alt

সম্পাদকীয়

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কয়েক যুগ আগেও ময়মনসিংহের ভালুকার বাসিন্দারা নানান প্রয়োজনে নদ-নদী ও পুকুরের পানি অনায়াসে ব্যবহার করত। অনেক নদ-নদী এখন শুকিয়ে গেছে। সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আগে ভূগর্ভের ২০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যেত কিন্তু এখন ৮০ ফুট গভীরেও পানি মিলছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভালুকার গ্রামগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৭৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। নলকূপগুলোতে পানি নেই। যারা মোটর স্থাপন করে মাটির ১২০ ফুট গভীরে যেতে পারছে, তাদের পাম্পেই পানি মিলছে। এ পাম্প বসাতে অর্ধ লক্ষাধিক টাকারও বেশি খরচ হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী পড়েছে চরম বিপাকে। তারা খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের অর্থকড়ি আছে, তারা টাকা খরচ করে সাব-মার্সিবল পাম্প বসাতে পারছে। কিন্তু গরিব মানুষরা কী করবে? তাদের পক্ষে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে পাম্প বসানো সম্ভব না। গ্রামের পুকুরগুলোর শুকিয়ে গেছে। পুকুরগুলোও যদি পুনর্খনন করা যেত তাহলেও হয়তো পানি সংকট দূর হতো বলে মনে করছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার জন্য পরিবেশ বিপর্যয়ই দায়ী। আগে সেখানে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে বছরের সারাটা সময়ই পানি থাকত। গাছগাছালিও ছিল। আবহাওয়া ছিল আর্দ্রতাপূর্ণ। মানুষ এখন নির্বিচারে গাছপালা ধ্বংস করছে। এতে মাটি ছায়াশূন্য হয়ে গেছে। সূর্যের দাবদাহ বাধাহীনভাবে ভূমিতে এসে পড়ছে। ফলে নদী, খাল ও জলাশয়গুলো তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে। আইনের তোয়াক্কা না করে ভালুকায় জলাশয় ভরাট করে কয়েকশ মিল-কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ভূগর্ভের পানির স্তরের অবনতির এটাও একটা কারণ কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

পানির জন্য মানুষের হাহাকারের ঘটনা শুধু ভালুকায় দেখা গেছে তা না, দেশের আরও অনেক স্থানেই এমনটি দেখা যায়। পানির সংকট মোকাবিলায় দেশে পানিনীতি রয়েছে। ভূগর্ভের পানি ব্যবহারে ১২টি অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পানিনীতি বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেচ কাজের জন্য ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। পুকুর, নালা, বিল ও নদী খনন করে সেই পানি দিয়ে সেচ কাজ সারতে হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি মজুত রাখারও ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে শুকনা মৌসুমে পানির চাহিদা মেটানো যায়।

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কয়েক যুগ আগেও ময়মনসিংহের ভালুকার বাসিন্দারা নানান প্রয়োজনে নদ-নদী ও পুকুরের পানি অনায়াসে ব্যবহার করত। অনেক নদ-নদী এখন শুকিয়ে গেছে। সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আগে ভূগর্ভের ২০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যেত কিন্তু এখন ৮০ ফুট গভীরেও পানি মিলছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভালুকার গ্রামগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৭৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। নলকূপগুলোতে পানি নেই। যারা মোটর স্থাপন করে মাটির ১২০ ফুট গভীরে যেতে পারছে, তাদের পাম্পেই পানি মিলছে। এ পাম্প বসাতে অর্ধ লক্ষাধিক টাকারও বেশি খরচ হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী পড়েছে চরম বিপাকে। তারা খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের অর্থকড়ি আছে, তারা টাকা খরচ করে সাব-মার্সিবল পাম্প বসাতে পারছে। কিন্তু গরিব মানুষরা কী করবে? তাদের পক্ষে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে পাম্প বসানো সম্ভব না। গ্রামের পুকুরগুলোর শুকিয়ে গেছে। পুকুরগুলোও যদি পুনর্খনন করা যেত তাহলেও হয়তো পানি সংকট দূর হতো বলে মনে করছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার জন্য পরিবেশ বিপর্যয়ই দায়ী। আগে সেখানে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে বছরের সারাটা সময়ই পানি থাকত। গাছগাছালিও ছিল। আবহাওয়া ছিল আর্দ্রতাপূর্ণ। মানুষ এখন নির্বিচারে গাছপালা ধ্বংস করছে। এতে মাটি ছায়াশূন্য হয়ে গেছে। সূর্যের দাবদাহ বাধাহীনভাবে ভূমিতে এসে পড়ছে। ফলে নদী, খাল ও জলাশয়গুলো তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে। আইনের তোয়াক্কা না করে ভালুকায় জলাশয় ভরাট করে কয়েকশ মিল-কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ভূগর্ভের পানির স্তরের অবনতির এটাও একটা কারণ কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

পানির জন্য মানুষের হাহাকারের ঘটনা শুধু ভালুকায় দেখা গেছে তা না, দেশের আরও অনেক স্থানেই এমনটি দেখা যায়। পানির সংকট মোকাবিলায় দেশে পানিনীতি রয়েছে। ভূগর্ভের পানি ব্যবহারে ১২টি অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পানিনীতি বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেচ কাজের জন্য ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। পুকুর, নালা, বিল ও নদী খনন করে সেই পানি দিয়ে সেচ কাজ সারতে হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি মজুত রাখারও ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে শুকনা মৌসুমে পানির চাহিদা মেটানো যায়।

back to top