ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈলের ল্যাহেম্বা ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের মাঝখানে কুলিক নদী। এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে দেয়ার লক্ষ্যে কুলিক নদীতে ১৯৮৬ সালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পরের বছর ১৯৮৭ সালে বন্যায় সেতুটি ভেঙে যায়।
১৯৮৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সময় দাঁড়ায় ৩৬ বছর। এই ৩৬ বছর ধরে রানিশংকৈলের বর্মপুর, বিরাশি, ল্যাহেম্বা, শ্যামলাডাঙ্গী, রসুলপুর, কার্তিপুর, কোচলসহ ২০টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ একটি সেতুর জন্য দিন গুনছে। উপায়হীন হয়ে মানুষকে বর্ষাকালে নৌকা ও খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে। বর্ষাকালে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের। হাট-বাজারে মালামাল নিয়ে যেতে পারে না। গাড়িতে ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
শুধু রানিশংকৈলের মানুষই যে তিন যুগ ধরে একটি সেতুর জন্য স্বপ্ন দেখছে তা না। দেশের বহু এলাকায় দশকের পর দশক কেটে গেছে সেতুর অপেক্ষায় সেখানকার মানুষের।
সরকার কুলিক নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দও দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারের অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে সেতু নির্মাণকাজ এগোয়নি। টেন্ডার ডকুমেন্ট অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ না করায় সেটা বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। এখন নতুন করে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা।
জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ আবারও সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, এবার সেতু নির্মাণের জন্য যা যা কাজ করা দরকার, তা তা ঠিকঠাকমতো যেন হয়, এবার যেন আগের মতো প্রতিবন্ধকতা দেখা না যায়। একটা সেতুর জন্য এতগুলো মানুষকে দশকের পর দশক ধরে অপেক্ষা করতে হবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। সেতুটি নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষকে আর এত দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে এলাকার জনগণকে হাটে-বাজারে যেতে হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে কুলিক নদীতে সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং যথাসময়ে সেই সেতু নির্মাণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে এমনটা আমরা দেখতে চাই।
শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪
ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈলের ল্যাহেম্বা ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের মাঝখানে কুলিক নদী। এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে দেয়ার লক্ষ্যে কুলিক নদীতে ১৯৮৬ সালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পরের বছর ১৯৮৭ সালে বন্যায় সেতুটি ভেঙে যায়।
১৯৮৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সময় দাঁড়ায় ৩৬ বছর। এই ৩৬ বছর ধরে রানিশংকৈলের বর্মপুর, বিরাশি, ল্যাহেম্বা, শ্যামলাডাঙ্গী, রসুলপুর, কার্তিপুর, কোচলসহ ২০টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ একটি সেতুর জন্য দিন গুনছে। উপায়হীন হয়ে মানুষকে বর্ষাকালে নৌকা ও খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে। বর্ষাকালে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের। হাট-বাজারে মালামাল নিয়ে যেতে পারে না। গাড়িতে ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
শুধু রানিশংকৈলের মানুষই যে তিন যুগ ধরে একটি সেতুর জন্য স্বপ্ন দেখছে তা না। দেশের বহু এলাকায় দশকের পর দশক কেটে গেছে সেতুর অপেক্ষায় সেখানকার মানুষের।
সরকার কুলিক নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দও দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারের অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে সেতু নির্মাণকাজ এগোয়নি। টেন্ডার ডকুমেন্ট অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ না করায় সেটা বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। এখন নতুন করে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা।
জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ আবারও সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, এবার সেতু নির্মাণের জন্য যা যা কাজ করা দরকার, তা তা ঠিকঠাকমতো যেন হয়, এবার যেন আগের মতো প্রতিবন্ধকতা দেখা না যায়। একটা সেতুর জন্য এতগুলো মানুষকে দশকের পর দশক ধরে অপেক্ষা করতে হবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। সেতুটি নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষকে আর এত দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে এলাকার জনগণকে হাটে-বাজারে যেতে হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে কুলিক নদীতে সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং যথাসময়ে সেই সেতু নির্মাণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে এমনটা আমরা দেখতে চাই।