alt

সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

: সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪

স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সবাইকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে ১৯৫০ সাল থেকে সাত এপ্রিল বিশ্বজুড়ে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়েছে। এ বছরের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’ বা ‘মাই হেলথ, মাই রাইট’।

যে লক্ষ নিয়ে দেশে প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়, সেই লক্ষ্যমাত্রা আজও অর্জন করতে পারেনি দেশের স্বাস্থ্য খাত। দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য খাতÑ এমন মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আরও বলেছেন দেশে ৭০ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে অসংক্রামক রোগে। অসংক্রামক রোগে মৃত্যুহার আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেলেও তা মোকাবিলায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। জিডিপির অনুপাতে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বৃদ্ধির দাবি করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাত। কিন্তু এই খাতটির অবস্থা নাজুক। তাই স্বাস্থ্যে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু বাজেট বাড়ালেই হবে না, জবাবদিহিতাও বাড়াতে হবে। লাইন ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে প্রতিটা সেক্টরে নজরদারি বাড়াতে হবে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। ‘স্বাস্থ্যই সম্পদ, সব সুখের মূল’Ñ প্রবাদটির প্রচলন থাকলেও সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য খাতে কেন বাজেট বরাদ্দ বাড়নোর ব্যবস্থা করছে না, সে প্রশ্ন এসে যায়।

দেশের স্বাস্থ্য ফেরাতে হলে মানুষের স্বাস্থ্যে নজর দিতে হবে। আর এজন্য বাজেট বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে আমাদের যে ব্যয়, তা অনেক কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। স্বাস্থ্য খাতে ৩.২৩ শতাংশ বাড়িয়েছিল। সামনে নতুন বাজেট আসছে। সামগ্রিকভাবে বাজেটে জনগণের স্বাস্থ্যসেবার খরচ কমার কোনো সুযোগ নেই। আর কমানো হলে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু বরাদ্দ বাড়ালে হবে না, বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে সঠিকভাবে সঠিক কাজে ব্যবহার করা হয় সেটাও দেখতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে শুধু সরকার না, সবার এগিয়ে আসার প্রয়োজন। ‘আমার স্বাস্থ্য আমার অধিকার’Ñ এই অধিকার সব মানুষ সমানভাবে ভোগ করতে পারবে, সেটা আমাদের আশা।

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

tab

সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪

স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সবাইকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে ১৯৫০ সাল থেকে সাত এপ্রিল বিশ্বজুড়ে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়েছে। এ বছরের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’ বা ‘মাই হেলথ, মাই রাইট’।

যে লক্ষ নিয়ে দেশে প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়, সেই লক্ষ্যমাত্রা আজও অর্জন করতে পারেনি দেশের স্বাস্থ্য খাত। দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য খাতÑ এমন মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আরও বলেছেন দেশে ৭০ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে অসংক্রামক রোগে। অসংক্রামক রোগে মৃত্যুহার আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেলেও তা মোকাবিলায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। জিডিপির অনুপাতে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বৃদ্ধির দাবি করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাত। কিন্তু এই খাতটির অবস্থা নাজুক। তাই স্বাস্থ্যে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু বাজেট বাড়ালেই হবে না, জবাবদিহিতাও বাড়াতে হবে। লাইন ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে প্রতিটা সেক্টরে নজরদারি বাড়াতে হবে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। ‘স্বাস্থ্যই সম্পদ, সব সুখের মূল’Ñ প্রবাদটির প্রচলন থাকলেও সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য খাতে কেন বাজেট বরাদ্দ বাড়নোর ব্যবস্থা করছে না, সে প্রশ্ন এসে যায়।

দেশের স্বাস্থ্য ফেরাতে হলে মানুষের স্বাস্থ্যে নজর দিতে হবে। আর এজন্য বাজেট বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে আমাদের যে ব্যয়, তা অনেক কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। স্বাস্থ্য খাতে ৩.২৩ শতাংশ বাড়িয়েছিল। সামনে নতুন বাজেট আসছে। সামগ্রিকভাবে বাজেটে জনগণের স্বাস্থ্যসেবার খরচ কমার কোনো সুযোগ নেই। আর কমানো হলে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু বরাদ্দ বাড়ালে হবে না, বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে সঠিকভাবে সঠিক কাজে ব্যবহার করা হয় সেটাও দেখতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে শুধু সরকার না, সবার এগিয়ে আসার প্রয়োজন। ‘আমার স্বাস্থ্য আমার অধিকার’Ñ এই অধিকার সব মানুষ সমানভাবে ভোগ করতে পারবে, সেটা আমাদের আশা।

back to top