কুড়িগ্রামের উলিপুরে পূর্ব নাওডাঙ্গার বিলে বিষ ঢেলে মাছ চাষির মাছ নিধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিলের প্রায় সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। ফলে মাছ চাষির পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে। বিলের চাষ করা মাছ হারিয়ে এখন দিশেহারা মাছ চাষি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েছেন তিনি।
বিষ প্রয়োগে মাছ চাষির বিলে মাছ নিধনের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে মাছ চাষিকে।
মোট সাত একর জায়গাজুড়ে রয়েছে পূর্ব-নাওডাঙ্গার বিলটি। বিলটি পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেন স্থানীয় একজন মাছ চাষি। বিলে রুই, মৃগেল, কাতলা, সিলভারকার্প, বিটকার্প ও বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট দেশি মাছের চাষ হয়। বিষ ঢেলে দেয়ার ফলে শুধু যে মরা মাছ ভেসে উঠেছে তা না। ছানা, পোনা, ডিমসহ সব মাছই মারা পড়েছে। পাশপাশি বিষক্রিয়ায় সাপ, ব্যাঙ ও নানান প্রজাতির জলজ প্রাণীও মারা পড়েছে। প্রাণপ্রকৃতি হত্যার ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য।
বিষ ঢেলে মাছ নিধনের এ ধরনের ঘটনা শুধু উলিপুরে ‘পূর্ব-নাওডাঙ্গা’র বিলেই ঘটেছে তা নয়, দেশের অন্যান্য এলাকাতেও এসব ঘটনা ঘটে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যায়। এসব ঘটনা ঘটে থাকে হয় পূর্ব শত্রুতার জেরে না হয় অতি মুনাফার লোভের কারণে। অনেক সময় মা মাছ নিধন করা হয়। মাছের শারীরিক গঠন বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিষ দিয়ে মাছ নিধনের মানসিকতা বদলাতে হবে। সাময়িক কিছু সুবিধার জন্য বা কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য জলজ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা কাম্য নয়। বিষ দিয়ে মাছ নিধনে পরিবেশের যে ক্ষতি হয় তার জন্য একদিন মানুষকে চরম মূল্য দিতে হবে। তাই এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। যারা বিষ দিয়ে মাছ নিধন করে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই। শৈথিল্য দেখালে একদিন মানুষকে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে।
সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪
কুড়িগ্রামের উলিপুরে পূর্ব নাওডাঙ্গার বিলে বিষ ঢেলে মাছ চাষির মাছ নিধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিলের প্রায় সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। ফলে মাছ চাষির পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে। বিলের চাষ করা মাছ হারিয়ে এখন দিশেহারা মাছ চাষি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েছেন তিনি।
বিষ প্রয়োগে মাছ চাষির বিলে মাছ নিধনের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে মাছ চাষিকে।
মোট সাত একর জায়গাজুড়ে রয়েছে পূর্ব-নাওডাঙ্গার বিলটি। বিলটি পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেন স্থানীয় একজন মাছ চাষি। বিলে রুই, মৃগেল, কাতলা, সিলভারকার্প, বিটকার্প ও বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট দেশি মাছের চাষ হয়। বিষ ঢেলে দেয়ার ফলে শুধু যে মরা মাছ ভেসে উঠেছে তা না। ছানা, পোনা, ডিমসহ সব মাছই মারা পড়েছে। পাশপাশি বিষক্রিয়ায় সাপ, ব্যাঙ ও নানান প্রজাতির জলজ প্রাণীও মারা পড়েছে। প্রাণপ্রকৃতি হত্যার ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য।
বিষ ঢেলে মাছ নিধনের এ ধরনের ঘটনা শুধু উলিপুরে ‘পূর্ব-নাওডাঙ্গা’র বিলেই ঘটেছে তা নয়, দেশের অন্যান্য এলাকাতেও এসব ঘটনা ঘটে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যায়। এসব ঘটনা ঘটে থাকে হয় পূর্ব শত্রুতার জেরে না হয় অতি মুনাফার লোভের কারণে। অনেক সময় মা মাছ নিধন করা হয়। মাছের শারীরিক গঠন বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিষ দিয়ে মাছ নিধনের মানসিকতা বদলাতে হবে। সাময়িক কিছু সুবিধার জন্য বা কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য জলজ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা কাম্য নয়। বিষ দিয়ে মাছ নিধনে পরিবেশের যে ক্ষতি হয় তার জন্য একদিন মানুষকে চরম মূল্য দিতে হবে। তাই এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। যারা বিষ দিয়ে মাছ নিধন করে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই। শৈথিল্য দেখালে একদিন মানুষকে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে।