alt

সম্পাদকীয়

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

: শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ২৩ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। নতুন এ মূল্য তালিকায় স্টেন্টগুলোর দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার টাকায় স্টেন্ট বা রিংগুলো কিনতে পারবেন হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষ।

হৃৎপি-ে রক্ত সঞ্চালনে ব্লক বা বাধার সৃষ্টি হলে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘœ ঘটে। তখন হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখতে চিকিৎসকরা এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে রিং পরানোর পরামর্শ দেন। দেশে এটি হার্টের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। এসব রিং বিদেশ থেকে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।

ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের হার্টের রিংয়ের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রতিনিধি ও ইন্টারভেনশন কার্ডিওরেজিস্টদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন কোম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে। দেশে বিভিন্ন দেশের তৈরি ২৬ ধরনের রিং ব্যবহার হয়ে আসছে। আগে কমানো হয়েছে তিন ধরনের রিংয়ের এখন ২৩টির। গত মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাশপাশি সব হাসপাতালে নতুন এই মূল্যতালিকা টানিয়ে রাখতে বলেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

গত বছর যখন হার্টের তিন ধরনের রিংয়ের দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছিল, তখন রিং ব্যবসায়ীরা এটা মেনে নিতে পারেননি। এটা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। সরকার রিংয়ের দাম কমিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সে সময় অনেক ব্যবসায়ী রিং বিক্রি বন্ধও করে দিয়েছিলেন। এবারও যেন তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব না হয় সেটা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে মাথায় রাখতে হবে।

সমস্যা আরও আছে। হার্টের রিং লাগানো নিয়ে দেশে নানা অনিয়ম হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে রিং পরানোর নিয়ে নানা কারসাজির শিকার হন রোগীরা। রিং দিচ্ছেন একটা আর দাম নিচ্ছেন আরেকটার এমন অভিযোগ শোনা যায়। আর এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কিছু অসাধু চিকিৎসক।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে তা মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেটা তদারকি করতে হবে। রোগীরা যদি কারসাজির শিকার হন তাহলে এই নতুন দাম নির্ধারণের সুফল পরিপূর্ণভাবে তারা পাবেন না। এক্ষেত্রে রোগীরা যেন কোনো ধরনের কারসাজির শিকার না হন, সেটা নিয়মিত তদারকি করার উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষÑ এটা আমরা আশা করব।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ২৩ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। নতুন এ মূল্য তালিকায় স্টেন্টগুলোর দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার টাকায় স্টেন্ট বা রিংগুলো কিনতে পারবেন হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষ।

হৃৎপি-ে রক্ত সঞ্চালনে ব্লক বা বাধার সৃষ্টি হলে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘœ ঘটে। তখন হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখতে চিকিৎসকরা এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে রিং পরানোর পরামর্শ দেন। দেশে এটি হার্টের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। এসব রিং বিদেশ থেকে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।

ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের হার্টের রিংয়ের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রতিনিধি ও ইন্টারভেনশন কার্ডিওরেজিস্টদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন কোম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে। দেশে বিভিন্ন দেশের তৈরি ২৬ ধরনের রিং ব্যবহার হয়ে আসছে। আগে কমানো হয়েছে তিন ধরনের রিংয়ের এখন ২৩টির। গত মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাশপাশি সব হাসপাতালে নতুন এই মূল্যতালিকা টানিয়ে রাখতে বলেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

গত বছর যখন হার্টের তিন ধরনের রিংয়ের দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছিল, তখন রিং ব্যবসায়ীরা এটা মেনে নিতে পারেননি। এটা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। সরকার রিংয়ের দাম কমিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সে সময় অনেক ব্যবসায়ী রিং বিক্রি বন্ধও করে দিয়েছিলেন। এবারও যেন তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব না হয় সেটা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে মাথায় রাখতে হবে।

সমস্যা আরও আছে। হার্টের রিং লাগানো নিয়ে দেশে নানা অনিয়ম হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে রিং পরানোর নিয়ে নানা কারসাজির শিকার হন রোগীরা। রিং দিচ্ছেন একটা আর দাম নিচ্ছেন আরেকটার এমন অভিযোগ শোনা যায়। আর এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কিছু অসাধু চিকিৎসক।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে তা মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেটা তদারকি করতে হবে। রোগীরা যদি কারসাজির শিকার হন তাহলে এই নতুন দাম নির্ধারণের সুফল পরিপূর্ণভাবে তারা পাবেন না। এক্ষেত্রে রোগীরা যেন কোনো ধরনের কারসাজির শিকার না হন, সেটা নিয়মিত তদারকি করার উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষÑ এটা আমরা আশা করব।

back to top