alt

opinion » editorial

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

: শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

দেশে ৯৬ লাখের বেশি শিশুর রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে বছরে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন আইকিউ পয়েন্ট। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ‘এসডো’ তাদের সমীক্ষার ফলাফলে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিসা দূষণ একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। শিল্পকারখানার নিঃসৃত দূষিত পানি ও সিসাযুক্ত রঙের সংস্পর্শেই শিশুরা সিসা বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছে। লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি পুনর্ব্যবহারের কার্যকলাপ, ইলেকট্রনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, ভেজালযুক্ত হলুদ, অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, তাবিজ, প্লাস্টিকে ব্যবহৃত রং, ধাতব জুয়েলারি ও প্রসাধনসামগ্রী। গর্ভবতী মায়ের শরীরে সিসার উপস্থিতি থাকলে তার গর্ভের শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটতে বাধাগ্রস্ত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। যেকোনো মাত্রাই শিশুর ক্ষতি করতে পারে। ২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসার বিষক্রিয়া নিরাময়ে একটি ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন দিয়েছে। তাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। তাহলে সিসা বিষক্রিয়ার ঝুঁকি কমবে। বাংলাদেশেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ক্লিনিক্যাল গাইডলাইনটি অ্যাডাপটেশনের কাজ চলছে।

মানুষের শরীরে একবার সিসা ঢুকে পড়লে সেটা আর বের হয়ে আসে না। বহুদিন ধরে হাড়ে এবং দাঁতে থেকে যেতে পারে। সরকার সব ধরনের রঙে ও জ্বালানি তেলে সিসার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে; কিন্তু আইনি ব্যবস্থা শুধু কাগজে-কলমেই রয়েছে। প্রয়োগ হতে খুব একটা দেখা যায় না। তাই শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ ও নজরদারি বাড়িয়ে এটির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় যেন না ঘটে সেটি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে বলে আমরা মনে করি।

সরকারকে সিসা পরীক্ষার জন্য জাতীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে। মাঠকর্মীদের সিসা বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে সীসার উৎস, ক্ষতিকর প্রভাব, সিসা সংক্রমণের প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেতন করতে দেশব্যাপী প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

দেশে ৯৬ লাখের বেশি শিশুর রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে বছরে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন আইকিউ পয়েন্ট। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ‘এসডো’ তাদের সমীক্ষার ফলাফলে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিসা দূষণ একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। শিল্পকারখানার নিঃসৃত দূষিত পানি ও সিসাযুক্ত রঙের সংস্পর্শেই শিশুরা সিসা বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছে। লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি পুনর্ব্যবহারের কার্যকলাপ, ইলেকট্রনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, ভেজালযুক্ত হলুদ, অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, তাবিজ, প্লাস্টিকে ব্যবহৃত রং, ধাতব জুয়েলারি ও প্রসাধনসামগ্রী। গর্ভবতী মায়ের শরীরে সিসার উপস্থিতি থাকলে তার গর্ভের শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটতে বাধাগ্রস্ত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। যেকোনো মাত্রাই শিশুর ক্ষতি করতে পারে। ২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসার বিষক্রিয়া নিরাময়ে একটি ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন দিয়েছে। তাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। তাহলে সিসা বিষক্রিয়ার ঝুঁকি কমবে। বাংলাদেশেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ক্লিনিক্যাল গাইডলাইনটি অ্যাডাপটেশনের কাজ চলছে।

মানুষের শরীরে একবার সিসা ঢুকে পড়লে সেটা আর বের হয়ে আসে না। বহুদিন ধরে হাড়ে এবং দাঁতে থেকে যেতে পারে। সরকার সব ধরনের রঙে ও জ্বালানি তেলে সিসার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে; কিন্তু আইনি ব্যবস্থা শুধু কাগজে-কলমেই রয়েছে। প্রয়োগ হতে খুব একটা দেখা যায় না। তাই শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ ও নজরদারি বাড়িয়ে এটির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় যেন না ঘটে সেটি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে বলে আমরা মনে করি।

সরকারকে সিসা পরীক্ষার জন্য জাতীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে। মাঠকর্মীদের সিসা বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে সীসার উৎস, ক্ষতিকর প্রভাব, সিসা সংক্রমণের প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেতন করতে দেশব্যাপী প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top