alt

সম্পাদকীয়

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কিন্তু তাদের অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। সড়ক দুর্ঘটনা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেয়নি। ঈদের আগে-পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

গত মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর সদরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছেন ১৪ জন, আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। একই দিনে একই জেলায় আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন ও দুজন আহত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

দেশে সড়কপথের গণপরিবহনে সবচেয়ে বেশি যাত্রী চলাচল করে। আর এ পথে যোগাযোগ-যাতায়াত কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সেটা বিভিন্ন সময় ঘটা সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা থেকে ধারণা করা যায়। প্রতিবছর ঈদ এলে দুর্ঘটনা সাধারণ সময়ের চেয়ে বেড়ে যায়Ñএর কারণ কী। অনেকে অভিযোগ করেছেন, সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতি, চালকদের বিরতিহীনভাবে টানা যানবাহন চালানো, মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ না হওয়া প্রভৃতি কারণে ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

সড়কের অধিকাংশ দুর্ঘটনার জন্যই যানবাহনের সমস্যা এবং চালকের ত্রুটি দায়ী। আর এই দুটি দেখার দায়িত্ব মালিক ও সরকারের। সরকার যদি যথাযথ নজরদারি করে, তাহলে মালিকদের পক্ষে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় বের করা সম্ভব নয় বলেই আমরা মনে করি।

পাশাপাশি যাত্রীসাধারণেরও সচেতন হতে হবে। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোন যানবাহনে ওঠা যাবে না। পিকআপের মতো খোলা যানবাহনে মহাসড়কে চলাচল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের সচেতন হতে হবে। শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের হার অনেকাংশে কমে যেত। মোটরসাইকেলে যাত্রী বা আরোহী হিসেবে উঠলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একটি মোটরসাইকেলচালকের বাইরে সর্বোচ্চ একজন আরোহী তোলার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। এর বাইরে চালক ও আরোহীদের বেশিরভাগেরই হেলমেট থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে বৈধ লাইসেন্সও থাকে না চালকের। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

tab

সম্পাদকীয়

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কিন্তু তাদের অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। সড়ক দুর্ঘটনা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেয়নি। ঈদের আগে-পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

গত মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর সদরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছেন ১৪ জন, আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। একই দিনে একই জেলায় আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন ও দুজন আহত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

দেশে সড়কপথের গণপরিবহনে সবচেয়ে বেশি যাত্রী চলাচল করে। আর এ পথে যোগাযোগ-যাতায়াত কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সেটা বিভিন্ন সময় ঘটা সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা থেকে ধারণা করা যায়। প্রতিবছর ঈদ এলে দুর্ঘটনা সাধারণ সময়ের চেয়ে বেড়ে যায়Ñএর কারণ কী। অনেকে অভিযোগ করেছেন, সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতি, চালকদের বিরতিহীনভাবে টানা যানবাহন চালানো, মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ না হওয়া প্রভৃতি কারণে ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

সড়কের অধিকাংশ দুর্ঘটনার জন্যই যানবাহনের সমস্যা এবং চালকের ত্রুটি দায়ী। আর এই দুটি দেখার দায়িত্ব মালিক ও সরকারের। সরকার যদি যথাযথ নজরদারি করে, তাহলে মালিকদের পক্ষে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় বের করা সম্ভব নয় বলেই আমরা মনে করি।

পাশাপাশি যাত্রীসাধারণেরও সচেতন হতে হবে। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোন যানবাহনে ওঠা যাবে না। পিকআপের মতো খোলা যানবাহনে মহাসড়কে চলাচল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের সচেতন হতে হবে। শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের হার অনেকাংশে কমে যেত। মোটরসাইকেলে যাত্রী বা আরোহী হিসেবে উঠলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একটি মোটরসাইকেলচালকের বাইরে সর্বোচ্চ একজন আরোহী তোলার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। এর বাইরে চালক ও আরোহীদের বেশিরভাগেরই হেলমেট থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে বৈধ লাইসেন্সও থাকে না চালকের। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top