কয়েক যুগ আগেও ময়মনসিংহের ভালুকার বাসিন্দারা নানান প্রয়োজনে নদ-নদী ও পুকুরের পানি অনায়াসে ব্যবহার করত। অনেক নদ-নদী এখন শুকিয়ে গেছে। সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আগে ভূগর্ভের ২০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যেত কিন্তু এখন ৮০ ফুট গভীরেও পানি মিলছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভালুকার গ্রামগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৭৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। নলকূপগুলোতে পানি নেই। যারা মোটর স্থাপন করে মাটির ১২০ ফুট গভীরে যেতে পারছে, তাদের পাম্পেই পানি মিলছে। এ পাম্প বসাতে অর্ধ লক্ষাধিক টাকারও বেশি খরচ হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী পড়েছে চরম বিপাকে। তারা খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের অর্থকড়ি আছে, তারা টাকা খরচ করে সাব-মার্সিবল পাম্প বসাতে পারছে। কিন্তু গরিব মানুষরা কী করবে? তাদের পক্ষে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে পাম্প বসানো সম্ভব না। গ্রামের পুকুরগুলোর শুকিয়ে গেছে। পুকুরগুলোও যদি পুনর্খনন করা যেত তাহলেও হয়তো পানি সংকট দূর হতো বলে মনে করছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার জন্য পরিবেশ বিপর্যয়ই দায়ী। আগে সেখানে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে বছরের সারাটা সময়ই পানি থাকত। গাছগাছালিও ছিল। আবহাওয়া ছিল আর্দ্রতাপূর্ণ। মানুষ এখন নির্বিচারে গাছপালা ধ্বংস করছে। এতে মাটি ছায়াশূন্য হয়ে গেছে। সূর্যের দাবদাহ বাধাহীনভাবে ভূমিতে এসে পড়ছে। ফলে নদী, খাল ও জলাশয়গুলো তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে। আইনের তোয়াক্কা না করে ভালুকায় জলাশয় ভরাট করে কয়েকশ মিল-কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ভূগর্ভের পানির স্তরের অবনতির এটাও একটা কারণ কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।
পানির জন্য মানুষের হাহাকারের ঘটনা শুধু ভালুকায় দেখা গেছে তা না, দেশের আরও অনেক স্থানেই এমনটি দেখা যায়। পানির সংকট মোকাবিলায় দেশে পানিনীতি রয়েছে। ভূগর্ভের পানি ব্যবহারে ১২টি অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পানিনীতি বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেচ কাজের জন্য ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। পুকুর, নালা, বিল ও নদী খনন করে সেই পানি দিয়ে সেচ কাজ সারতে হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি মজুত রাখারও ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে শুকনা মৌসুমে পানির চাহিদা মেটানো যায়।
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
কয়েক যুগ আগেও ময়মনসিংহের ভালুকার বাসিন্দারা নানান প্রয়োজনে নদ-নদী ও পুকুরের পানি অনায়াসে ব্যবহার করত। অনেক নদ-নদী এখন শুকিয়ে গেছে। সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আগে ভূগর্ভের ২০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যেত কিন্তু এখন ৮০ ফুট গভীরেও পানি মিলছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভালুকার গ্রামগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৭৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। নলকূপগুলোতে পানি নেই। যারা মোটর স্থাপন করে মাটির ১২০ ফুট গভীরে যেতে পারছে, তাদের পাম্পেই পানি মিলছে। এ পাম্প বসাতে অর্ধ লক্ষাধিক টাকারও বেশি খরচ হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী পড়েছে চরম বিপাকে। তারা খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের অর্থকড়ি আছে, তারা টাকা খরচ করে সাব-মার্সিবল পাম্প বসাতে পারছে। কিন্তু গরিব মানুষরা কী করবে? তাদের পক্ষে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে পাম্প বসানো সম্ভব না। গ্রামের পুকুরগুলোর শুকিয়ে গেছে। পুকুরগুলোও যদি পুনর্খনন করা যেত তাহলেও হয়তো পানি সংকট দূর হতো বলে মনে করছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার জন্য পরিবেশ বিপর্যয়ই দায়ী। আগে সেখানে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে বছরের সারাটা সময়ই পানি থাকত। গাছগাছালিও ছিল। আবহাওয়া ছিল আর্দ্রতাপূর্ণ। মানুষ এখন নির্বিচারে গাছপালা ধ্বংস করছে। এতে মাটি ছায়াশূন্য হয়ে গেছে। সূর্যের দাবদাহ বাধাহীনভাবে ভূমিতে এসে পড়ছে। ফলে নদী, খাল ও জলাশয়গুলো তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে। আইনের তোয়াক্কা না করে ভালুকায় জলাশয় ভরাট করে কয়েকশ মিল-কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ভূগর্ভের পানির স্তরের অবনতির এটাও একটা কারণ কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।
পানির জন্য মানুষের হাহাকারের ঘটনা শুধু ভালুকায় দেখা গেছে তা না, দেশের আরও অনেক স্থানেই এমনটি দেখা যায়। পানির সংকট মোকাবিলায় দেশে পানিনীতি রয়েছে। ভূগর্ভের পানি ব্যবহারে ১২টি অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পানিনীতি বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেচ কাজের জন্য ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। পুকুর, নালা, বিল ও নদী খনন করে সেই পানি দিয়ে সেচ কাজ সারতে হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি মজুত রাখারও ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে শুকনা মৌসুমে পানির চাহিদা মেটানো যায়।