সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড সড়কটি গত দেড় বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। বৃষ্টি নামলেই এসব গর্ত পানিতে ভরে যায়। উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়েই এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন আদমজী ইপিজেডের শ্রমিক ও এলাকার জনগণ।
সড়কটিতে খানাখন্দ থাকায় চালকরা যানবাহনও চালান ধীরগতিতে। এতে নিত্যদিন লেগে থাকে যানজট। দিনে-রাতে একাধিকবার যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটছে। সড়কটি টেকসইভাবে মেরামত করে দেয়ার জন্য সওজ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
নারায়ণগঞ্জ-আদমজী ইপিজেড-শিমরাইল সড়কে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলে। ইপিজেডের শ্রমিকরা এবং অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যখন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে, তখন সড়কটিতে যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে যায়। নারী পোশাক শ্রমিকরা সময়মতো ঘরে ফিরতে পারছেন না। এতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের এ সড়কটি আসলেই যে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে, সেটা স্বীকার করেছেন সওজ’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী। এতদিন টেন্ডার নিয়ে ঝামেলা ছিল বলে তিনি সড়কটি মেরামত করতে পারেননি। তবে এখন দ্রুত সড়কটি মেরামত করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, শুধু আশ্বাস দিলেই হবে না। সেটা বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে। হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক দিন-রাত শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রখেছেন। আর তাদের যাতায়াতের পথটিও গত দেড় বছর ধরে নিরাপদ নয়, এটা মেনে নেয়া যায় না।
শুধু সিদ্ধিরগঞ্জে নয়, দেশের অনেক এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য সড়ক যাতায়াত-যোগাযোগের জন্য অনুপযোগী। দীর্ঘকাল অপেক্ষার পর সড়ক মেরামতের ব্যবস্থা করা হলেও সেটি আলোর মুখ দেখতেও অপেক্ষা করতে হয়। আবার মেরামত করা হলেও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সেটি টেকসই হয় না। একটি এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার অনেকাংশই নির্ভর করে সেখানকার যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর। আবার উন্নত যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। তাই সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী সড়কসহ দেশের যে সব এলাকার সড়ক ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে রয়েছে, তা মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড সড়কটি গত দেড় বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। বৃষ্টি নামলেই এসব গর্ত পানিতে ভরে যায়। উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়েই এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন আদমজী ইপিজেডের শ্রমিক ও এলাকার জনগণ।
সড়কটিতে খানাখন্দ থাকায় চালকরা যানবাহনও চালান ধীরগতিতে। এতে নিত্যদিন লেগে থাকে যানজট। দিনে-রাতে একাধিকবার যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটছে। সড়কটি টেকসইভাবে মেরামত করে দেয়ার জন্য সওজ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
নারায়ণগঞ্জ-আদমজী ইপিজেড-শিমরাইল সড়কে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলে। ইপিজেডের শ্রমিকরা এবং অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যখন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে, তখন সড়কটিতে যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে যায়। নারী পোশাক শ্রমিকরা সময়মতো ঘরে ফিরতে পারছেন না। এতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের এ সড়কটি আসলেই যে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে, সেটা স্বীকার করেছেন সওজ’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী। এতদিন টেন্ডার নিয়ে ঝামেলা ছিল বলে তিনি সড়কটি মেরামত করতে পারেননি। তবে এখন দ্রুত সড়কটি মেরামত করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, শুধু আশ্বাস দিলেই হবে না। সেটা বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে। হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক দিন-রাত শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রখেছেন। আর তাদের যাতায়াতের পথটিও গত দেড় বছর ধরে নিরাপদ নয়, এটা মেনে নেয়া যায় না।
শুধু সিদ্ধিরগঞ্জে নয়, দেশের অনেক এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য সড়ক যাতায়াত-যোগাযোগের জন্য অনুপযোগী। দীর্ঘকাল অপেক্ষার পর সড়ক মেরামতের ব্যবস্থা করা হলেও সেটি আলোর মুখ দেখতেও অপেক্ষা করতে হয়। আবার মেরামত করা হলেও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সেটি টেকসই হয় না। একটি এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার অনেকাংশই নির্ভর করে সেখানকার যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর। আবার উন্নত যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। তাই সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী সড়কসহ দেশের যে সব এলাকার সড়ক ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে রয়েছে, তা মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।