alt

সম্পাদকীয়

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

: শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈলের ল্যাহেম্বা ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের মাঝখানে কুলিক নদী। এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে দেয়ার লক্ষ্যে কুলিক নদীতে ১৯৮৬ সালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পরের বছর ১৯৮৭ সালে বন্যায় সেতুটি ভেঙে যায়।

১৯৮৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সময় দাঁড়ায় ৩৬ বছর। এই ৩৬ বছর ধরে রানিশংকৈলের বর্মপুর, বিরাশি, ল্যাহেম্বা, শ্যামলাডাঙ্গী, রসুলপুর, কার্তিপুর, কোচলসহ ২০টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ একটি সেতুর জন্য দিন গুনছে। উপায়হীন হয়ে মানুষকে বর্ষাকালে নৌকা ও খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে। বর্ষাকালে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের। হাট-বাজারে মালামাল নিয়ে যেতে পারে না। গাড়িতে ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।

শুধু রানিশংকৈলের মানুষই যে তিন যুগ ধরে একটি সেতুর জন্য স্বপ্ন দেখছে তা না। দেশের বহু এলাকায় দশকের পর দশক কেটে গেছে সেতুর অপেক্ষায় সেখানকার মানুষের।

সরকার কুলিক নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দও দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারের অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে সেতু নির্মাণকাজ এগোয়নি। টেন্ডার ডকুমেন্ট অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ না করায় সেটা বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। এখন নতুন করে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা।

জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ আবারও সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, এবার সেতু নির্মাণের জন্য যা যা কাজ করা দরকার, তা তা ঠিকঠাকমতো যেন হয়, এবার যেন আগের মতো প্রতিবন্ধকতা দেখা না যায়। একটা সেতুর জন্য এতগুলো মানুষকে দশকের পর দশক ধরে অপেক্ষা করতে হবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। সেতুটি নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষকে আর এত দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে এলাকার জনগণকে হাটে-বাজারে যেতে হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে কুলিক নদীতে সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং যথাসময়ে সেই সেতু নির্মাণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে এমনটা আমরা দেখতে চাই।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈলের ল্যাহেম্বা ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের মাঝখানে কুলিক নদী। এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে দেয়ার লক্ষ্যে কুলিক নদীতে ১৯৮৬ সালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পরের বছর ১৯৮৭ সালে বন্যায় সেতুটি ভেঙে যায়।

১৯৮৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সময় দাঁড়ায় ৩৬ বছর। এই ৩৬ বছর ধরে রানিশংকৈলের বর্মপুর, বিরাশি, ল্যাহেম্বা, শ্যামলাডাঙ্গী, রসুলপুর, কার্তিপুর, কোচলসহ ২০টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ একটি সেতুর জন্য দিন গুনছে। উপায়হীন হয়ে মানুষকে বর্ষাকালে নৌকা ও খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে। বর্ষাকালে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের। হাট-বাজারে মালামাল নিয়ে যেতে পারে না। গাড়িতে ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।

শুধু রানিশংকৈলের মানুষই যে তিন যুগ ধরে একটি সেতুর জন্য স্বপ্ন দেখছে তা না। দেশের বহু এলাকায় দশকের পর দশক কেটে গেছে সেতুর অপেক্ষায় সেখানকার মানুষের।

সরকার কুলিক নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দও দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারের অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে সেতু নির্মাণকাজ এগোয়নি। টেন্ডার ডকুমেন্ট অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ না করায় সেটা বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। এখন নতুন করে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা।

জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ আবারও সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, এবার সেতু নির্মাণের জন্য যা যা কাজ করা দরকার, তা তা ঠিকঠাকমতো যেন হয়, এবার যেন আগের মতো প্রতিবন্ধকতা দেখা না যায়। একটা সেতুর জন্য এতগুলো মানুষকে দশকের পর দশক ধরে অপেক্ষা করতে হবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। সেতুটি নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষকে আর এত দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে এলাকার জনগণকে হাটে-বাজারে যেতে হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে কুলিক নদীতে সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং যথাসময়ে সেই সেতু নির্মাণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে এমনটা আমরা দেখতে চাই।

back to top