন। কিন্তু নির্মাণ কাজে বিলম্ব হলে প্রকল্পের খরচ বেড়ে যায়। এতে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় হয়। অন্যদিকে জনগণের ভোগান্তিরও শেষ থাকে না।

রইচপুর খালের সেতুর অভাবে সেখানকার হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাই সেতু নির্মাণ কাজে যেন আর দেরি না করা হয়, এটা আমরাও আশা করব। রইচপুর খালে সেতু নির্মাণ হচ্ছে, সেখানকার মানুষ সাবলিলভাবে যাতায়াত-যোগাযোগ করতে পারছে এটাই আমরা দেখতে চাই।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সল্যুশন ডিজাইন’ ২০২১ সালে সাতক্ষীরার রইচপুর খালের সেতু নির্মাণ কাজের দায়িত্ব নেয়। কথা ছিল ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তারা সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে। কিন্তু ৩ বছরে তারা ৩টি পিলার ঢালাই ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজের অগ্রগতির জন্য বার বার ঠিকাদারকে তাগাদা দিলেও তিনি তোয়াক্কাই করছেন না।

রইচপুর খালের ওপর আগে পুরনো একটি সেতু ছিল। সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। তখন জনগণের যাতায়াত-যোগাযোগ সুবিধা দেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়। ৫০ মিটরি দৈর্ঘ্যরে সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। ৩ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সেতুটি। কবে নাগাদ সেতুর কাজ শেষ হবে সেটাও কেউ জানে না।

জনগণ যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে খালের ওপর বাঁশ-কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। সাঁকো দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এ সেতু পার হয়েই সাতক্ষীরা শহরে আসতে হয় ঘোনা, শিবপুর, আগড়দাড়ী ও আলিপুর ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে। শহরে আসার অন্য কোনো যাতয়াত মাধ্যম নেই। মানুষ অসুস্থ হলে বা কোথাও আগুন লাগলে অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের সেবাও মেলে না। ৩ বছরে ধরে অপেক্ষা করেও এলাকার মানুষের ভাগ্যে আজও কেন সেতু মেলেনি, সে প্রশ্ন আমরা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাখতে চাই।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের হদিস নাকি পাচ্ছে না সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ‘এলজিইডি’। তবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী দাবি করছেন সেতুর ৩০-৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারকে ৬ মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।

সেতু নির্মাণ কাজে কালক্ষেপণ করার ঘটনা শুধু সাতক্ষীরায় ঘটেছে তা না। দেশে বিভিন্ন এলাকায় সরকারের সেতু বা অবকাঠামো নির্মাণ কাজে এসব অনিয়ম সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। কিছু অসাধু প্রকল্প কর্মকর্তা ও ঠিকাদার মিলে এসব অনিয়ম করে থাকেন। কিন্তু নির্মাণ কাজে বিলম্ব হলে প্রকল্পের খরচ বেড়ে যায়। এতে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় হয়। অন্যদিকে জনগণের ভোগান্তিরও শেষ থাকে না।

রইচপুর খালের সেতুর অভাবে সেখানকার হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাই সেতু নির্মাণ কাজে যেন আর দেরি না করা হয়, এটা আমরাও আশা করব। রইচপুর খালে সেতু নির্মাণ হচ্ছে, সেখানকার মানুষ সাবলিলভাবে যাতায়াত-যোগাযোগ করতে পারছে এটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top