alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: রোববার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

ইটভাটার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বিএসটিআইসহ কয়েকটি দপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। বাস্তবে দেখা যায় ছাড়পত্র বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লোকালয়, বাজার, স্কুল, মসজিদের পাশে ইটভাটা স্থাপন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জে অবৈধ ভাটায় চলেছে ইট পোড়ানো। অভিযোগ রয়েছে, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটার কারণে বায়ুদূষণের পাশাপাশি মাটি ও পানির ক্ষতি হয়। ইটভাটার আশপাশের এলাকার মানুষ চর্ম, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগে আক্রান্ত হন। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ লাখ ইট তৈরিতে একেকটি চুল্লি থেকে প্রায় ৩৯৪ টন কার্বন, ১ হাজার ৪৪৪ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড, ৬ দশমিক ৩ টন মিথেন ও ১০২ টন নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসৃত হয়।

শুধু নারায়ণগঞ্জেই নয়, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে সারা দেশেই অনেক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। লোকালয় ও ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা এসব ভাটায় কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আর এর সবকিছুই হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর নাকের ডগায়।

ইটভাটার মালিকরা সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। তাই অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়তে দেখা যায়।

অভিযোগ আছে, দেশে পরিবেশ আইন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন থাকা সত্ত্বেও সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না। যখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তখন হয়তো লোকদেখানো অভিযান পরিচলনা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে জরিমানা করার পর বন্ধও হয় ইটভাটা। কিন্তু তারপর আবার আগের মতো চলতে থাকে ইট পোড়ানো। অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। তবে সেটা টেকসই হয়নি।

নানা কারণেই দেশে ইটের প্রয়োজন রয়েছে। তবে দেশের প্রাণ-প্রকৃতিও রক্ষা করতে হবে। আর ইটভাটা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। দেশের অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করতে দ্রুত অভিযান চালানো প্রয়োজন।

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

রোববার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

ইটভাটার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বিএসটিআইসহ কয়েকটি দপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। বাস্তবে দেখা যায় ছাড়পত্র বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লোকালয়, বাজার, স্কুল, মসজিদের পাশে ইটভাটা স্থাপন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জে অবৈধ ভাটায় চলেছে ইট পোড়ানো। অভিযোগ রয়েছে, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটার কারণে বায়ুদূষণের পাশাপাশি মাটি ও পানির ক্ষতি হয়। ইটভাটার আশপাশের এলাকার মানুষ চর্ম, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগে আক্রান্ত হন। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ লাখ ইট তৈরিতে একেকটি চুল্লি থেকে প্রায় ৩৯৪ টন কার্বন, ১ হাজার ৪৪৪ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড, ৬ দশমিক ৩ টন মিথেন ও ১০২ টন নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসৃত হয়।

শুধু নারায়ণগঞ্জেই নয়, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে সারা দেশেই অনেক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। লোকালয় ও ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা এসব ভাটায় কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আর এর সবকিছুই হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর নাকের ডগায়।

ইটভাটার মালিকরা সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। তাই অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়তে দেখা যায়।

অভিযোগ আছে, দেশে পরিবেশ আইন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন থাকা সত্ত্বেও সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না। যখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তখন হয়তো লোকদেখানো অভিযান পরিচলনা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে জরিমানা করার পর বন্ধও হয় ইটভাটা। কিন্তু তারপর আবার আগের মতো চলতে থাকে ইট পোড়ানো। অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। তবে সেটা টেকসই হয়নি।

নানা কারণেই দেশে ইটের প্রয়োজন রয়েছে। তবে দেশের প্রাণ-প্রকৃতিও রক্ষা করতে হবে। আর ইটভাটা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। দেশের অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করতে দ্রুত অভিযান চালানো প্রয়োজন।

back to top