রাজধানীর সদরঘাটে গত ১১ এপ্রিল এক লঞ্চের ধাক্কায় অন্য লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ ব্যক্তি প্রাণ হারান। এ ঘটনায় পুলিশ গত ১২ এপ্রিল দুই লঞ্চের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গত রোববার জিজ্ঞাসাবাদে তারা দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ দুর্ঘটনার যারা প্রকৃত দায়ী তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা।
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেছেন, ‘নিয়মের তোয়াক্কা না করে লঞ্চ ভেড়াতে গিয়ে উক্ত দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। যতদূর জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে তারা দোষ স্বীকারও করেছেন। এতে বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে, সেটাই আমরা আশা করব। দুর্ঘটনায় অভিযুক্তরা যেহেতু তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন, সেহেতু তদন্তকাজ সহজ হয়ে যাওয়ারই কথা। এরপর বিচারকার্য প্রভাবমুক্ত হয়েই চলবে সেটা আমরা আশা করব।
অতীতেও অনেক লঞ্চ দুর্ঘটনার করুণ শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। বেসরকারি সংস্থা কোস্ট বিডির গবেষণা জানাচ্ছে, গত ২০ বছরে দেশের নৌপথে ১২টি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।
২০১৪ সালের ৪ অগাস্ট পদ্মা নদীতে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। সে সময় ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল আর ৫০ জন যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। ২০০৩ সালের ৮ জুলাই এমভি নাসরিন-১ লঞ্চটি চাঁদপুরের মেঘনায় ডুবে যায়। এতে মারা যান সাড়ে ছয়শ মানুষ।
বড় কোনো দুর্ঘটনার পর আলোচনা-সমালোচনা হয়। তখন প্রশাসনকে তৎপর হতে দেখা যায়। লঞ্চের রুটপারমিট বাতিল করা হয়। কখনো-সখনো লঞ্চের কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন লঞ্চ মালিকরা। একসময় দেখা যায় রুটপারমিট বাতিল করা লঞ্চের নাম পাল্টিয়ে রংচং মাখিয়ে আবার চালানো শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিচার করে শাস্তি দিলেই দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না। নৌপথের চলাচল নিরাপদ করতে তিনটি বিষয় মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো, দুর্ঘটনা মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর জন্য উপযুক্ত নৌযান, দক্ষ চালক এবং অনুকূল আবহাওয়ার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি নৌযানের ডিজাইন, ধারণ ক্ষমতা, কারিগরি দিক, রুট বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ‘বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমতিপত্র বা ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার বিধান কার্যকর করতে হবে।
সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর সদরঘাটে গত ১১ এপ্রিল এক লঞ্চের ধাক্কায় অন্য লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ ব্যক্তি প্রাণ হারান। এ ঘটনায় পুলিশ গত ১২ এপ্রিল দুই লঞ্চের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গত রোববার জিজ্ঞাসাবাদে তারা দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ দুর্ঘটনার যারা প্রকৃত দায়ী তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা।
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেছেন, ‘নিয়মের তোয়াক্কা না করে লঞ্চ ভেড়াতে গিয়ে উক্ত দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। যতদূর জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে তারা দোষ স্বীকারও করেছেন। এতে বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে, সেটাই আমরা আশা করব। দুর্ঘটনায় অভিযুক্তরা যেহেতু তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন, সেহেতু তদন্তকাজ সহজ হয়ে যাওয়ারই কথা। এরপর বিচারকার্য প্রভাবমুক্ত হয়েই চলবে সেটা আমরা আশা করব।
অতীতেও অনেক লঞ্চ দুর্ঘটনার করুণ শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। বেসরকারি সংস্থা কোস্ট বিডির গবেষণা জানাচ্ছে, গত ২০ বছরে দেশের নৌপথে ১২টি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।
২০১৪ সালের ৪ অগাস্ট পদ্মা নদীতে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। সে সময় ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল আর ৫০ জন যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। ২০০৩ সালের ৮ জুলাই এমভি নাসরিন-১ লঞ্চটি চাঁদপুরের মেঘনায় ডুবে যায়। এতে মারা যান সাড়ে ছয়শ মানুষ।
বড় কোনো দুর্ঘটনার পর আলোচনা-সমালোচনা হয়। তখন প্রশাসনকে তৎপর হতে দেখা যায়। লঞ্চের রুটপারমিট বাতিল করা হয়। কখনো-সখনো লঞ্চের কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন লঞ্চ মালিকরা। একসময় দেখা যায় রুটপারমিট বাতিল করা লঞ্চের নাম পাল্টিয়ে রংচং মাখিয়ে আবার চালানো শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিচার করে শাস্তি দিলেই দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না। নৌপথের চলাচল নিরাপদ করতে তিনটি বিষয় মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো, দুর্ঘটনা মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর জন্য উপযুক্ত নৌযান, দক্ষ চালক এবং অনুকূল আবহাওয়ার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি নৌযানের ডিজাইন, ধারণ ক্ষমতা, কারিগরি দিক, রুট বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ‘বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমতিপত্র বা ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার বিধান কার্যকর করতে হবে।