alt

সম্পাদকীয়

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়ার গয়ালমারায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেললাইনের অ্যাপ্রোচ অংশ ভরাট ও ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেললাইনের নিচ থেকে মাটি কেটে রেললাইনের পাটাতন ভরাট করছে। পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক্সকেভেটর ব্যবহার করে পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এক্সকেভেটর দিয়ে প্রতি রাতে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। ফলে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হারবাং অভয়ারণ্য। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। অন্যদিকে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন।

তবে ঠিকাদার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। আর বন বিভাগের কর্মকর্তা দাবি করছেন দলবল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন; কিন্তু কাউকে ধরতে পারেননি। রেললাইনের নিচের মাটি কেটে পাটাতন ভরাট এবং রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে মাটি লুট করার ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানেনই না। স্থানীয়রা মাটি কাটার ঘটনা জানতে পারল কিন্তু বিষয়টি প্রশাসনের কারো নজরে কেন এলো না, সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

শুধু চকরিয়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় পাহাড় কাটা হচ্ছে তা না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড় কাটা হচ্ছে। চকরিয়াসহ দেশের যেসব জায়গায় পাহাড় কাটা চক্র গড়ে উঠেছে তা পরিবেশ অধিদপ্তরকে খুঁজে বের করতে হবে। পাহাড় কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, দেশের আইনে এ কথা বলছে। তাহলে যারা পাহাড় কাটে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধা কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন।

পাহাড় কাটার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মানুষের বাড়িঘর ধসে যেতে পারে। এছাড়া বন্যপ্রাণীরা তাদের আবাস হারায়। বানর, সাপ, হরিণ, মেছো বাঘসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রকৃতিতে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হয়। পাহাড় না থাকলে বনাঞ্চলও নিঃশেষ হয়। বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের না জানবার কথা নয়।

পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পাহাড় কাটার মতো পরিবেশবিরোধী কর্মকা- বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে চকোরিয়ায় পাহাড় কাটার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। অন্যায়ভাবে পাহাড় কাটার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

tab

সম্পাদকীয়

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়ার গয়ালমারায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেললাইনের অ্যাপ্রোচ অংশ ভরাট ও ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেললাইনের নিচ থেকে মাটি কেটে রেললাইনের পাটাতন ভরাট করছে। পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক্সকেভেটর ব্যবহার করে পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এক্সকেভেটর দিয়ে প্রতি রাতে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। ফলে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হারবাং অভয়ারণ্য। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। অন্যদিকে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন।

তবে ঠিকাদার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। আর বন বিভাগের কর্মকর্তা দাবি করছেন দলবল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন; কিন্তু কাউকে ধরতে পারেননি। রেললাইনের নিচের মাটি কেটে পাটাতন ভরাট এবং রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে মাটি লুট করার ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানেনই না। স্থানীয়রা মাটি কাটার ঘটনা জানতে পারল কিন্তু বিষয়টি প্রশাসনের কারো নজরে কেন এলো না, সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

শুধু চকরিয়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় পাহাড় কাটা হচ্ছে তা না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড় কাটা হচ্ছে। চকরিয়াসহ দেশের যেসব জায়গায় পাহাড় কাটা চক্র গড়ে উঠেছে তা পরিবেশ অধিদপ্তরকে খুঁজে বের করতে হবে। পাহাড় কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, দেশের আইনে এ কথা বলছে। তাহলে যারা পাহাড় কাটে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধা কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন।

পাহাড় কাটার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মানুষের বাড়িঘর ধসে যেতে পারে। এছাড়া বন্যপ্রাণীরা তাদের আবাস হারায়। বানর, সাপ, হরিণ, মেছো বাঘসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রকৃতিতে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হয়। পাহাড় না থাকলে বনাঞ্চলও নিঃশেষ হয়। বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের না জানবার কথা নয়।

পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পাহাড় কাটার মতো পরিবেশবিরোধী কর্মকা- বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে চকোরিয়ায় পাহাড় কাটার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। অন্যায়ভাবে পাহাড় কাটার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top